কুষ্টিয়া লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের উপর হামলা মামলায় কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাসহ ৩ জনের নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার বেলা ১২ টার সময় কুষ্টিয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া মোল্লাতেঘড়িয়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা (৪৫), একই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে ভ্যাচপা ফারুক (৪৫) ও পলান মন্ডলের ছেলে আনছের আলী (৩৫)।
এর আগে উক্ত মামলায় কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাসহ ৪ জন হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন নেন । হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। মামলার অপর একজন আসামী আগে থেকেই জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরতলীর লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা দখল করে কাউন্সিলর আশা ঠিকাদারী কাজের জন্য বিভিন্ন ড্রেন, রাস্তার স্লিাপার নির্মান কাজ করে আসছিল। এ ছাড়াও বিদ্যালয় চলাকালীন সময় মেশিনের মাধ্যমে বিকট শব্দে ইট ভাঙ্গা,ও বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহার করছিলো। এই ঘটনা নিয়ে চলতি বছরের গত ৩১ মার্চ সকাল ১০ টার সময় লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম প্রতিবাদ করতে গেলে কাউন্সিলর আশাসহ আসামিরা প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। পরদিন ১ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউন্সিলর আশা সহ ৪ জনের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনা নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহা সড়ক অবরোধ করে বিচারের দাবিতে দুই দফা মানববন্ধন করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন তার নিজ গতিতে চলবে। আমার উপর হামলাকারী আসামীদের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি ।