• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আছে তিন কোটি টাকার সেতু, তবুও জনদুর্ভোগ

সেতুটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পেরে বালু রাখার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে

ছবিঃ রাব্বি ইসলাম

সারা দেশ

আছে তিন কোটি টাকার সেতু, তবুও জনদুর্ভোগ

  • মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুন ২০২২

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ারকুমারজানি পূর্বপাড়া গ্রামে সেতু নির্মাণের আট বছর পরও হয়নি সড়ক। প্রভাবশালীদের দখলের কারণেই সেতু থাকলেও সড়কটি ব্যবহারে সর্বসাধারণের দুর্ভোগ বেড়েছে। ফলে সেতুটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না। তাই সেতুটি বালু, ইট ও খড় শোকানোর কাজে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর কাছে অবিলম্বে সড়কটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩২৫ ফুটের সেতুটি তিন কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়। সেতুর উত্তর পাশে পিচ ঢালাই করে দেড় কিলোমিটার সড়ক করা হয়। কিন্তু সেতু নির্মাণের ৮ বছর অতিবাহিত হলেও সেতুর দক্ষিণ পাশের সড়কের জায়গা স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকার কারণে সড়কটি এখন পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি। এ নিয়ে প্রয়াত এমপি একাব্বর হোসেন ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু হস্তক্ষেপ করলেও পরে তা আর কাজে আসেনি।

কুমারজানি গ্রামের বাসিন্দা ইমান আলী বলেন, মহাসড়কের পাশে কোথাও মনে হয় এরকম খারাপ রাস্তা নেই। আমরা একটা গাড়ি আনতে পারিনা, সেতু দিয়ে শুধু হাটতেই হয়। দেওহাটা বাজার কমিটির লোকজন সেই শুরু থেকে বলে আসতেছে সড়ক করে দেই, দিচ্ছি,কিন্তু তা আর করে দিচ্ছে না। প্রয়াত এমপি সাহেব বলেছিলো সড়কটি করে দেবে সেতো মারা গেছে। তারপর এখন আর কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা বর্তমান এমপি সাহেবের কাছে দাবি জানাই যেনো আমাদের সড়কটি দ্রুত করে দেন।

প্রসঙ্গত, সেতুর উত্তর পাশের অংশ মির্জাপুর পৌরসভা এলাকা ও দক্ষিণ পাশের অংশ গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, সড়কটি এখনও পাকাকরণ করা হয়নি। এরকম অনেক সড়ক আছে। পাকাকরণ হলে সড়কের জায়গায় দখলে থাকলেও সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। তবুও আমরা ওই এলাকা পরিদর্শন করবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads