• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়ায় মাদক স্পটে পুলিশের হানা, মাদকসেবির কারাদণ্ড

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় মাদক স্পটে পুলিশের হানা, মাদকসেবির কারাদণ্ড

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ জুন ২০২২

এক সময় মাদক স্পটে বা বাড়িতে বিক্রি হতো। এখন তা যেন অনেকটা পাল্টে যাচ্ছে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে কৌশল পাল্টাচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। দিন দিন মাদক বিক্রিতে নতুন নতুন ধরন তারা অবলম্বন করছে। স্পটে বিক্রির পাশাপাশি কৌশলে চলছে চায়ের দোকানে মাদক বিক্রি। তাছাড়া ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপে অর্ডার করে লোকেশন দিলে জায়গা মত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও স্কফ। আবার কেউ কেউ মুঠোফোনে কল দিলে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল যোগেও পৌঁছে দিচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। এমন দৃশ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। এদিকে পৌর শহরের অদুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন সগির মার্কেটে একটি চায়ের দোকানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করলে এসবের সন্ধান পাওয়া যায়। শনিবার রাতে বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যায় হঠাৎ বেরসিক পুলিশ হানা দেয় চায়ের দোকানগুলিতে।

আখাউড়ার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রশাস্ত চক্রবর্তী এবং থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সরকারের নেতৃত্বে পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন সগিরের মার্কেটের সামনে চায়ের দোকান সমূহের সামনে অভিযান চালানো হয়। এসময় মাদক সেবনরত অবস্থায় শাহাদাত হোসেন (২৫) নামে এক কারবারিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক সেবন ও বহন করার অপরাধে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। শাহদাৎ হোসেন পৌর এলাকা দেবগ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এ সময় ৮ টি মোটর সাইকেল আটক করে যথাযথ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে না পারায়, হেলমেট ইত্যাদি না থাকায় সংশ্লিষ্ট মোটরসাইকেল চালকদের সর্বমোট ৫৭,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আটক করা হয় আরো একটি মোটর সাইকেল। সতর্ক করা হয় সংশ্লিষ্ট চা দোকানীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানা পুলিশের কাছে সংবাদ ছিল, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন জনৈক সগির আহমেদের মার্কেটের সামনের চা দোকানগুলোতে ইদানিং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সদর সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদকসেবীরা নতুন একটি আড্ডাস্থল বানিয়েছে। মাদক সেবন ও পাচারে সেখান থেকে তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন কৌশল। আগে মাদকসেবীদের নুরপুর গ্রামে নিয়মিত যাতায়াত থাকলেও পুলিশ সহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার টানা অভিযানে এসব মাদকসেবীরা এখন নুরপুর ছেড়ে নতুন এ আস্তনাটি চালু করেছে। থানা পুলিশ প্রথমে ছদ্মবেশে রেকি করে এলাকাটি পর্যবেক্ষণে নিয়ে আসে। এরপর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ভবিষ্যতে অভিযানকালে মাদকসেবীদের সনাক্ত করতে তাৎক্ষণিক ডোপ টেষ্টের ব্যবস্থা রাখা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলাবাহিনীর জোরদার অভিযানও অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads