• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বাধ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, স্কুল খোলা থাকলেও নেই শিক্ষার্থী

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

বাধ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, স্কুল খোলা থাকলেও নেই শিক্ষার্থী

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ জুন ২০২২

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে সড়ক দুই ভাগ হয়ে পড়েছে। বাধ ভেঙ্গে আইড়ল, ইটনা, খারকোট ও লক্ষীপুরসহ ৪ গ্রামের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে। ওই ৪ গ্রামের মানুষ এক প্রকার পানি বন্দী হয়ে পড়ে আছে। এর কারণে উপজেলার কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে পারছে না। বিদ্যালয় খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিজয় নামে চতুর্থ শ্রেণি এবং সাদিয়া আক্তার মিম, নাদিয়া আক্তার জিম ও ফাহমিদা সুলতানা ও সাদিয়া আক্তার নামে পঞ্চম শ্রেণির মোট পাঁচজন শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে দেখা গেছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাদিয়া আক্তারের বাড়ি মোগড়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে। বাকিরা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের আইড়ল গ্রামের। তারা সবাই সড়ক দ্বিখন্ডি হওয়ার ফলে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বিদ্যালয়ে এসেছে। আর বিজয়ের বাড়ি একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ২৭৬ জন। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ১৪৭ জন এবং ছেলে শিক্ষার্থী ১২৯ জন। এ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক আছেন ছয়জন। তাদেরও বিদ্যালয়ে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী বিজয় জানায়, তার গ্রামে পানি উঠেনি। কিন্তু তাকে কর্দমাক্ত রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে আসতে হয়েছে। তবে স্কুলে এসে অন্য সহপাঠীদের না পেয়ে তার খারাপ লাগছে। তার অনেক সহপাঠী পানিবন্দি হয়ে আছে বলে জানায় সে।

কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইড়ল, ইটনা ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের। কিন্তু সড়ক দ্বিখন্ডিত হওয়ায় ওইসব গ্রামের শিক্ষার্থীরা আসতে পারছে না। আমাদের শিক্ষকদেরও কয়েকটি গ্রাম পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মইনুল হোসেন বলেন, রোববার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি না হলে পানি দ্রুত কমে আসবে।

মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী বলেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানির চাপে হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখনো ৪টি গ্রাম ও ১০০ পরিবার পানিবন্দী। চারটি সড়ক ও অনেক পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। মৎস্যজীবীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads