• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
সুনামগঞ্জে ডিসি ভবনে ও আশ্রয়কেন্দ্রে জন্ম নিলো দুই শিশু

সুনামগঞ্জের একটি আশ্রয়কেন্দ্র

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সুনামগঞ্জে ডিসি ভবনে ও আশ্রয়কেন্দ্রে জন্ম নিলো দুই শিশু

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২১ জুন ২০২২

সুনামগঞ্জের বন্যা ও ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে সুনামগঞ্জ সদরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ও তাহিরপুরে আশ্রয়কেন্দ্র দুই শিশুর জন্ম হয়েছে। যার মধ্যে একজনের নাম রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার নৌকা বিকল হয়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সুমন মিয়া ও জমিলা বেগম দম্পতির ঘর আলোকিত করে ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এ সময় জেলা প্রশাসকের মোবাইলে প্রধানমন্ত্রী কল দিলে পুরো বিষয়টি তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী ছেলেটির নাম রাখেন নূহ আলম প্লাবন।

জানা যায়, পৌর শহরের মল্লিকপুর থেকে স্ত্রীর প্রসবব্যাথা ওঠলে জগন্নাথপুরের সুমন মিয়া (৩৫) নৌকা নিয়ে হাসপাতালে রওনা দেন। পথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে নৌকাটি আটকে যায়। এর পর জেলা প্রশাসকের সহায়তা পেয়ে তাঁর কার্যালয়ে ফুট ফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন সুমন মিয়ার স্ত্রী জমিলা বেগম (২৭)।

শনিবার রাতে মা ও নবজাতকে দেখতে যান জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করলে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তাঁকে জানান। এর পর প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগে জন্ম নেয়া এ শিশুর নাম রাখেন নূহ আলম প্লাবন।

গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নবজাতক প্লাবনকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নতুন পোশাক, মশারি, তেল, লোশনসহ উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে। মা ও নবজাতক বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভালো আছে।

এদিকে তাহিরপুর উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে জামাল-সুবর্ণার ঘরে এক শিশুর জন্ম হয়। গত শনিবার সকালে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া সুবর্ণা আক্তার (২৬) ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতক ও তার মা দুজনই এখন সুস্থ আছেন।

সুবর্ণার স্বামী মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানান, পরিবারের ২৩ জনকে নিয়েই এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি। শনিবার ভোরে আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে আশ্রয়কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় সকাল ৭টায় এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে ওই নবজাতককে দেখে এসেছি। প্রসব ব্যথা শুরু হলে পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি ক্লিনিকের এক সেবিকার সহযোগিতায় ওই নবজাতকের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও শিশুটি সুস্থ আছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads