মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজের) উপ সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এ সরকারি কর্মকর্তার দাবি, টেন্ডারের মাধ্যমেই গাছগুলো কাটা হয়েছে।
জানা গেছে, এক সপ্তাহে আগে টেন্ডার ছাড়াই মানিকগঞ্জ সড়ক ভবনের কোয়াটারের পিছন থেকে মেহগনী গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে তরা এলাকায় বিক্রি করেছেন সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজের) এক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, আলমগীর স্যার হঠাৎ করে সপ্তাহ খানেক আগে শ্রমিক নিয়ে এসে গাছগুলো কাটা শুরু করে। গাছের কিছু অংশ ভিতরে রেখে বাকি গাছগুলো তরা সেতুর ওপারে নিয়ে বিক্রি করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ভবনের কোয়াটারের পিছন থেকে মেহেগনী গাছ অর্ধেক খানেক কাটা হয়েছে। গাছের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে রয়েছে। মেহেগনী গাছের পাশ থেকেই আরো বেশ কিছু প্রজাতির গাছ কাটা হয়েছে। এবং সড়ক ভবনের পুকুরে পানিতে বড় একটি গাছের অংশ পড়ে রয়েছে।
উপ সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হয়েছে। টেন্ডারের কপি চাওয়া হলে তিনি গড়িমসি শুরু করেন। টেন্ডার হয়েছে কিন্তু কপি খুজতে হবে। এই মুহূর্তে দিতে পারবো না।
এ প্রসঙ্গে বিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার ভালো করে জানা নেই। মনে হয়, আমাদের প্রধান বৃক্ষ পালন বিদ কার্যালয় থেকে এসে গাছগুলোর এস্টেমিট করে ছিল। স্যার আমাকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন। টেন্ডার হয়েছে কি না আমি বলতে পারছি না।
মিরপুর পাইকপাড়া প্রধান বৃক্ষ পালন বিদ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী মুকটু মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, বছর দুই আগে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ সওজের গাছ কাটার টেন্ডার হয়ে ছিল। বর্তমানে ওই অফিসের কোন গাছ কাটার টেন্ডার হয়নি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস -উল - হাসান মারুফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনি বলার পরে আমি উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। যদি টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।