• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
এসএসসি পাস আল আমিন এখন 'সর্বরোগের ডাক্তার'

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

এসএসসি পাস আল আমিন এখন 'সর্বরোগের ডাক্তার'

  • নুরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০২২

চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মত নেই কোনো ডিগ্রি। এসএসসি পাস করেই 'সর্বরোগের ডাক্তার' বনে গেছে ডাক্তার আল আমিন। অথচ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্য মেডিটেক ইনস্টিটিউট  প্রতিষ্ঠান থেকে নাম মাত্র ফিজিওথেরাপি কোর্স করে হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা বাজারে চেম্বার খুলে সর্বরোগের চিকিৎসা দিচ্ছে কতিপয় ডাক্তার আল আমিন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা সেবার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে এই কতিপয় নামধারী ডাক্তার আল আমিন। 

সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে আরো জানা যায়, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারে মানব সেবা ফার্মেসিতে ফিজিও থেরাপি খোলার জন্য আবেদন করেন আল আমিন। পরে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ৬ টি শর্ত সাপেক্ষে  ফিজিও থেরাপি চালু করার জন্য অনুমোদন দেন। শর্তে বলা হয়েছে, তিনি কোনো রোগীকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারবে না। নামের আগে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীর সাথে প্রতারণা করতে পারবে না। এই শর্ত না মেনে কতিপয় ডাক্তার আল আমিন বাল্লা বাজারে চেম্বার খুলে প্রতিদিন শতশত রোগীর কঠিন কঠিন চিকিৎসা দিচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার  ঝিটকা বাজারে ডাক্তার আল আমিনের কোনো ফিজিও থেরাপি সেন্টার নেই। উপজেলার বাল্লা বাজারে বিসমিল্লাহ ফিজিও থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড ফার্মেসিতে রোগী দেখছেন তথাকথিত ডাক্তার আল আমিন। ফিজিও থেরাপি নাম থাকলেও এ চেম্বারে নেই কোন ফিজিও থেরাপির কার্যক্রম। 

চুলকানি চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা নামের এক রোগী বলেন, আমার এলার্জির সমস্যা তাই ডাক্তারের কাছে আসছি। লোক মুখে শুনেছি এই ডাক্তার নাকি চুলকানি চর্মরোগের চিকিৎসা করে। 

দাঁতের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা আসমা বেগম এক রোগী বলেন, আমার দাঁতে সমস্যা তাই ডাক্তার দেখাতে আসছি। 

এ বিষয়ে আল আমিন বলেন, আমি পাঁচ বছর ফিজিও থেরাপির উপর কোর্স করেছি। আমি শুধু ব্যথাজনিত রোগীর চিকিৎসা দেই। আর আপনার মত কত সাংবাদিক আমার কাছ থেকে টাকা নেয়। সব কিছু সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। আপনিও আসবেন চা খেতে। কোন সমস্যা নেই। 

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন,ফিজিও থেরাপি অনুমোদন নিয়ে অন্য রোগের চিকিৎসা দিতে পারিবে না। যদি তিনি সর্বরোগের চিকিৎসা করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads