ঢাকা জেলার সাভারে চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. সাদ্দাম হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার দিবাগত রাতে ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. সাদ্দাম হোসেন সাভার উপজেলার তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিন ধারা (শ্যামপুর বাজার) গ্রামের মৃত কুতুব আলীর ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী সাভার মডেল থানার একটি এলাকায় তার ভাইয়ের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ভুক্তভোগীর ভাই-ভাবী একই এলাকার একটি অফিসে চাকুরি করেন। প্রতিদিনের মতো তার ভাই-ভাবী গত ১২ জুন দুপুরের খাবারের জন্য অফিস থেকে বাসায় এসে খাবার খেয়ে ভুক্তভোগীকে একা রেখে পুনরায় অফিসে চলে যায়। এই সুযোগে আসামি সাদ্দাম হোসেন ওই কিশোরীকে বাসায় একা পেয়ে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে শ্যামপুর এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ীর দোতলার নিচতলায় ডেকে নেয়। এরপর তার হাত-পা বেঁধে সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য আসামিরা পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসে। আসামিরা ওই সময়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরে গত ১৪ জুন ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
এই বিষয়ে র্যাব ৪ এর এ এসপি মাজহারুল ইসলাম বলেন, র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গতকাল শুক্রবার দিনগত রাতে চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামী মো. সাদ্দাম হোসেনকে ধামরাই উপজেলা কেলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।