• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ফসল না ফলার শঙ্কায় কৃষক

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

বেড়ার বিভিন্ন চরাঞ্চলে আবাদি জমিতে বালুর স্তর

ফসল না ফলার শঙ্কায় কৃষক

  • বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০২২

পাহাড়ি ঢলের পানি এবং উজানের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর পানির স্র্রোতে বালু মাটি এসে পাবনার বেড়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমিতে স্তর পড়ছে। প্রায় ছয়শ বিঘা নিচু এলাকার আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে আগামীতে মাষকলাই-খেসারি মৌসুমে অনেক আবাদি জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। জানা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার চর সাঁড়াশিয়া, হাটাইল-আড়ালিয়া, চরনাগদাহ, চরনাকালিয়া, চরপেঁচাকোলা, চর পাইখন্দ, চর সাফুল্লা- মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকার জমিগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। ফলে ক্ষতি হয় বিভিন্ন ফসলাদির জমি।

বর্তমানে অধিকাংশ জমি হতে পানি নেমে গেলেও রয়ে গেছে বালুর স্তর। চরসাঁড়াশিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল ছাত্তার বেপারী বলেন, তার চার বিঘা আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরসাফুল্লা গ্রামের চাষি গজনবী বলেন, তার ১৫ বিঘা জমিতে বালু পড়েছে। আচান মোল্লার চার বিঘা, হাবিবর মোল্লার পাঁচ বিঘা, গফুর মোল্লার ছয় বিঘা, শাহাদৎ মোল্লার সাত বিঘা, আইযুব মোল্লার চার বিঘা, ইয়াকুব মোল্লার ছয় বিঘা, চরনাগদাহ গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লার আট বিঘা, বাতেন মোল্লার ১০ বিঘা, কাদের মোল্লার ২০ বিঘা, আফান মোল্লার ৫০-৬০ বিঘা আবাদি জমি বালু পড়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে।

এ ছাড়া এসব এলাকার স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি এবং উজানের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙনের কারণে বালু মাটি এসে জমিগুলো নষ্ট করে ফেলেছে। বালুর স্তর পড়া এসব জমিতে আগামী আশ্বিন মাসে শুরু হওয়া মৌসুমে চরাঞ্চলের অর্থকরী ফসল করা যাবে না। বালুর স্তর পড়া জমিতে যে কোনো ফসলে বীজ বপন করলে তা হবে না। এসব এলাকার কৃষকরা খুবই চিন্তিত। অনেক কৃষক বলেন, সাম্প্রতিক বন্যা ও নদী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তার ওপর আবার জমিতে বালুর স্তর, এ যেন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads