মাদকসেবিদের উৎপাত ঠেকাতে শিগগিরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তল্লাশি চৌকি বসানো হবে। ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিশেষ বরাদ্দ থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জায়গা বাছাইয়ের কাজ শেষে তল্লাশি চৌকি নির্মাণ কাজ শুরু হবে। বুধবার রাতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়ম কালে আখাউড়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ ওসি আসাদুল ইসলাম চৌকির বিষয়টি জানান। পরে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পুলিশের আয়োজনে থানা হল রোমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভা ওসি আসাদুল ইসলাম আরো বলেন সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পন। পুলিশ এবং সাংবাদিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে সমাজ থেকে সব ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড নির্মূল করা সম্ভব। তিনি সেবার ধরণ পাল্টাতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আরো বলেন টাকা নিয়ে সেবা দিতে হবে এমন অবস্থা কোন ভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। মানুষ যেন পুলিশের সর্বোচ্চ সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করা হবে। মাদক পাচার সম্পর্কে তিনি বলেন যে কোন মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি এ অবস্থা উত্তোরণের পথ খোঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার বিষয়য়ে আলোকপাত করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মো: কামরুল ইসলাম, ওসি তদন্ত সঞ্জয় কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আখাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মানিক মিয়া,সাংবাদিক দুলাল ঘোষ, হান্নান খাদেম,মো. সাইফুল ইসলাম, জুটন বনিক, মহিউদ্দিন মিশু, বাদল আহমেদ, মো: রুবেল, মো: ফজলে রাব্বি প্রমূখ। সাংবাদিকরা এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে ওসির সহযোগিতা কামনা করেন।
আখাউড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপন চক্রবর্তী বলেন মন্ত্রী মহোদয়ের বিশেষ বরাদ্দের এক লাখ টাকা দেওয়া হবে চৌকির জন্য। চৌকির জায়গা নির্ধারণের পর পুলিশ বরাদ্দ নিবে বলে জানায়।