• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
প্রবাসী স্বামীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে শিশু কন্যাকে অপহরণ নাটক

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

প্রবাসী স্বামীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে শিশু কন্যাকে অপহরণ নাটক

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ আগস্ট ২০২২

ইরাক প্রবাসী স্বামীর নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য নিজের শিশু কন্যাকে অপহরণ নাটক সাজিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে এক নারী। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে উদ্ধার ও শিশুটিসহ তার মা এবং নানীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের উকিল আহমেদের শিশু কন্যা মঞ্জিলা স্থানীয় সার্ক মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। বুধবার বিকালে তার মা ফারজানা থানায় এসে জানায় তার মেয়েকে অপহরণ করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক শিশুটির স্কুলে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে দেখা যায়, শিশুটি স্কুল থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে না গিয়ে উল্টে দিকে যাচ্ছে এবং তার পিছনে বোরখাপড়া এক নারী রয়েছে। একটি অটোরিক্সায় তারা সারিয়াকান্দীর ফুলবাড়ি বাজারে নিকট যায়। পুলিশ অটোরিক্সাটি সনাক্ত করে। এদিকে শিশু অপহরণের অভিযোগ নিয়ে আসা তার মার কথা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুরু করলে অপহরণ প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে।

তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ জানায়, স্কুল থেকে বের হয়ে শিশু মঞ্জিলা তার মায়ের সঙ্গে ফুলবাড়িতে যায়। সেখানে আগে থেকেই নানী নাজমা ছিলেন। পরে শিশুটিকে নানী নাজমার বোনের বাড়িতে রেখে এসে পরিকল্পনা অনুযায়ি অপহরনের ঘটনা সাজিয়ে পুলিশকে জানান হয়।

এর কারণ হিসাবে পুলিশকে শিশুটির মা ফারজানা জানিয়েছে, বিভিন্ন সময় শিশুটির পিতা উকিল আহমেদ বিদেশ থেকে টাকা পাঠান। সম্প্রতি সে টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা হারিয়েছে বলে স্বামীকে জানালে তিনি মেনে নেন। ৩/৪ দিন আগে আবার ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা হারিয়েছে বলে শিশুটির মা অপহরনের গল্প সাজান। শিশুটকে মিথ্যা গল্প শিখিয়ে অপহরণ নাটকের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন। ফারজানার স্বামী ইরাক প্রবাশী উকিল আহমেদ কয়েক দিনের মধ্যে দেশ ফেরার কথা। সেজন্যই দ্রুত এই অপহরণের গল্প তৈরি করা হয়। তবে গাবতলি পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে তা ভেস্তে যায়। পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় কথিত অপহরন নাটকের শিকার শিশুকে উদ্ধার এবং তার মা ও নানীকে হেফাজতে নেয়।

গাবতলি থানার ওসি বৃহস্পতিবার জানান, উদ্ধারকরা শিশু ও তার মা এবং নানী ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগ না থাকলে পরিবারের কোন অভিভাবকের নিকট হস্তান্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads