• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
কাঁধে চড়ে ঘুরছে গোলাম মাওলার শালিক পাখি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কাঁধে চড়ে ঘুরছে গোলাম মাওলার শালিক পাখি

  • কাজী মফিকুল ইসলাম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • প্রকাশিত ১৩ আগস্ট ২০২২

কখনও কাঁধে, কখনও মাথায়, আবার কখনও গাছের ডালে কিংবা ঘরে বসছে। কখনও আবার আপন মনে উড়ছে। এক কথায় কাঁধে বসে গোটা এলাকা মাতিয়ে রেখেছেন পোষমানা একটি শালিক পাখি। এমন দৃশ্য দেখা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর মো.গোলাম মাওলার বাড়িতে। পাখিটির আচরণ ও দুরন্তপনায় মুগ্ধ-আনন্দিত লোকজনরাও। অতি সহজে পোষমানা এই শালিক পাখিটি মানুষের মন জয় করেছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অবাক করা শালিক পাখিটিকে দেখতেও আসছেন অনেকে। পাখিটি লালন পালন করছেন ওই এলাকার মো: মুছা মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা। বর্তমানে পাখিটির বয়স দুই বছর। সারাক্ষণ পাখিটি যেন মালিক গোলাম মাওলার সঙ্গী হয়ে আছে। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে বেড়ানো সব কিছুই যেন হয় তার কাঁধে ও মাথায় বসে। শালিক পাখির মুখে শিশুর মতো কথা শুনতে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন বয়সী তার বাড়িতে দেখতে আসছেন।

সাধারণত টিয়া, ময়না পাখি মানুষের মতো কথা বলতে পারে। তবে গাছে গাছে ঘুরে বেড়ানো শালিক পাখি কীভাবে কথা বলে তার বাড়িতে এসে প্রমাণ মিলেছে। বাড়ির সবাই পাখিটিকে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে কাছে এসে যায় । খাঁচায় বন্দি জীবন নয়, এই পাখিটি নিজের ইচ্ছে মতো উড়ে বেড়ায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের এক পাশে ২টি খাঁচা রয়েছে। সেখানে বসে আছে একটি শালিক ও একটি টিয়া পাখি । মুক্ত শালিক ও টিয়া পাখি দুটি মুক্তমনে এদিক ওদিক ঘুরছে। কখনও গাছের ডালে কিংবা বাড়ির আঙ্গিনায় ঘুরছে। আবার কখনও কাঁধে বসে চড়ছেন। সেই সাথে খাচ্ছে খাবার ও।

তাছাড়া বাড়ি অন্যান্য লোকজন দেখলেও কাঁধে বসছে কিংবা কাছে যাচ্ছে। আবার ফিরে যাচ্ছে পাখিটির পালনকারির কাছে। শালিক পাখির এসব দৃশ্য যেন সবাইকে মুগ্ধ করছে।

গোলাম মাওলা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ছোট বেলা থেকেই পাখি পালনের প্রতি তার শখ ছিল। এ পযর্ন্ত তিনি ৮ থেকে ১০টি শালিক পাখি লালন পালন করেছেন। পাশাপাশি টিয়া ঘুঘুসহ অন্যান্য পাখিও পালন করেন। নিজের সন্তানের ন্যায় পাখিকে তিনি যত্ন করে লালন পালন করে থাকেন। এদিকে দুই বছর আগে বাড়ি সংলগ্ন একটি গাছ থেকে একটি শালিক পাখির ছোট্ট বাচ্চা বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এরপর শুরু হয় তার যত্ন-পরিচর্যা । খাবার খাওয়ানো গোসল করা সবই তিনি নিজে করছেন। ধীরে ধীরে পাখিটি বড় হতে থাকে এবং পোষ মানতে শুরু করেন। এখন নিজের মতো করেই খাবার খায়। তিনি আরও বলেন এই পাখিটা কয়েকটি নাম ধরে ডাকতে পারে। পাখি দুটি নিয়মিত কলা, পেয়ারা, আপেল, মুড়ি খায়।

আমরা যখন খেতে বসি তখনই উড়ে এসে আমাদের পাশে বসে। তবে ঘরের মধ্যে পাখি থাকায় কোনো সমস্যা হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, পাখি থাকায় আমাদের বরং ভালোই লাগে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো: আফজাল হোসেন বলেন, গোলাম মাওলা একজন পাখি প্রেমিক। ছোট বেলা থেকেই তিনি পাখির প্রতি খুবই দুর্বল। বিভিন্ন স্থান থেকে পাখি এনে লালন পালন করছেন। তার পাখিপ্রেম দেখে খুবই ভালো লাগে।

মো: মোবারক হোসেন বলেন, লোকমুখে শুনে গোলাম মাওলার বাড়িতে আসা। শালিক পাখিকে এই ভাবে দেখব কল্পনা করিনি। সত্যি এই পাখি দেখে অবাগ হয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads