• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ধামরাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ধামরাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল

  • মো: মনোয়ার হোসেন রুবেল, ধামরাই (ঢাকা)
  • প্রকাশিত ১৮ আগস্ট ২০২২

ঢাকার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. রবিউল করিমের 'জুয়া খেলার' তিন মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছ। এ নিয়ে কালামপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে এমন অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন মো. রবিউল করিম।

মো. রবিউল করিম উপজেলার কালামপুর এলাকার মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।  সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে ৩০২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

জুয়া খেলার এমন ভিডিও দেখে কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সদস্যরা অনেকেই অভিযোগ করে বলছেন, শুধু জুয়া নয় রাত হলেই কালামপুর বাজার বণিক সমিতির এই অফিসে মাদক সেবন ও নারী নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ রবিউল করিম। রবিউলের নেতৃত্বেই বণিক সমিতির অফিসের ভিতরে নিয়মিত বসে এই আসর।

তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কালামপুর বাজার বণিক সমিতির অফিসের ভিতরে রবিউলসহ তার আরো ৭/৮ জন সঙ্গী মিলে জুয়া খেলছেন। বণিক সমিতির অফিসের টেবিলে বসেই জুয়া খেলতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সূতিপাড়া ও সানোড়া ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত কালামপুর বাজার । ঢাকা জেলার মধ্যে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ বাজারে প্রায় ৮শত ব্যবসায়ী রয়েছেন। এমন ঐতিহ্যবাহী বাজারের সুনাম নষ্ট করায় সভাপতি রবিউলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালামপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কালামপুর বাজার বণিক সমিতির অফিসে জুয়া খেলাসহ মাদক সেবন, নারী নিয়ে এসে অনৈতিক কাজ চলছে শুনেছি। তার প্রমাণও দেখলাম। বাজারের ব্যবসায়ীরা সভাপতি রবিউল করিমের কাছে জিম্মি। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায় না।

কালামপুর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, এর আগে অনেক শুনেছি যে আমাদের বণিক সমিতির অফিসে বসে সভাপতি এমন নেক্কারজনক কর্মকান্ড করে। তখন বিশ্বাস হতো না। তার যে চেহারা শরীর তা দেখে মনে হয় না তিনি এমন কাজ করেন। কিন্তু ভিডিওটি দেখে আমার সেই বিশ্বাস ভেঙে গেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর সঠিক বিচার চাই।

হার্ডওয়্যার দোকান ব্যবসায়ী মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের এই বাজারে প্রায় ৭ থেকে ৮শত ব্যবসায়ী আছি। আমরা সবাই তাকে ওই অফিসে বসাইছি বাজারের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু সে সেই অফিসে বসে অনৈতিক কাজকর্ম করবে এটা আমরা কেউ মানতে পারছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এই অফিসে জুয়া ছাড়াও মাদক সেবন ও নারী নিয়ে অনৈতিক কাজকর্ম হয় এটা সঠিক কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যারা রাতে জুয়া খেলতে পারে তারা তো এই সকল কাজকর্মের সাথে জাড়িত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।  

কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল হোসেন বলেন, আমি অন্যদের কাছে বিষয়টি শুনছি। কমিটি থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির ১১জন সদস্য আছি। সবাই বসে দেখি কি করা যায়।

ধামরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও কালামপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি রবিউল করিম বলেন, ঈদ আসলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা মারে ওটাই। ওই সময় গোপনে ভিডিও করে এই কাজ করছে আমার প্রতিপক্ষ। বাজারের নির্বাচন চলে আসছে ভোটারদের কাছে খারাপ বানানোর জন্য এরকম করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads