নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার হুজুরের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই হুজুর পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের পশ্চিম রামখানা এলাকার চৌধুরী রেজাউল আলম চান্দেরহাট নূরানী ও হাফেজিয়া মাদসায়।
এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলাৎকারের শিকার ছাত্রের পরিবার। স্থানীয় ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পশ্চিম রামখানা এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে এবং চৗধুরী রেজাউল আলম চান্দেরহাট নূরানী ও হাফেজিয়া মাদসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষক মাওলানা মো. হান্নানুর রহমান ওই মাদরাসায় থাকা ১৪ পাড়া কোরআনের হাফেজ ছাত্র (১৩) কে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গা-মাথা টিপে নিয়ে এক পর্যায়ে তাকে ফুসলিয়ে বলাৎকার করে। পরদিন বলাৎকারের শিকার ছাত্র বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন তার হাটাচলা ও অস্বাভাবিক আচরন দেখে কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে সে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। পরে তার নানা এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হুজুরের মাধ্যমে বলাৎকারের ঘটনা খুলে বলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই মাদরাসার হুজুর হাফেজ মাওলানা হান্নানুর রহমান পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রের দুলাভাই জানায় ঘটনাটি অতি লজ্জাজনক। হুজুরের মাধ্যমে এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। তবে আমরা মাদরাসা কমটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা সমাধান করতে চেয়েছেন। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, একজন মাদরাসার হুজুর হয়ে ছাত্রের সাথে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা মুখে বলার মতো নয়। আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে চৌধুরী রেজাউল আলম চান্দেরহাট নূরানী ও হাফেজিয়া মাদসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুর উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান জানান, আমরা বিষয়টি ভুক্তভোগী ছাত্রের মুখ থেকে শুনেছি। বিষয়টি আসলেই ন্যাক্কারজনক। আমরা ওই হুজুরকে হাজির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে কথা বলতে ওই হুজুরের বাড়িতে গেলে তার বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।
রামখানা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সরকার বলেন, ঘটনা জানার পর আমি মাদরাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। হুজুর বর্তমানে পলাতক আছে। তাই ওই পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে গতকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত চলমান রয়েছে।