নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করা রাফায়েতুজ্জামান রিফাতসহ (১৬) ৩ জনকে ফেনসিডিলসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
আটকৃতরা হলো মো. আসাদ (২৮), ইরফান রাব্বি (২৪) ও রাফায়তুজ্জাান রিফাত (১৬)। এরমধ্যে রাফায়েতুজ্জামান রিফাত ও ইরফান রাব্বি আপন ভাই। রিফাত নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সৈয়দপুর উপজেলার সমন্বয়ক দাবি করে আসছিল।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে শহরের নিমবাগান এলাকায় তাঁদের মোটরসাইকেলে বিশেষ কায়দায় রাখা ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ জনগণ ধরে ফেলে। পরে তাঁদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে দেয়।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক নিমবাগান এলাকার বাসিন্দারা জানান, এরা শিক্ষার্থীদের নাম করে অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে ফেনসিডিল, ইয়াবা, টেপেন্ডাসহ অন্যান্য মাদক ব্যবসা করে আসছিলো। রিফাত ও রাব্বি মাদক সরবরাহকারী। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে বিভিন্ন হুমকি মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখাতো। সমন্বয়ক দাবি করে সে চাঁদাবাজিও করতো।
সৈয়দপুরের মূলধারার শিক্ষার্থীরা তাঁর অপকর্মের জন্য অনেক আগেই সতর্ক করেছিলেন। আরেক প্রতক্ষ্যদর্শী জুয়েল চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন থেকে এরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। জনগণ তাঁদের হাতেনাতে ধরেছে এবং গণপিটুনি দিয়েছে। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সৈয়দপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শাকিল চৌধরী, শাহরিয়ার রিফাত, সোয়েব, সাকিব জানান, নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করা রাফায়েতুজ্জামান রিফাতের অপকর্মের ব্যাপারে আমরা অনেক আগেই তাঁকে বয়কট করেছি। কোন প্রকার লেনদেন না করে বা শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না করে সকলকে আগেই সতর্কও করেছিলাম আমরা। সে শিক্ষার্থীদের কাছে পাত্তা না পেয়ে পরে একটি সংগঠন তৈরী করে নিজের ইচ্ছামত অপকর্ম করে আসছিল। শিক্ষার্থীদের নামে অপকর্ম করায় তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে, সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আখতার হোসেন জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে জনগণ ফেনসিডিলসহ তাঁদের হাতে নাতে আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।