• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ক্রমেই থিতু হচ্ছেন সাকিব-মোস্তাফিজ

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

ক্রমেই থিতু হচ্ছেন সাকিব-মোস্তাফিজ

  • তারিক আল বান্না
  • প্রকাশিত ২১ এপ্রিল ২০২১

বাংলাদেশের দুই ক্রিকেট তারকা এখন রয়েছেন ভারতে। সেখানে তারা আইপিএলের ১৪তম আসরে অংশ নিচ্ছেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে এবং কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন রাজস্থান রয়্যালসে। আইপিএলে পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশের নামি-দামি তারকা খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছেন। তাই এখানে একটি দলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করা খুবই দুরূহ ব্যাপার। তার পরও বাংলাদেশের সাকিব ও মোস্তাফিজ ধীরে ধীরে নিজ নিজ দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠছেন। খুব ভালো খেলতে না পারলেও তারা কেউ খারাপ খেলছেন না।  কলকাতা প্রথম ম্যাচে ১০ রানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে পারজিত করে। ১১ এপ্রিলের ওই ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মাঠে নামেন। তিনি ৫ বলে ৩ রান করে আউট হন। এখানে তার ব্যাটিং ভালো হয়নি- এ কথা বলা যাবে না। বল হাতে সাকিব ৪ ওভারে ৩৪ রানে ১টি উইকেট লাভ করেন। এটা তার এবারের আইপিএলে প্রথম উইকেট। কলকাতার একমাত্র প্যাট কামিন্স গড়ে ৮ এর নীচে রান দেন। তা ছাড়া বাকি সব বোলারই গড়ে ৮ বা তার চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন। তাই সাকিবের বোলিং প্রথম ম্যাচে আশানুরূপই হয়েছে বলা যায়। ১৩ এপ্রিলের ম্যাচে কলকাতা ওই ১০ রানে পরাজিত হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের কাছে। ম্যাচে সাকিব প্রথমে বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রানে ১টি উইকেট লাভ করেন। কলকাতার বোলারদের মধ্যে সাকিবই ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী। তিনিই একমাত্র বোলার যিনি গড়ে ৬ এর কম রান দেন। বাকি সব বোলারই গড়ে ৬ বা তার চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন। আর সাকিব দিয়েছেন গড়ে ৫.৭৫ রান। তবে ব্যাট হাতে সাকিব ছিলেন অনেকটাই ব্যর্থ। তিনি ৯ বলে ৯ রান করে ক্যাচ আউট হন। ১৮ এপ্রিল কলকাতা ৩৮ রানে হেরে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর কাছে। সাকিব ওই ম্যাচে বল হাতে ২ ওভারে ২৪ রান দেন। ম্যাচে কলকাতার সব বোলারই অনেক রান দেন। তবে ব্যাট হাতে তিনি মোটামুটি সফল। দলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান (একটি ছয় ও একটি চার সহ) করেন ২৫ বলে। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন আন্দ্রে রাসেল, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। অবশ্য সাকিবকে ব্যাটে আরো টি-টোয়েন্টি চরিত্রের হওয়া উচিত ছিল।

মোস্তাফিজুর রহমানের দল রাজস্থান রয়্যালস ১২ এপ্রিল প্রথম ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরে যায় পাঞ্জাব কিংসের কাছে। ওই ম্যাচে মোস্তাফিজ বল হাতে ৪ ওভারে ৪৫ রান দেন। পাঞ্জাবের ২২১ রানের ইনিংস ছিল বলে রাজস্থানের প্রায় সবাই অনেক রান দিয়েছেন। মোস্তাফিজ গড়ে ১১.২৫ রান দিয়েছেন। আর তার চেয়ে গড়ে বেশি রান দিয়েছেন শ্রেয়াস গোপাল (১৩.৩৩), বেন স্টোকস (১২.০০), রাহুল তেওয়াতিয়া (১২.৫০) এবং শিভাম দুবে (২০.০০)। দলের সবচেয়ে ভালো বল করেছেন ৩ উইকেট লাভকারী চেতন সাকারিয়া (৭.৭৫)। এ ছাড়া ক্রিস মরিস গড়ে ১০.২৫ এবং রিয়ান পারাগ ৭ রান দিয়েছেন। ১৫ এপ্রিল রাজস্থান তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেটে জয়লাভ করে। ওই ম্যাচে ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজ স্বরূপে আবিভূত হন। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন। তিনি মার্কাস স্টয়নিস ও টম কারানকে আউট করেন। জয়দেব উনাদকাট ছাড়া মোস্তাফিজ গড়ে সবচেয়ে কম রান দিয়েছেন। উনাদকাট ১৫ রানে ৩টি উইকেট লাভ করেন গড়ে ৩.৭৫ রান দিয়ে। আর মোস্তাফিজ গড়ে ৭.২৫ রান দেন। এ ছাড়া সাকারিয়া গড়ে ৮.২৫, ক্রিস মরিস ৯, পারাগ ৮ এবং তেওয়াতিয়া ৯.০০ রান দেন।  ১৯ এপ্রিল মোস্তাফিজদের দল তাদের তৃতীয় ম্যাচে ৪৫ রানে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যায়। ম্যাচে মোস্তাফিজ ১টি উইকেট পান ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে। মোস্তাফিজ তার শেষ ওভারে উইকেট না পেলেও দুটি রান আউটের কৃতিত্ব তার। তা ছাড়া ক্যাচ মিসের কারণে মোস্তাফিজ আরো একটি উইকেট লাভ থেকে বঞ্চিত হন। সব মিলে মোস্তাফিজ তার বোলিং নৈপুণ্য অব্যাহত রেখেছেন। 

দেখা যাক, সাকিব ও মোস্তাফিজ তাদের পরের ম্যাচগুলোতে কেমন করেন। বাংলাদেশের দর্শকদের আইপিএলে নজর প্রধানত এই দুই তারকাকে ঘিরেই। সামনে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সাকিব ও মোস্তাফিজ পুরো আইপিএলে ভালো করলে তা বাংলাদেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads