• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
রিকশাচালকের ছেলে শরিফুল এখন...

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

রিকশাচালকের ছেলে শরিফুল এখন...

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ এপ্রিল ২০২১

ক্রিকেট যার রক্তে মেশে, তাকে কি বঞ্চিত করা যায়, এর সুফল পাওয়া থেকে? নিশ্চয়ই নয়। হ্যাঁ, ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপে চমক দেখানোর পর ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ফরম্যাট টেস্ট দলে এখন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। বাবা ছিলেন ভূমিহীন কৃষক। অভাব ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। তিনবেলা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতেই শরিফুলের বাবা দুলাল ইসলাম পঞ্চগড়ের মৌমারী গ্রাম ছেড়ে চলে আসেন ঢাকার সাভারে। কৃষিকাজ ছেড়ে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতে শুরু করেন। আর শরিফুলকে ভর্তি করে দেন সাভারের একটি স্কুলে। এই ছেলেই এখন টেস্ট খেলোয়াড়।

বাঁহাতি পেসার শরিফুলের ক্রিকেটার হওয়ার ভাবনা কখনোই ছিল না! ভাবনার বাঁক বদলে যায় ২০১৬ সালে। স্থানীয় এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে টেপ টেনিসে এই পেসারের বল দেখে মুগ্ধ হন রাজশাহীর নামি কোচ আলমগীর কবির। তিনিই পথ দেখান শরিফুলকে। দিনাজপুর থেকে রাজশাহীতে পা রাখেন শরিফুল। প্রতিভার যত্ন নিয়েছেন আলমগীর কবির। শরিফুল বিশ্ব জয়ের পর তাই বারবার তার গুরুর কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন। জানাচ্ছিলেন,  ‘খেলার কোনো সরঞ্জাম ছিল না আমার। তিনিই ভারত থেকে আনা একজোড়া নতুন বুট তুলে দেন আমার হাতে। সকালে শুধু আমাকে নিয়েই আলাদা অনুশীলন সেশন করতেন। আর বিকেলে নিজ সন্তানের মতো যত্ন নিতেন।’

২০১৭ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এরপর তো বিপিএল ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়েও খেলার সুযোগ এসে যায়। তার পর স্বপ্নের সেই বিশ্বকাপ। গেল বছর বিশ্বজয়ী দলের হয়ে ৬ ম্যাচে তুলে নেন ৯ উইকেট। ইকোনমি ৩.৬৪। এই সাফল্যের পথ ধরেই এরই মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকও হয়েছে ১৯ বছর বয়সি শরিফুলের। তিনটি ম্যাচে শিকার ২ উইকেট। ছিলেন ওয়ানডে দলেও। এবার মিলল অভিজাত টেস্ট দলের পাসওয়ার্ড।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads