• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
‘আমিই ক্রিকেটের বস’

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

‘আমিই ক্রিকেটের বস’

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০২১

ক্রিস গেইল নিজেকে বলেন ‘ইউনিভার্স বস’। একসময় তার ব্যাটেও থাকত ‘ইউনিভার্স বস’ লেখা স্টিকার। আইসিসির বাধায় সেটা চালিয়ে যেতে পারেননি। এখন তার ব্যাটে স্টিকার থাকে শুধু ‘দা বস’। তবে মাঠের ভেতরে-বাইরে বরাবরই বিনোদনদায়ী এই তারকা মজা করে বললেন, আইসিসির নিদের্শনা মেনে চললেও ক্রিকেটের সত্যিকারের বস তিনি নিজেই।

ব্যাটে ‘ইউনিভার্স বস’ স্টিকার লাগানো থেকে বছর দুয়েক আগে থেকেই গেইলকে বিরত রেখেছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার পলিসি অনুযায়ী, ক্রিকেটাদের পোশাকে বা ক্রিকেট সামগ্রীতে ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং ও কোনো বার্তার সুযোগ নেই। সেন্ট লুসিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টির পর পুরনো সেই প্রসঙ্গ আবার জিজ্ঞেস করা হলো গেইলকে। ৭ ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৭ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে গেইল বললেন তার ব্যাটের স্টিকার নিয়ে। “এখানে শুধু লেখা ‘দা বস’। আসলে তো এটা ‘ইউনিভার্স বস’। তবে আইসিসি চায় না আমি ‘ইউনিভার্স বস’ ব্যবহার করি। তাই সংক্ষপ্তি করে শুধু ‘দা বস’ করে নিয়েছি। কারণ আমিই তো বস!”

গেইলকে তখন বলা হলো, টেকনিক্যালি ‘ইউনিভার্স বস’ তো আসলেই আইসিসিই, তারাই ক্রিকেট চালায়! স্বভাবসুলভ হাসিতে গেইলের উত্তর, ‘না না না, আইসিসি নয়, টেকনিক্যালি আমিই ক্রিকেটের বস।’ ‘ক্রিকেটের বস’ ২০ ওভারের ক্রিকেটে তার শ্রেষ্ঠত্বের আরেকটা নমুনা এই ম্যাচে রেখেছেন। শুধু ম্যাচ জেতানো বিধ্বংসী ইনিংসই নয়, এই ম্যাচে তিনি পূরণ করেছেন টি-টোয়েন্টিতে ১৪ হাজার রান। আর কোনো ব্যাটসম্যানের এমনকি ১১ হাজার রানও নেই। মাইলফলক ছুঁয়ে ৪১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বললেন, এখন তিনি তাকিয়ে ১৫ হাজারের দিকে। ‘১৪ হাজার টি-টোয়েন্টি রান করতে পারা দারুণ অর্জন। এখন আমার নিজেকে লক্ষ্য দেওয়া উচিত ১৫ হাজার। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৪ হাজার করতে পারা খুবই তৃপ্তির। আশা করি, আরো অনেক রান আসবে এবং দেখিয়ে দিতে পারব, এখনো আমার সামর্থ্য কতটা আছে।’

১০ হাজার ৮৩৬ রান নিয়ে অনেকটা পেছনে থেকে দুইয়ে আছেন তার ক্যারিবিয়ান সতীর্থ কাইরন পোলার্ড। গেইলের ১৪ হাজার এসেছে ৪২৩ ইনিংসে। পোলার্ডের ওই রান করতেই খেলেছেন ৪৮৪ ইনিংস। গেইলের পর তার ছক্কার সংখ্যা ১ হাজার ২৮টি। এই রেকর্ডের দুইয়ে থাকা পোলার্ডের ছক্কা ৭৩০টি। গেইলের বাউন্ডারি এখন ১ হাজার ৮৩টি। ডেভিড ওয়ার্নার এখানে দুইয়ে ৯৭৩ বাউন্ডারি নিয়ে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে অবিশ্বাস্যভাবে ২২টি সেঞ্চুরি গেইলের। এখানে তার পরে থাকা ডেভিন ওয়ার্নার, মাইকেল ক্লিঙ্গার ও অ্যারন ফিঞ্চের শতরান স্রেফ ৮টি করে। পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস একশর বেশি খেলা একমাত্র ব্যাটসম্যান গেইল, ১০৮টি। ওয়ার্নারের তা ৯০টি। এছাড়াও এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (১৭৫*), দ্রুততম সেঞ্চুরি (৩০ বলে), দ্রুততম ফিফটি (১২ বলে, যৌথভাবে), এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (১৮টি), এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান (১ হাজার ৬৬৫), হেরে যাওয়া ম্যাচে দেড়শ রানের একমাত্র ইনিংস (১৫১*), শূন্যবিহীন সবচেয়ে বেশি ইনিংস (১৪৫), এরকম অনেক রেকর্ড তার। এমনকি সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডও তার, ২৯ বার!

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads