• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সাকিব নৈপুণ্যে  সিরিজ বাংলাদেশের

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

সাকিব নৈপুণ্যে সিরিজ বাংলাদেশের

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০২১

সাকিব আল হাসানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সফরকারী বাংলাদেশ দল ৩ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করেছে। ম্যাচসেরা সাকিব ১০৯ বলে অপরাজিত ৯৬ রান করেন। তাকে দারুণ সহযোগিতা করেন সাইফুদ্দিন। তিনি করেন অপরাজিত ২৬ রান। রোববার হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ৯ উইকেটে ২৪০ রানের জবাবে বাংলাদেশ করে ৭ উইকেটে ২৪২ রান। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১৫৫ রানে জয়লাভ করে। আগামী মঙ্গলবার একই মাঠে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

২৪১ রানের জয়ের টার্গেটে নেমে দ্রুত সময়ে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা আরেকবার সামনে আসল। দলের সংগ্রহ যখন ৩৯, সিকান্দার রাজার হাতে বল তুলে দিয়ে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

তামিমের বিদায়ের পর দ্রুত ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। এনগারাভার বলে ব্রেন্ডন টেলরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ২১ রান করে এবার ২২ গজ ত্যাগ করেন লিটন। সাত রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত দলের হাল ধরতে ক্রিজে নেমে মোহাম্মদ মিঠুন বিদায় নেন দুই রান করে। আগের ম্যাচে ১৯ করে সাজঘরে ফিরেছিলেন ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে ব্যর্থ এই ব্যাটসম্যান। টপ অর্ডারের তিন ব্যাসম্যানকে হারিয়ে দল যখন বিপর্যস্ত, দলীয় সংগ্রহ ৭৫ রানের সময় রান আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়েন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

দলীয় ১৩০ রানের সময় মাহমুদউল্লাহ ২৬ রানে আউট হন। দলীয় ১৪৫ রানের সময় মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হলে বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। মিরাজ করেন মাত্র ৬ রান। সাকিব একাই দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। দলীয় ১৭৩ রানে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। সিকান্দার রাজার শিকারে পরিণত হন আফিফ। তিনি করেন ১৫ রান। সাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাইফুদ্দিন। তারা বেশ আস্থার সঙ্গে খেলে জয় নিশ্চিত করেন। 

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে স্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে ব্যাট করেন ওয়েসলে মাধেভেরে। খেলেন এই ফরম্যাটে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৫৬ রানের ইনিংস। সঙ্গে ব্রেন্ডন টেলর করেন ৪৬ রান। এছাড়া, ডিওন মেয়ার্স ৩৪, সিকান্দার রাজা ৩০, চাকাভা ২৬ ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি ১৩ রান করেন।

বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার শরিফুল ইসলাম একাই নেন ৪ উইকেট। একে একে ফেরান টেলর, মাধেভেরে, লুক জংওয়ে ও ব্লেসিং মুজারাবানিকে। এছাড়াও সাকিব আল হাসান নেন ২ উইকেট। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ হাতে চোট পাওয়ায় মাঠ ছাড়েন ৭ ওভার ২ বল করে। যেখানে একটি উইকেট নেন তিনি। এছাড়াও পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ১টি করে উইকেট পান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads