• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
লিটনের ক্যাচ মিসে হারলো বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

লিটনের ক্যাচ মিসে হারলো বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ অক্টোবর ২০২১

ভুলে ভুলে ভরা বাংলাদেশের ম্যাচ প্লানিং। বাংলাদেশের ইনিংস চলকালে শেষ কয়েক ওভারে ভালো স্কোর না তুলতে পারা ছিল বড় ব্যর্থতা। লঙ্কান সেট ব্যাটসম্যানদের সামলাতে আফিফকে বোলিংয়ে এনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বড় ভুল করেন। তারপরও অভিজ্ঞ বোলার সাকিব আল হাসান দুই উইকেট লাভ করে শ্রীলঙ্কাকে মারাত্মক বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু লিটন দাসের দুটি সহজ ক্যাচ মিসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।

আজ রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভালো সংগ্রহ করেও লজ্জাজনকভাবে ৫ উইকেটে হেরে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৪ উইকেটে ১৭১ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট ১৭২ করে।
১২.৪ ওভারে আফিফের বলে রাজাপাকশের ক্যাচ ফেলে দেন লিটন। ক্যাচ মিস হওয়ায় সেটি আবার চারও হয়ে যায়! ১৪.৩ তম ওভারে আবারও একট ভুল করেন লিটন। এবার ক্যাচ ফেলে দেন আসালাঙ্কার। লিটনের এই দুটি ক্যাচ মিস না হলে ম্যাচটি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে চলে আসতো।

১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তাসকিনের বদলে সুযোগ পাওয়া নাসুমের ঘূর্ণিতে চতুর্থ বলেই পরাস্ত হন মারকুটে ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন এক রানে। এর পর অবশ্য চারিথ আসালাঙ্কার আগ্রাসী ব্যাটিংই স্বস্তি ফেরায় লঙ্কান শিবিরে। সঙ্গী হন পাথুম নিসাঙ্কাও। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে-তেই তারা তুলে ফেলে ৫৪ রান। আসালাঙ্কা ১৮ বলে তুলেন ৩২ রান। নিসাঙ্কা ১৫ বলে করেন ১৯।

নবম ওভারে সাকিব বল করতে এসে সাজঘরে পাঠান নিসাঙ্কাকে। বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ফেরেন ২৪ রানে। দুই বল বিরতি দিয়ে বোল্ড করেন নতুন নামা আভিষ্কা ফার্নান্ডোকেও।

চাপে পড়ে যাওয়া লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে প্রাণ ফেরাতে তার পর নেমেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আক্রমণাত্মক এই ব্যাটারকে হাতই খুলতে দেননি সাইফউদ্দিন। এই ব্যাটার ৬ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তার পরেও একপ্রান্ত আগলে ম্যাচ বের করে নেন আসালাঙ্কা। ৪৯ বলে ৫টি চার ও ৫টি ছয়ে অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে। ম্যাচসেরাও হন তিনি। জীবন পাওয়া ভানুকা রাজাপাকশেও কম ছিলেন না। ফেরার আগে ৩১ বলে ৫৩ রান করেছেন। নাসুম তাকে বোল্ড করলেও ততক্ষণে জয়ের সুবাস পেতে থাকে লঙ্কানরা। তারা ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ১৮.৫ ওভারে।

নাসুম ২৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। ১৭ রানে দুটি নেন সাকিব আল হাসানও। একটি নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।

এর আগে টস হেরে ৪ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেন নাঈম শেখ। মিডল অর্ডারে আলো ছড়ান মুশফিকুর রহিম। এই দুই ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরিতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ফিফটি পেয়েছেন মুশফিক, আর নাঈম মাইলফলকটি স্পর্শ করেন ৪৪ বলে।

তার পরেও শুরুটা মন্দ ছিল না। লিটন দাস ও নাঈম মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪০ রান। তবে লিটনের (১৬) পর সাকিব আল হাসান (১০) দ্রুত ফিরে গেলে চাপ তৈরি হয়েছিল। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে খেলেন নাঈম-মুশফিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে নিজের সঙ্গে দলের রান বাড়িয়ে নেন তারা।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে নাঈম ৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৬২ রান। আর দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফর্মে ফিরে মুশফিক ৩৭ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। তার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। করেন ১০ রান।

শ্রীলঙ্কার তিন বোলার- চামিকা করুণারত্নে, বিনুরা ফার্নান্ডো ও লাহিরু কুমারা প্রত্যেকে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads