• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করলো পাকিস্তান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ নভেম্বর ২০২১

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হেরে তিন ম্যাচের সিরিজ হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

নতুন বোলার আনার ধারায় ১৯তম ওভারে সাঈফকে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর প্রথম বলেই এক রান নিয়ে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে জিতিয়ে দিলেন ফখর জামান। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ১১ বল হাতে রেখে ম্যাচটা জিতেছে পাকিস্তান। তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।

১৮তম ওভারে আফিফকে বোলিংয়ে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরেছেন হায়দার আলী। ৬ রান এসেছে ওভারে। বাংলাদেশের সমান ১০৮ রান হয়ে গেছে পাকিস্তানের।

১৭তম ওভারে নাজমুল হোসেনকে বোলিংয়ে এনেছে বাংলাদেশ। ৩ রান এসেছে ওভারে। ১৭ ওভারে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ১০২। আর ৭ রান দরকার পাকিস্তানের।

ফখর জামান ২৬ রানে থাকার সময় জীবন পেয়েছিলেন আমিনুলের হাতে তাঁর ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ায়। সেই আমিনুলের করা ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই আবার ক্যাচ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশ দলের। এবার ব্যাটসম্যান রিজওয়ান, আমিনুলের বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু তাসকিন ক্যাচ ধরতে পারলেন না। তবে জীবন পাওয়ার দুই বল পরই পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রিজওয়ান। ৪৬ বলে ৪ চারে ৩৯ রান করেছেন তিনি।

তবে উইকেটটা বড় দেরিতেই পেল বাংলাদেশ। ওভারে ৪ রান এসেছে। ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৯৯ রান পাকিস্তানের। আর জয়ের জন্য তাদের দরকার ১০ রান। হাতে ২৪ বল।

তাসকিনের ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিডউইকেটে বিশাল এক ছক্কা মেরেছেন ফখর। পরের বলে এল দুই রান, তাতে ফখরের অর্ধশতকও হয়ে গেল। ৪০ বলে ফিফটিতে পৌঁছালেন ফখর, ছক্কা তিনটি, চার দুটি।

ওভারে ১২ রান এসেছে। ১৫ ওভারে ১ উইকেটে ৯৫ রান পাকিস্তানের। জয় থেকে আর মাত্র ১৪ রান দূরে তারা।

১৪তম ওভারে প্রথম বলটা করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মোস্তাফিজকে। ওভারের বাকি ৫ বল করেছেন শরীফুল। খুব একটা ভালো করতে পারেননি। তাঁর তৃতীয় ও ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরেছেন ফখর।

ওভারে ৮ রান এসেছে। পাকিস্তানের রান ১৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮৩।

তাসকিন ফিরেছেন বোলিংয়ে। তাঁর ওভারে এসেছে ৪ রান। ১৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ৭৫। ফখর ও রিজওয়ান দুজনই ৩৫ রানে অপরাজিত।

গত ম্যাচের সেরা পারফরমার হাসান আলিকে বসিয়ে রেখে আজ শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে নামান বাবর আজম।

আর আফ্রিদি একাদশে ফিরে খুব একটা সময় নেননি। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন সাইফ হাসানকে। অভিষেক ম্যাচে ১ রানে আউট হওয়ার পর তরুণ ওপেনার এবার মারলেন গোল্ডেন ডাক।

আফ্রিদির ফুল লেংথ বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে। ওই গতির বল বুঝেই উঠতে পারেননি সাইফ। বল গিয়ে লাগে প্যাডে। প্রথমে জোরালো আবেদন সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান।  

ওয়াসিমের অফ স্টাম্পের বাইরে সাধারণ লেংথের বলে ফুটওয়ার্ক না করেই ব্যাট চালিয়ে দিলেন নাঈম। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় স্লিপে দাঁড়ানো ফখর জামানের হাতে।

৮ বলে ২ রান করে সমাপ্ত হয় নাঈমের ইনিংস। এই দুই ওপেনারের বিদায়ে মাঠে জুটি গড়ায় ব্যস্ত হন আফিফ ও শান্ত।

কিন্তু দারুণ সম্ভাবনাময় ইনিংস বাজেভাবে শেষ করেন আফিফ। শাদাব খান ডেলিভারিট করার আগেই রিভার্স সুইপের পজিশনে চলে যান আফিফ। শাদাব বল দেন একটু টেনে। আফিফের ব্যাটের মাথায় লেগে বল ওঠে ওপরে। সহজ ক্যাচ নেন কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান।

২১ বলে ২০ রান করে আউট হলেন আফিফ। শান্তর সঙ্গে তার ৪৬ রানের জুটি ভাঙে। গত ম্যাচে ব্যর্থ হলেও আজ দারুণ কিছু শট খেলেছেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ভালো জুটি গড়ার পথেই ছিলেন।

কিন্তু শান্তকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৩তম ওভারে হারিস রউফের ৪র্থ ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল। 

থার্ডম্যানে গ্লাইড করার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় কিপারের গ্লাভসে। ১৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরের পথে রওনা দেন মাহমুদউল্লাহ।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর যেন ক্রিজে থাকতে চাইলেন না শান্ত। পরের ওভারেই শাদাবের ফুল লেংথ বল আলতো করে ড্রাইভ করলে বল যায় মিড অনের দিকে। বোলার শাদাব বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্তভাবে লুফে নেন ক্যাচটি। শান্ত আউট হন ৩৪ বলে ৪০ রান করে। 

শান্তর পর মাঠে নেমে টিকলেন না শেখ মেহেদিও। ১৬তম ওভার মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শট খেলার চেষ্টা করেন মেহেদি। বল যায় সোজা বোলারের হাতে। মেহেদি ৮ বলে ৩ রান করেন মাত্র।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে ছন্নছাড়া টিম টাইগার্স দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করবে, এমনটাই আশা ছিল ভক্ত-সমর্থকদের। কিন্তু প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই লেজেগোবরে অবস্থা মাহমুদুউল্লার দলের। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রান করেছে মোটে ১২৭। মাঠটা মিরপুরের বলে বেশ কিছুক্ষণ ফাইটও দিয়েছে টাইগাররা।

একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের নাটাই বাংলাদেশের হাতেই ছিল। তবে ১৮ আর ১৯ তম ওভারে মুস্তাফিজ-শরিফুলের রান দেয়া বোলিংয়ে ম্যাচ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাবর বাহিনী।

বাংলাদেশ একাদশ : সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads