• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘টি-টোয়েন্টিতে সাফল্যের পথ খুঁজছে বাংলাদেশ দল’

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

‘টি-টোয়েন্টিতে সাফল্যের পথ খুঁজছে বাংলাদেশ দল’

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ জুলাই ২০২২

উইকেটে নেমেই ঝড় তুলে ম্যাচের গতি বদলে দেওয়া ব্যাটসম্যান প্রায় সব দেশেই আছে। কিন্তু এই জায়গাটায় বড় এক শূন্যতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে রয়েই গেছে। এর পেছনে শারীরিক গড়ন বড় একটি কারণ বলে মনে করেন জেমি সিডন্স। তাই অন্য উপায়ে ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজছেন বাংলাদেশ ব্যাটিং কোচ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরাবরই অধারাবাহিক বাংলাদেশ। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল নিদারুণভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করার বিষয়টি আলোচনায় আসে আরো তীব্রভাবে। এর জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ নিয়োগের পদক্ষেপও নেয় বিসিবি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ওই দেশেরই সাবেক অলরাউন্ডার অ্যালবি মরকেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে অল্প এই সময়ে কতটুকুই বা পরিবর্তন আনা সম্ভব।

ওয়েস্ট্র ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে আবারো ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আগামী শনিবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সংস্করণে মাঠের লড়াই শুরুর আগে তাই ঘুরেফিরে আসছে দেশের পাওয়ার হিটিং নিয়ে ঘাটতির কথা।

বিসিবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠনো ভিডিও বার্তায় সিডন্স তুলে ধরেন, এই দেশের ব্যাটসম্যানদের শারীরিকভাবে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি।
‘(ক্রিকেট) জাতি হিসেবে আমার মনে হয় না আমাদের খুব দীর্ঘকায় গড়নের খেলোয়াড় রয়েছে। যেমন, জস বাটলার ৬'২"... ড়েমঠন ম্যাক্সওয়েল ৬'২", মার্কাস স্ট্রয়নিস বড়সড় দৈহিক গড়ন... তাই আমাদের অন্যভাবে উপায় খুঁজতে হবে। আমরা শক্তির দিক থেকে অন্য দলগুলোকে পেছনে ফেলতে পারব না।’

বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে আস্থা আছে সিডন্সের। তার মতে, ব্যাটসম্যানদের এখন কেবল প্রয়োজন ভালো একটা সংগ্রহ গড়া। এর জন্য ছক্কা হাঁকানোর চিন্তার চেয়ে প্রান্ত বদল করে রান বাড়ানোর পথ বেছে নেওয়াকেই বেশি জরুরি মনে করছেন তিনি।

‘আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমার মনে হয় না, আমাদের অনেক বেশি রান করতে হবে। একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। তো সিঙ্গেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে হলে যে পাওয়ার হিটিংয়ে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে, অকপটে স্বীকার করে নিলেন সিডন্স।

‘তবে পাওয়ার হিটিং অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়। যত বেশি বাউন্ডারি, তত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। তাই আমাদের এখন পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। অনেক চার মারতে হবে... আপনি জানেন এটি (চার মারা) অনেকগুলো ছক্কা মারার মতোই। আমরা যদি অনেক চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল নিতে পারি... পাশাপাশি কিছু ছক্কা হাঁকালে আমরা সংগ্রহ গড়তে পারব। এরপর আমাদের বোলিং আক্রমণ বাকিটা সামলে নিতে পারবে। আমাদের বিশাল স্কোর করতে হবে না।’

গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাটসম্যানদের দক্ষতা বাড়াতে আলাদা কোনো জায়গা নিয়ে কাজ করার সুযোগই হচ্ছে না সিডন্সের। টানা খেলা থাকায় ম্যাচের প্রস্তুতি নিতেই পেরিয়ে যাচ্ছে সময়।

‘আমি মনে করি, আমার সেই সামর্থ্য রয়েছে (পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করার)। কিন্তু এখানে আসার পর মাত্র পাঁচটি ট্রেনিং সেশন হয়েছে। এর বাইরে কেবল ম্যাচ আর যাত্রা। পাওয়ার হিটিংয়ের স্কিল আয়ত্ত্ব করতে অনেক বেশি ট্রেনিং সেশন প্রয়োজন। ট্রেনিংয়ে আরো বেশি সময় দিয়ে দেখতে হবে খেলোয়াড়দের স্কিলে পরিবর্তন আনা যায় কি না। এই মুহূর্তে আমরা ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ অবস্থায় আপনি অন্য কিছু চিন্তা করতে পারবেন না। খেলোয়াড়দের জন্য নতুন টেকনিক রপ্ত করে একটা টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা খুবই কঠিন। এসব স্কিল ডেভলপ করার জন্য সময় প্রয়োজন।’

সিডন্স ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ শুরু করার পর কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। তাই এই সংস্করণে দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ তিনি।

‘টেস্ট ম্যাচগুলো খুব ভালো যায়নি। তবে আমি এখন টি-টোয়েন্টির দিকে নজর দিচ্ছি। আমি আসার পর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ছেলেরা। তাই আমাদের ব্যাটিং নিয়ে মতামত দেওয়ার মতো যথেষ্ট সময় আমি পাইনি। তবে আমি জানি, আমাদের দারুণ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে। দেখা যাক পরের তিন টি-টোয়েন্টি কেমন কাটে।’

‘আমাদের টি-টোয়েন্টি দলে বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় আছে। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার জন্য বা বিশ্বকাপে ভালো খেলার জন্য একটি ভালো টি-টোয়েন্টি দল গড়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া এশিয়া কাপও রয়েছে। এখানে তিনটি ম্যাচ, এশিয়া কাপেও কিছু ম্যাচ পাবো।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads