• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিলো বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিলো বাংলাদেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০২২

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে এ নিয়ে তৃতীয়বার টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো ক্যারিবীয়রা। এর আগে, ২০০৯ ও ২০২০ সালে হোয়াইটওয়াশ হয় তারা। শুধু তাই নয় উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১১টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা।

গায়ানায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটের।

ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। এই ওপেনার ১৩ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন আলজারি জোসেফের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

শান্তর বিদায়ের পর লিটন দাসকে নিয়ে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। যদিও লম্বা করতে পারেননি নিজের ইনিংস। বাঁহাতি ওপেনারকে বিদায় নিতে হয় গুডাকেশ মটির বলে ক্যাচ দিয়ে ৩৪ (৫২) রান করে।

তামিমের ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৬২ বলে লিটন দাস তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। বরাবর ৫০ (৬৫) রান করে গুডাকেশের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরলেও জয়ের ভীত গড়ে দেন লিটন।

আফিফ হোসেনের ব্যাট এদিন হাসেনি। ২ বলে খেলে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগে গুডাকেশের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন ১৯ বলে ১৯ রান করে ফেরেন গুডাকেশের বলে ক্যাচ দিয়ে।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ২৬ রান করতে খেলেন ৬১ বল। শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরানের বলে ক্যাচ দেন উইকেট-রক্ষক শাই হোপের হাতে।

রিয়াদ বিদায় নিলেও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়ে নুরুল হাসান সোহান দলকে জয় এনে দেন ১ ওভার ৩ বল বাকি থাকতে। সোহান ৩২ (৩৮) ও মিরাজ অপরাজিত থেকেছেন ১৬ (৩৫) রানে।

উইন্ডিজের পক্ষে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন গুডাকেশ মটি। ১টি করে উইকেট নেন আলজারি জোসেফ ও নিকোলাস পুরান।

এর আগে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। ২৭ মাসের দীর্ঘ বিরতির পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে তাইজুল ইসলাম একাই ধ্বসিয়ে দেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। ১০ ওভারে ২টি মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ (১০৯) রান করেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। এছাড়া ৩৩ রান আসে কেসি কার্টির ব্যাটে। ১৯ রান করেন রোমারিও শেফার্ড ও ১৮ রান আসে রভম্যান পাওয়েলের ব্যাটে।

বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ২ উইকেট করে নেন নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads