• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ওপেনিংয়ে বিজয়-নাঈম!

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

ওপেনিংয়ে বিজয়-নাঈম!

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ আগস্ট ২০২২

ঐচ্ছিক অনুশীলন। তবে বাংলাদেশ দলকে দেখে সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই। উপস্থিত দলের সব সদস‍্য। এমন একটা আবহ যেন, ম‍্যাচের আগের দিনের শেষ নেট সেশন। সেখানে যে ইঙ্গিত মিলল, সেটাই সত‍্যি হওয়ার আভাস দিলেন হাবিবুল বাশার। দলের সঙ্গে থাকা এই নির্বাচক জানালেন, ওপেনিংয়ে নামতে পারেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

আগের দিনের মতো শুক্রবারও বাংলাদেশ দল দুবাই ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলন শুরু করে রাত ৯টায়। ইনডোরে ওয়ার্মআপ করার পর শুরু হয় ব‍্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং অনুশীলন।

সেন্টার উইকেটে বোলারদের জন‍্য স্পট মার্ক করে রাখলেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকে ফিল্ডিং পজিশন বুঝিয়ে দিলেন পেস বোলিং কোচ অ‍্যালান ডোনাল্ড। এদিনই প্রথম সেন্টার উইকেটে বোলিং করলেন এই দুই পেসার।

মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেনকে দিয়ে শুরু হয় ফিল্ডিং অনুশীলন। আগের দিন সবার আগে নেট পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। এদিন আসেন এনামুল হক ও নাঈম।

প্রথম বল সামলালেন নুরুল হাসান সোহানের চোটে দলে ফেরা নাঈম। মোস্তাফিজের বিমারে পারলেন না ব‍্যাট ছোঁয়াতে। নেটে দুই পেসারের সঙ্গী ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান। বাকিরা ইনডোরে ব‍্যাটিং ও বোলিংয়ে ব‍্যস্ত ছিলেন।

নাঈম ও এনামুল ঠেকানোর খুব একটা চেষ্টা করেননি। শট খেলার দিকে মনোযোগী ছিলেন দুইজনই। ক্রিজ ব‍্যবহারেরও চেষ্টা করেন। তাদের ব‍্যাটিংয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ে মাঠের এক পাশে বাংলাদেশ থেকে আসা গণমাধ‍্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন বাশার। জানান, নাঈমকে দেওয়া হয়েছে আক্রমণাত্মক ব‍্যাটিংয়ের বার্তা।

‘(এনামুল) বিজয় অবশ‍্যই খেলবে। তার সঙ্গী কে হবে, আমরা আগামী দুয়েক দিনের মধ‍্যে ঠিক করে ফেলব। আমাদের মাথায় তো আছেই সেট আপ, দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী করি। নাঈমকে ওপেনিংয়ে খেলানোর ভাবনা আছে আমাদের। আমরা সম্ভাবনাটা খোলা রাখছি। এখনও ঠিক করিনি কে ওপেন করবে। তবে অবশ‍্যই নাঈম একটা অপশন। কারণ, এর আগেও সে টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করেছে।’

‘আমরা এখন (টি-টোয়েন্টিতে) ভিন্ন ক্রিকেট খেলতে চাচ্ছি। যেটা নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। নাঈমকেও সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদি নাঈম খেলে, অবশ‍্যই সে সেভাবে খেলার চেষ্টা করবে। আমরা আসলে ঠিক করিনি ওপেন কে করবে।’

যখন রান পেতেন, তখনও নাঈমের ইনিংস থাকত কাঠগড়ায়। মন্থর ব‍্যাটিংয়ের জন‍্য তার ইনিংসের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় সময়ই থাকত। এ নিয়ে সমালোচনার মধ‍্যেই রান হারিয়ে গেছে তার ব‍্যাট থেকে। সবশেষ ৯ টি-টোয়েন্টিতে তার নেই কোনো ফিফটি। এই সময়ে স্রেফ ১২.৫৫ গড়ে তার রান ১১৩, স্ট্রাইক রেট অবিশ্বাস্যরকমের খারাপ (৮১.৮৮)।

গত বিপিএলে তিনি মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা দলে জায়গা পেতেই ধুঁকেছেন। ৭ ইনিংসে ৮.৩৩ গড়ে তার রান কেবল ৫০, স্ট্রাইক রেট মোটে ৬৫.৭৮!

এর মধ‍্যে কিছু না করেই তিনি চলে এলেন দলে এবং একাদশেও ফেরার দুয়ারে দাঁড়িয়ে। দল যে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চায় তার সঙ্গে তো নাঈমের ব‍্যাটিং মানানসই নয়। এই পরিস্থিতিতে মানসিকতায় পরিবর্তনের বার্তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। বাশার অবশ‍্য আত্মবিশ্বাসী, ম‍্যাচে ছাপ পাওয়া যাবে ভালোভাবেই।

‘আমরা ঠিক কতটা পরিবর্তন করতে পেরেছি, আমরা কতটা খেলতে পারছি সেটা ম‍্যাচের দিনই বোঝা যাবে। তবে আমি খুব আশাবাদী। সবাই আসলে চাচ্ছে বিশেষ কিছু করতে এই টুর্নামেন্টে।’

‘আমাদের জন‍্য অবশ‍্যই কঠিন একটা পরীক্ষা, গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার ফোরে যাওয়া। আমাদের গ্রুপটা তো সে রকমই। একটা ভালো দল বাদ পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভুল করার সুযোগ খুব একটা নেই। পরিবর্তন যেটাই বলুন, দিনশেষে লক্ষ‍্য তো ম‍্যাচটা জেতা। সবাই পজিটিভ। আশা করছি ম‍্যাচে এর প্রতিফলন দেখা যাবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads