• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

গাজীপুর সিটি নির্বাচন

পথসভায় দুই মেয়র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  • গাজীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০১৮

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। একই সঙ্গে কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন চমকপ্রদ স্লোগানে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানের পথসভায় পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনছেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী। বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে সমান সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলার আসামিসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো করার অভিযোগ করেন।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম গতকাল শনিবার সকালে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূবাইল, হায়দরাবাদ থেকে প্রচার শুরু করেন। নির্বাচিত হলে তিনি গাজীপুরকে পরিকল্পিত নগরী গড়ার এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন বিভিন্ন পথসভায়। ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী হাসান সরকার ডিগবাজির নেতা। তিনি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, কাজী জাফরের ইউপিপি, জাতীয় পার্টি করে বর্তমানে বিএনপিতে। তিনি ’৮৬-তে সিল মেরে ও ’৮৮-তে ভোটারবিহীন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।

অন্যদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার গতকাল সকালে কোনাবাড়ীর রাজাবাড়ী এলাকায় প্রচার শুরু করেন। এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশন তাকে সমান সুযোগ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে দিশাহারা হয়ে নৌকার প্রার্থী তার বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছে।

হামলা-মামলা, গ্রেফতার করে দমানো যাবে না উল্লেখ করে এ প্রার্থী বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমাকে থ্রেট করে লাভ নেই। পরে তিনি কাদের মার্কেট, কুদ্দুস নগর, কেয়া স্পিনিং, মেডিটেক্স, জেলখানা গেট, মাহবুব সুপার মার্কেট, কলেজ গেট, বাঘিয়া পুকুরপাড়, নছের মার্কেট, মিতালী ক্লাব, আমবাগ তেঁতুলতলা এলাকায় পথসভা করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিনসহ ২০-দলীয় জোটের স্থানীয় নেতারা।

এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিনরাত তাদের এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ মে সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads