• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
হাত ধোয়ার ব্যবস্থার মধ্যে চলছে গাইবান্ধা উপনির্বাচনের ভোট

গাইবান্ধা-৩ উপনির্বাচনে সকালে সাদুল্যাপুরের তরফবাজিতপুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের চিত্র।

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

হাত ধোয়ার ব্যবস্থার মধ্যে চলছে গাইবান্ধা উপনির্বাচনের ভোট

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্আরমণের আতঙ্কের মধ্যে আজ শনিবার গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৯টায় একযোগে মোট ১৩২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

আজ সকালে সাদুল্যাপুর বহুমুখী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারের উপস্থিতি কম।

এখানে মোট ভোটার ৪ হাজার ৫৫৪। সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০০টি। এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সাদুল্যাপুর উপজেলার পাঠানোছা গ্রামের ভোটার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সকাল সকাল ভোট দিলাম। কারণ, পরে লোকসমাগম হবে।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হরিপদ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েনি। তারপরও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে। ভয়ের কারণ নেই। তবে সকালে মানুষের কাজ থাকে। তাই সকালে উপস্থিতি কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’

সাদুল্যাপুরের বুজরুক রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি কম। এখানে মোট ভোটার ৪ হাজার ৩৩২ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২১৬টি।  

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়বে। এখানে নির্বাচন কমিশন হাত ধোয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

এদিকে রেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, মোট ২ হাজার ৮০০ ভোটের মধ্যে সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০০টি।  

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে। কোনো সমস্যা নেই।

নির্বাচনে করোনার প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, আজ একটি পৌরসভা ও ১৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ যথাসময়ে শুরু করা হয়েছে।

এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন। ভোট কেন্দ্র ১৩২টি। ভোটগ্রহণের জন্য ১৩২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১ হাজার ৫৭২ পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন সহকারী পরিদর্শকসহ ৫ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ছাড়া দুই উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক র্যাব সদস্যের মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে।

প্রতিটি ইউনিয়নে একটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন।

এ ছাড়া সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্য ও ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচন তদারকির দায়িত্বে আছেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ ইউনুস আলী সরকার ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা যান।

শূন্য আসনে এই উপনির্বাচন হচ্ছে। এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উম্মে কুলসুম, বিএনপির প্রার্থী মইনুল হাসান সাদিক ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মইনুল রাব্বী চৌধুরী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads