• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

নির্বাচন

চসিক নির্বাচনের ভোট কাল

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২১

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল বুধবার। এদিনে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকছে না। এদিন সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলবে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হবে, সেগুলো বন্ধ থাকবে। একইসাথে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবিধার্থে অন্যান্য দিনের মতো যানবাহনও চলবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো প্রচার চালানো যাবে না। সে অনুযায়ী গতকাল সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে চসিক নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।

গত ৮ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন চসিকের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গত ১৮ দিনে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। তবে নির্বাচনী প্রচারে খুন, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে পোস্টার ব্যানার ছেঁড়া, হামলা, মামলাসহ একাধিক ঘটনা। ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নগর পুলিশের ৬ হাজার ৭৭৩ সদস্যসহ মোতায়েন হচ্ছে আট হাজার পুলিশ। প্রতি কেন্দ্রে অস্ত্রধারীসহ ছয়জন করে পুলিশ সদস্য ও ১২ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

এর বাইরে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রধারীসহ চার জন পুলিশ ও ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরে টহল পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তৎপর থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকবে নগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট, কাউন্টার টেররিজম ও সোয়াট সদস্যরা।

জানা গেছে, ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে কঠোর নজরদারিতে থাকবে প্রায় ২৫টি ওয়ার্ড এলাকায়। এসব ওয়ার্ডেই রয়েছেন একাধিক সংরক্ষিত-সাধারণ কাউন্সিলর, বিদ্রোহী প্রার্থী।

ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় এসব ওয়ার্ডগুলো ঘটেছে প্রচারণার সময় খুন, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে পোস্টার ব্যানার ছেঁড়া, হামলা, মামলাসহ একাধিক ঘটনা। এসব ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর প্রার্থীদের নানাবিধ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে পড়েছে প্রায় ৩৫ টার বেশি অভিযোগও। সর্বশেষ গতকাল ভোরে নগরের ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনের বাসায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এসব অভিযোগের অধিকাংশই নিষ্পত্তি করা হলেও প্রতিটি এলাকায় রয়েছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। এসব এলাকায় ভোটের উৎসবে প্রতি মুহূর্তেই আতংকিত আছেন ভোটাররাও। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে বিভিন্ন ঝুকিঁপূর্ণ এলাকা বা ইতোমধ্যে যেসব এলাকায় নানা ঘটনা খুন ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটেছিল প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা কঠোর নজরদারিতে রাখবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, চসিক নির্বাচনে সব এলাকা হচ্ছে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রশাসন স্ব স্ব এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। যেসব এলাকায় একের অধিক প্রার্থী রয়েছেন, যেসব এলাকায় অভিযোগের পাশাপাশি, উত্তপ্ত, ভাংচুর এবং খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কঠোর নজরদারিতে থাকবেন দায়িত্বশীলরা। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগের একাধিক নিষ্পত্তিও হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে নির্ধারিত তারিখের এক সপ্তাহ আগে ভোট স্থগিত করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads