• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

নির্বাচন

পৌরসভা নির্বাচন

ভোট বেড়েছে আওয়ামী লীগের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০২১

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা যে বেড়েই চলেছে তার প্রমাণ সম্প্রতি শেষ হওয়া পৌরসভা নির্বাচন। দলটি আগের পৌরসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে। বিপরীতে ভোট কমছে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির। দলটি ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনের তুলনায় সাড়ে ৬ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে।

গত রোববার পৌর নির্বাচনের শেষ ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার মোট ৫টি ধাপে ২৩০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা ১৮৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছে। বিএনপি জিতেছে ১১টি পৌরসভায়। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও জাসদ একটি করে পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছে। অপরদিকে ৩২টি পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। তাদের প্রায় সকলেই ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ৭৭ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৭ ভোটারের মধ্যে ৪৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটের হার ৬৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। নির্বাচনে মেয়র পদে যেমন আওয়ামী লীগের জয়জয়কার, তেমনি ভোটের বড় অংশ অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশই পেয়েছে দলটি।  ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন মোট ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৫ ভোট। দলটির প্রাপ্ত ভোটের হার শতকরা ৫৯.৯২ ভাগ।  বিএনপি পেয়েছে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মোট ভোটের মধ্যে নয় লাখ ৪৭ হাজার ১০৬ ভোট (১৯ শতাংশ) পেয়েছে।

দেশে ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় ভিত্তিতে পৌরসভা নির্বাচন হয়। সেসময়ও আওয়ামী লীগ বেশি ভোট পেয়েছিল। তবে, আগেরবারের চেয়ে এবার দলটির ভোট ৫ শতাংশের মতো বেড়েছে। ওই সময় অনুষ্ঠিত ২৩৫টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছিল ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বিএনপির ভোটের হার ছিল ২৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গতবারের চেয়ে দলটি এবার সড়ে ৬ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে। ২০১৫ সালে ২৩৫টি পৌরসভার মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ১৮২টিতে এবং বিএনপি ২৪টিতে বিজয়ী হয়েছিল। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে একজন এবং স্বতন্ত্র ২৮ জন মেয়র পদে নির্বাচিত হন। এবার আওয়ামী লীগ মেয়র পদে তিনটি পৌরসভায় বেশি জিতেছে। অপরদিকে বিএনপির জয়ের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। গতবার ২৪টিতে জিতলেও এবার ১১টিতে জিতেছে।

গতবার কাগুজে ব্যালটে ভোট হয়েছিল। এবার প্রায় অর্ধেক পৌরসভায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হয়। ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ইভিএমে ভোট তুলনামূলক কম পড়েছে। এবার ১০৩টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী জামানত হারিয়েছে। অপরদিকে নৌকার প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন তিনটি পৌরসভায়। ২০১৫ সালের ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২ জন এবং বিএনপির ৩৫ জন মেয়র প্রার্থী জামানত হারান। নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিএনপির তুলনায় অনেক বেশি ভোট পায়। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল পেয়েছিল ৭৬.৮০ শতাংশ ভোট। বিএনপি পেয়েছিল ১৩.৫১ শতাংশ। ২০০৮ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পেয়েছিল যথাক্রমে ৪৮.০৪ ও ৩২.৫০ শতাংশ ভোট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭২.৫৯ শতাংশ ভোট পেলেও ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads