• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

নির্বাচন

১৬০ ইউপি ও ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রথম ধাপের স্থগিত ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার পরিষদের কয়েকটি উপ-নির্বাচনও আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের ৪৪ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে ১৬১ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় একটিতে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে এবার নির্বাচনী এলাকায় কোনো সাধারণ ছুটি থাকছে না।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আগেই সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সামগ্রী।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। এছাড়া ভোট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিতে পারবেন ভোটাররা।

নির্বাচনী এলাকায় যে যান চলাচল বন্ধ

এদিকে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা হতে ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ভোটের আগের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা হতে ভোটের দিন ২০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক-পিকআপ, লঞ্চ-স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবাসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করতে পারবে।

যেসব ইউনিয়নে ভোট

দেশের ছয়টি জেলার ২৩টি উপজেলার ১৬০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত হলেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মৃত্যুজনিত কারণে পাঁচটি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেইন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভোট এই মুহূর্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

যেসব ইউপিতে ভোট হচ্ছে

খুলনা কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী। দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া ও বানিশান্তা। বটিয়াঘাটার গংগারামপুর,বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর।

অপরদিকে দিঘলিয়ার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া, সেনহাটা, আড়ংঘাটা ও যোগীপুল।

পাইকগাছার সোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা ও কপিলমুনি।

বাগেরহাট ফকিরহাটের বেতাগা, লখপুর, পিলজংগ, ফকিরহাট, বাহিরদিয়ামানসা, নলধা মৌভোগ ও শুভদিয়া।

মোল্লাহাটের উদয়পুর, চুনখোলা, কোদালিয়া, আটজুড়ি, গাওলা ও কুলিয়া। চিতলমারীর বড়বাড়ীয়া, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী, চরবানিয়ারী, কলাতলা ও সন্তোষপুর।

কচুয়ার গজালিয়া, ধোপাখালী, মঘিয়া, গোপালপুর, রাড়ীপাড়া ও বাধাল। রামপালের গৌরম্ভা, বাইনতলা, হুড়কা, মল্লিকের বেড়, বাঁশতলী, উজলপুর, রামপাল, পেড়িখালী ও ভোজপাতিয়া।

মোংলার চাঁদপাই, বুড়িরডাংগা, চিলা, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও সুন্দরবন। মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরন, দৈবজ্ঞহাটী, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা, বনগ্রাম, বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, বহরবুনিয়া, মোরেলগঞ্জ, তেলিগাতী, পুটিখালী, রামচন্দ্রপুর, জিউধরা ও বারইখালী।

শরণখোলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, সাউথখালী। বাগের সদরের বারুইপাড়া, বেমরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, কাড়াপাড়া, খানপুর ও রাখালগাছি।

সাতক্ষীরা কলারোয়ার কয়লা, হেলাতলা, যুগীখালী, জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়গাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর ও দেয়াড়া। তালার ধানদিয়া, তেঁতুলিয়া, তালা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খেসরা, জালালপুর, খলিলনগর, নগরঘাটা, সরুলিয়া ও খলিষখালী।

নোয়াখালী সুবর্ণচরের চরবাটা, চরক্লার্ক, চরওয়াপদা, চর আমানউল্যাহ, পূর্বচরবাটা ও মোহাম্মদপুর। হাতিয়ার মুছাপুর, চরহাজারী। হাতিয়ার চর ঈশ্বর, চরকিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা ও নিঝুমদ্বীপ।

চট্টগ্রাম সন্দ্বীপের বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্ল্যা, হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, মাইটভাঙ্গা, সারিকাইত, মগধরা ও হারামিয়া।

কক্সবাজার মহেশখালীর হোয়ানক, মাতারবাড়ী ও কুতুবজোম। কুতুবদিয়ার আলীআকবরডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণধুরং, কৈয়ারবিল, লেমশীখালী ও উত্তরধুরুং। পেকুয়ার টেটং। টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, টেকনাফ ও হোয়াইক্যং।

এর আগে প্রথম ধাপে দেশের ১৯ জেলার ৬৪টি উপজেলায় ৩৭১টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১১ এপ্রিল এসব নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা বেড়ে যাওয়ায় ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে ২১ জুন স্থগিত ইউপির মধ্যে ২০৪টির ভোটগ্রহণ হয়। ২০ সেপ্টেম্বর হবে ১৬০টি ইউপির ভোট।

করোনা মহামারির কারণে স্থগিত প্রথম ধাপের ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৪ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মাঠের রাজনীতির প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ইউপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৪৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।

এর মধ্যে বাগেরহাটের ৬৬টি ইউপির মধ্যে ৩৭টিতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন না। অন্যগুলোতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোটে লড়ছেন। বাগেরহাটের বাইরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৪টি এবং খুলনার ১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে কয়েক ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads