• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সাতক্ষীরার ১৩ ইউনিয়নে ৬ বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

নির্বাচন

সাতক্ষীরার ১৩ ইউনিয়নে ৬ বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়

  • সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর ২০২১

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ৬ জন, আওয়ামী লীগ ৩ জন, বিএনপি ২ জন, জাতীয় পার্টি এক জন ও জামাতের একজন চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৬ জন, বিএনপির ২ জন, জাতীয়পার্টির এক জন ও জামাতের একজন।

বেসরকারীভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা হলেন-বৈকারী ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন মোস্তফা কামাল (মটরসাইকেল প্রতীক) ৭৭৭৮ ভোট, নিকটতম আছাদুজ্জামান অছলে নৌকা প্রতীক ৮২২ ভোট পেয়েছেন। বাঁশদহা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন মাষ্টার মফিজুর রহমান (নৌকা প্রতীক) ৫১৩১ ভোট, তার নিকটতম নাজমুল হাসান মটরসাইকেল প্রতীকে ৩৩৭০ ভোট পেয়েছেন। কুশখালী ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন মাওলানা আব্দুল গফফার (টেবিল ফ্যান প্রতীক) ৪৩৭৫ ভোট, তার নিকটতম গোলাম মোস্তফা অটোরিক্সা প্রতীকে ২৫০৮ ভোট পেয়েছেন। ঘোনায় ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল কাদের (মটর সাইকেল প্রতীক) ৪৫৯৯ ভোট তার নিকটতম ফজলুর রহমান মোশা নৌকা প্রতীকে ২৬৫০ ভোট পেয়েছেন। আগরদাড়ী ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন কবির হোসেন মিলন (টেবিল ফ্যান প্রতীক) ৭৫৫০ ভোট, তার নিকটতম মইনুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৩৮৮০ ভোট পেয়েছেন। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আজমল হোসেন (নৌকা প্রতীক) ১০৬১৬ ভোট, তার নিকটতম রফিকুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীকে ৮৪৫৯ ভোট পেয়েছেন। ভোমরা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন ইসরাইল গাজী (মটর সাইকেল প্রতীক) ৬৫৭১ ভোট, তার নিকটতম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৪৭০৮ ভোট পেয়েছেন।

শিবপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন সাংবাদিক এসএম আবুল কালাম আজাদ (আনারস প্রতীক) ৭৪৩৪ ভোট, তার নিকটতম শওকত হোসেন নৌকা প্রতীকে ৩৮১৭ ভোট পেয়েছেন। লাবসা ইউনিয়নে বিএনপি’র বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল আলিম (আনারস প্রতীক) ১৬৩৮৭ ভোট, তার নিকটতম নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৩৩৭৫ ভোট পেয়েছেন। বল্লী ইউনিয়নে বিএনপি’র বিজয়ী হয়েছেন এড. মহিতুর রহমান (আনারস প্রতীক) ৪৫৫৪ ভোট, তার নিকটতম শেখ হাবিবুর রহমান চশমা প্রতীকে ৪০১১ ভোট পেয়েছেন। ধুলিহর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন মিজান চৌধুরী (আনারস প্রতীক) ৮২৫৮ ভোট, তার নিকটতম মিজানুর রহমান বাবু নৌকা প্রতীকে ৭০৯৩ ভোট পেয়েছেন। ফিংড়ী ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন লুৎফর রহমান স্বতন্ত্র (আনারস প্রতীক) ১০১৩৭ ভোট, তার নিকটতম আজাদুল ইসলাম চশমা প্রতীকে ৫৩১৯ ভোট, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আলাউদ্দীন (নৌকা প্রতীক) ৭২৩৫ ভোট, তার নিকটতম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৩৮৫৪ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে সাতক্ষীরা সদরে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সম্পূর্ণ অবাধ সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ স্বতঃস্ফুর্ত ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে ভোট গ্রহন। ভোট কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় দুুই একটি অপ্রীতিকর ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। ভোটের দিন কেন্দ্র গুলিতে শুরু থেকে উপস্থিতি একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যণীয়। সকল কেন্দ্রে আলাদা সারিতে দাড়িয়ে নারী পুরুষ উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দের প্রতীকে ভোট প্রদান করেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোটে উৎসবে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে বৈকারী খলিলনগর কেন্দ্র থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান অছলেসহ কয়েক জন আহত হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশৃংখল পরিস্থিতির অবসান ঘটে। তবে ওই কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটের কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। সদরের ১৩ ইউপিতে অনুষ্ঠিত ভোটে তেমন কোন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর ছিল। শুধু তাই নয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স টহল ছিল চোখে পড়ার মত। পাশাপাশি নির্বাচন এলাকায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করেন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদের কাছে ভোটার সিলিপ বিতরণ করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকরা পছন্দের প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে ক্যাম্পিং ও ভোটারদের আকর্ষণ করতে থাকে। এবার দলীয় প্রতীকে নৌকা, লাঙ্গল প্রতীকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আ’লীগের একাধিক প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নেয়।  

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads