• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

নির্বাচন

দলীয় পদ হারালেও ভোটে থাকবেন তৈমূর

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ জানুয়ারি ২০২২

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। তবে কেন তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি।

গতকাল সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে বলা হয়, নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যপদ থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পদ হারালেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে রাজি নন তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১১ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তে শেষ মুহূর্তে সরে গেলেও এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি ভোটে লড়ে যাবেন।

দল সিদ্ধান্ত জানানোর পর নারায়ণগঞ্জে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা।  দলের সিদ্ধান্তের তৈমূর বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। এখন আর আমার কোনো বাধা নেই।

সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ভোটের আগে আগে তার সরে যেতে বাধ্য হওয়ার স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, দল এখানে উপকৃত হইছে কি না জানি না, জাতি কোনো উপকৃত হইছে কি না জানি না, কিন্তু সরকার দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অনেকে এবারও ভাবতে পারেন, সরকারদলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে আমাকে দলের পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমার দল আমাকে একটা উপকার করছে। আমি রাস্তার মানুষ ছিলাম, রাস্তায় রাস্তায় ছিলাম, বস্তিতে ছিলাম এখন সেখানে ঘুরব।এবার জনগণের জন্য যদি আমার রাস্তায় মৃত্যু হয়, হবে। রাজপথে আমার জন্ম, রাজপথে আমার মৃত্যু হবে। আমার ভাগ্যের মালিক আল্লাহ।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি আগেই জানিয়ে দেয়, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনেক নির্বাচনের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না তারা। এর পরও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন তৈমূর, সাখাওয়াতসহ বিএনপির পাঁচ নেতা। পরে তৈমূর ছাড়া বিএনপি নেতাদের সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন দলীয় নির্দেশে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন সাখাওয়াত। এতে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর।

এর আগে ২০১১ সালে বিএনপির ব্যানারে সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা। ওইবার ভোটের আগের দিন সরে দাঁড়ান তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এবার জয়ের ব্যাপারে বেশি আত্মবিশ্বাসী তৈমূর। তার ভাষায়, এবার স্বতন্ত্র মৌসুম চলছে।

তৈমূর বলেন, প্রথমবার আমি একটা দলের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম। দল নির্দেশ করেছিল, তাই আমি বসে গিয়েছিলাম। কারণ আমি সুবিধা নেয়া নেতা না, আমি বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে দলটা করি। দল আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে।  ২০১৬ সালে দল বলেছিল, কিন্তু আমি প্রার্থী হইনি। তবে এবার তো এখানে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেই, এবার জনগণের সিদ্ধান্ত। প্রতিটি জিনিসের মৌসুম থাকে, এবার হলো স্বতন্ত্রের মৌসুম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads