• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ঘুঘুর ফাঁদে আটকা পড়বে কে

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

ঘুঘুর ফাঁদে আটকা পড়বে কে

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০২২

এই লেখাটি যেদিন বেরোবে সেদিন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বচনের ভোটগ্রহণের দিন। ওইদিন ভোটাররা নির্ধারণ করবেন পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের মহানগরীর দেখভাল কে করবেন, কার হাতে তারা তুলে দেবেন প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে খ্যাত বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের দায়িত্ব। সাধারণত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান-মেয়রের পাশাপাশি মেম্বার-কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হলেও অলোচনায় স্থান পায় চেয়ারম্যান বা মেয়র পদের নির্বাচন। সে অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সব ছাপিয়ে মেয়র পদের নির্বাচনই আলোচনার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। শুধু নারায়ণগঞ্জ বা রাজধানী ঢাকা নয়, বলা যায় দেশব্যাপী এখন আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। লাগাতার তিন মেয়াদে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়রের পদে আছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। একসময় নারায়ণগঞ্জের ডাকসাইটে আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র আলী আহাম্মদ চুনকার মেয়ে আইভী পিতার মতোই নারায়ণগঞ্জবাসীর হূদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছেন— এ মন্তব্য নগরবাসীর। সিটি করপোরেশন পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি যথাসম্ভব নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছেন, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছেন। বিরুদ্ধবাদীরা নানা রকম সমালোচনা করলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ আনতে পারেননি কেউ। তবে সিটি পরিচালনা করতে গিয়ে তাকে বাইরের চেয়ে ঘরের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে বেশি।

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী প্রয়াত নেতা আলী আহাম্মদ চুনকা ও শামসুজ্জোহার দুই উত্তরসূরির মধ্যে একেবারে সাপে-নেউলে সম্পর্ক বিদ্যমান। অবস্থাটা এমন যে, কেউ কারো ছায়াটি পর্যন্ত দেখতে পারেন না। মরহুম শামসুজ্জোহার পুত্র সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বর্তমানে একটি বড় ফ্যাক্টর। তাকে বাইপাস করে সেখানে রাজনীতি করা আওয়ামী লীগের কারো পক্ষে সম্ভব একথা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু সেলিনা হায়াৎ আইভী সে অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। তিনি শুধু শামীম ওসমানকে উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে টিকে আছেন তা-ই নয়, বরং এমন সংহত অবস্থান তৈরি করেছেন যে, ২০১১ সালের মেয়র নির্বাচনে শামীম ওসমানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অবশ্য সেবার দলের নির্দেশে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের ভোটগ্রহণের সাত ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো আইভীর জন্য শাপে বর হয়েছিল। সেই থেকে নারায়ণগঞ্জে আইভী-শামীম দ্বন্দ্বও প্রকট আকার ধারণ করে, যা এখনো অব্যাহত আছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনেকবার চেষ্টা করেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই দুই দিকপালের মধ্যে কোনো সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

২০১৬ সালের নির্বাচনে আইভীর বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান। নাগরিকদের কাছে অপরিচিত শাখাওয়াত হাসেন খান শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সামনে। তার সীমিত রাজনৈতিক পরিচিতি এবং নগরবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতার অভাব নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে সে নির্বাচনের মাঠ অনুকূলে আনতে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে তেমন বেগ পেতে হয়নি। বলা যায় একরকম অনায়াসেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। বিএনপি নেতা (বর্তমানে দল থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত) তৈমূর আলম খন্দকার প্রার্থী হওয়ায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়েছেন ডা. আইভী। পাশাপাশি শামীম ওসমানের সঙ্গে তার বৈরিতা নির্বাচনে তাকে অধিক বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এমনটাই মনে করেন। কেননা শামীম ওসমান আইভীকে সমর্থন দেওয়া দূরের কথা, তার অনুসারীরা কেউই নামেননি আইভীর নির্বাচনি প্রচারে। যদিও শেষ মুহূর্তে শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে নৌকা মার্কার প্রতি তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। অবশ্য ডা. আইভী প্রকাশ্যেই বলেছেন শামীম ওসমানের সমর্থন তার দরকার নেই।

শুরু থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ মুহূর্তে এসে জমে উঠেছে। পাশাপাশি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়েও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া তৈমূর আলম খন্দকারের পাশে বিএনপি দলগতভাবে না থাকলেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা বেশ কোমর বেঁধেই নেমেছেন তার পক্ষে। গণসংযোগ ও নির্বাচনি সভাগুলোতেও তারা উপস্থিত থেকেছেন। তৈমূর বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে তিনি নগরবাসীর রায়ে জয়ী হবেন। তবে গত ১১ জানুয়ারি তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তার নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, নির্বাচনি কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। এর আগে সরকারি দলের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী মন্তব্য করেছিলেন, তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের প্রার্থী। এর জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার পরদিন বলেন, তিনি নিজের পায়ে হাঁটতে পারেন, অন্যের পায়ে হাঁটার প্রয়োজন তার নেই। এদিকে শামীম ওসমানকে গডফাদার বলায় তার সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে আইভী শামীম ওসমানকে গডফাদার বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আইভী বলেন, শুধু তিনি বলছেন না, শামীম ওসমানের গডফাদার পরিচিতি গত তিরিশ বছরের এবং তা দেশের সবাই জানে। দলের মেয়রপ্রার্থী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের মধ্যকার এই বিবাদ মেটানোর জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সমঝোতার চেষ্টা চালান দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার তৎপরতার কারণেই গত ১০ জানুয়ারি শামীম ওসমান হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করে নৌকা মার্কার প্রতি তার সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের পক্ষে তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের একটি মন্তব্য নগরবাসীর মধ্যে যুগপৎ বিস্ময় ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ৯ জানুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জে নৌকার পক্ষে এক নির্বাচনি সভায় নানক স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি ঘুঘু দেখেছেন। ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। টের পাবেন আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।’ জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই বক্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি সচেতন সমাজ। তারা এ কথাকে প্রকারান্তরে হুমকি বলেই মনে করছেন। ‘ঘুঘুর ফাঁদ’ বলতে নানক সাহেব কী বোঝাতে চেয়েছেন তা কারো কাছেই পরিষ্কার নয়। তাহলে কি তারা এমন কোনো কৌশল আঁটছেন, যাতে তৈমূর আলম নির্বাচনের মাঠ থেকে উঠে যান? তবে নানকের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচন সমন্বয়কারী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে পুলিশের গ্রেপ্তার তা যেন অনেকটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে। তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেছেন, পুলিশ বন্দর এলাকার তার ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কমপক্ষে ৪০ জনের বাড়িতে হানা দিয়েছে। এ বিষয়ে ১২ জানুয়ারি  সমকালে ‘ঘুঘু ও ফাঁদ দুই-ই দেখছেন তৈমূর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন এলে আগের মামলায় গ্রেপ্তার করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পুরনো ফর্মুলা প্রয়োগ করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জেও। এতে বিস্মিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার মানুষ। পত্রিকাটি লিখেছে, শুধু রবি নয়; বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আরো নেতাকর্মী ধরতে নারায়ণগঞ্জ নগরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। গভীর রাতে তৈমূর সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ কারণে তৈমূরের বহু নির্বাচনি কর্মী নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র রাতযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধু বিএনপির নেতাকর্মী নন, আইভীর বিরোধী পক্ষ হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ি গিয়েও পুলিশ নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য শাসিয়ে আসছে। 

পুলিশের এই তৎপরতাকে নারায়ণগঞ্জবাসী অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ভোটের ফলাফল সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই পুলিশ এই তৎপরতা শুরু করেছে। তারা এ ঘটনার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। তাদের বক্তব্য হলো, আইভীর মতো জনপ্রিয় একজন নেত্রী যেখানে সরকারি  দলের মেয়রপ্রার্থী, সেখানে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পুরনো রীতি দেখে ভোটাররা হতাশ হচ্ছেন। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ শাখার সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, হঠাৎ করে যাদের ধরা হচ্ছে, তাদের নির্বাচনের আরো আগে বা পরে গ্রেপ্তার করা যেত। খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, রবির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। কিন্তু তিনি তৈমূর আলমের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী। তাকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে তৈমূরের যে দাবি; সেটাকে ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক রফিউর রাব্বি এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, নির্বাচনের নানা অঙ্ক থাকে। এই অঙ্কের একটা হচ্ছে এসব গ্রেপ্তার। তবে আইভীবিরোধীদের গ্রেপ্তার অপ্রয়োজনীয়। প্রশাসনের এসব হঠকারী পদক্ষেপ আইভীর ক্ষতি করবে। অবশ্য নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের বক্তব্যে পুলিশের চিরাচরিত ভাষ্যই প্রতিভাত হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যারা নির্বাচনে সহিংসতা করতে পারে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতেই আমাদের এ অভিযান।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের বক্তব্যকে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’ বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যেই প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, নির্বাচনে সহিংসতা কি শুধু তৈমূর আলমের কর্মীরাই করতে পারে? আইভীর কর্মীদের নিয়ে কি এমন আশঙ্কা নেই? তাহলে কেন এ একপেশে পদক্ষেপ? নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হোক এটা সবাই চান। তাই বলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করার নামে একপক্ষের কর্মীদের গারদে ঢোকানোর তৎপরতা আর যা-ই হোক নিরপেক্ষতার প্রমাণ বহন করে না। অবশ্য সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার মতো লোকবল আমার নেই। আমি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করি না। তবে প্রতিটি নির্বাচনে প্রশাসনের একটা কৌশল থাকে। তারা কী করছে আমি জানি না। প্রশাসন যদি কিছু করে থাকে, তারা দেখবে।’ অন্যদিকে তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচনের শেষমুহূর্তে স্থানীয় প্রশাসন সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা থেকে এসে আওয়ামী লীগের একজন বড় নেতা বলে গেছেন তৈমূরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। আরেকজন বলেছেন আমাকে ঘুঘুর ফাঁদ দেখাবেন। তাদের ওইসব কথার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন তৈমূরকে ঘুঘুর ফাঁদ দেখানোর হুমকি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জন্য বুমেরাং হতে পারে। কেননা, এ ধরনের অপরিণামদর্শী কথাবার্তা নির্বাচনি আবহাওয়াকে মুহূর্তেই বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। জনমত কখন কোন কারণে কার প্রতিকূলে চলে যাবে, তা কেউ আগে থেকে ধারণা করতে পারে না। তাই শেষ পর্যন্ত ঘুঘুর ফাঁদে কে আটকা পড়েন সেটাই এখন সচেতন মহলে আলোচিত হচ্ছে।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads