• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বির্তকিতদের চান না বিশিষ্টজনরা

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

বির্তকিতদের চান না বিশিষ্টজনরা

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সার্চ কমিটির ওপর শতভাগ আস্থা রাখার সুযোগ নেই। সার্চ কমিটির বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। তাদের দাবি, বিগত নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিয়ে নানা বিতর্ক ছিল। আর আগামী নির্বাচনটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে হলে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। এটি গঠন করার দায়িত্বই এই সার্চ কমিটির। তাই জনগণের বিশ্বাসের জায়গায় আছেন এমন ব্যক্তি দিয়ে ইসি গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দুই দফা বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন বিশিষ্ট নাগরিকদের কয়েকজন। দুটি গ্রুপের সঙ্গে তিন ঘণ্টা আলোচনায় প্রথম গ্রুপে ১৪ জন এবং পরের গ্রুপে ছিলেন ১১ জন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয় বৈঠকের প্রথম সেশন। শেষ হয় ১২টা ৩৭ মিনিটে। পরের সেশনে বৈঠক শুরু হয় দুপুর ১টা ৫ মিনিটে। শেষ হয় বিকেল ৩টার দিকে। এর আগেও দুটি নির্বাচন কমিশন এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন হয়েছিল। সেটিই এবার আইনি কাঠামোয় নিয়ে আসা হলো।

আলোচনায় সবার মূল বক্তব্য, এমন একটা নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করা যাতে সবার আস্থাভাজন হয়। বিশিষ্টজনরা সবার কাছে আস্থাভাজন নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, এমন একটি কমিশন হতে হবে, যারা একটি ভালো নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার জানান, যারা কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন এবং বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছেন, সেসব বিতর্কিত লোকজন যেন দায়িত্ব না পান। আমরা অনুসন্ধান কমিটির কাছে একটি বিশেষ বিষয় উপস্থাপন করে বলেছি, কোনো দলীয় সরকারের সময় বিশেষভাবে সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন কমিশনে স্থান না পায়। অনেকেই এ দাবিতে সমর্থন করেছেন।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, আমি বলেছি সার্চ কমিটি যাদের নাম প্রস্তাব করবে তাদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে হবে, তিনি যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হন। আমলা বা যেকোনো পেশা থেকে তিনি বা তাদের নাম আসতে পারে। যে পেশা থেকেই আসুক না কেন, তাদের স্বচ্ছ চরিত্র ও সততা থাকতে হবে। অর্থের মোহ যেন তাদের না থাকে। আমি মনে করি, এই অনুসন্ধান কমিটির ভেতর দিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশে যে নির্বাচন কমিশন হবে তাদের মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র সুদৃঢ় হবে। সেই সঙ্গে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে যেন আমরা যেতে পারি। জনগণ যাতে বিশ্বাস করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য মাকসুদ কামাল জানান, যাদের নাম দেওয়া হবে তারা যেন সৎ ও যোগাযোগে দক্ষ সেই সঙ্গে ফিল্ডে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের নিতে হবে। সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন করে এমন কাউকে দেওয়া যাবে না। তারা যেন দায়িত্ব নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করেন। পুরো প্রক্রিয়া যেন বিতর্কিত না হয়। সার্চ কমিটির ওপর আস্থা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পাবে তারা যেন আগের কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগী না হন। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে, চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার মাধ্যমে, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের মাধ্যমে কোনো কোনো সরকার বিশ্বস্ত লোকদের সুবিধা দিয়ে থাকে। এই ধরনের লোক যেন নির্বাচন কমিশনে না আসেন। অনেকে অবসরে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সরাসরিভাবে, তারা যেন না আসেন। যাদের সঙ্গে সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক আছে তারা যেন না আসেন।

আমরা আরো বলেছি, এ নির্বাচন কমিশনে যারা আসবে তাদের যেন অবশ্যই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো মানসিকতা থাকে, সাহসিকতা থাকে, ব্যক্তিত্ব থাকে। যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তাদের সব নাম যেন আগেই প্রকাশ করা হয়। কমিটি যদি ৩০ জনের নাম প্রস্তাব করে, সেখানে যদি দেখা যায় কোনো একজন কোনো একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন বা সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় কোনো টকশোতে অংশ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেছেন, তাদের যেন বাদ দেওয়া হয়।

আসিফ নজরুল আরো বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে অনুসন্ধান কমিটি মন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছে। এখন আমাদের কথা কতটুকু রাখবে, সেটি নাম প্রকাশ করার পর আমরা বুঝতে পারবো। আমাদের থেকে কেউ কোনো নাম প্রস্তাব করেননি। তবে কিভাবে কিসের ভিত্তিতে ইসির সদস্য বাছাই করা উচিত বা উচিত না, আমরা সে বিষয়ে বলেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, অনুসন্ধান কিমিটির ওপর শতভাগ আস্থা রাখার সুযোগ নেই। আগের অনুসন্ধান কমিটি আপনারা দেখেছেন, কি করেছে না করেছে। অনুসন্ধান কমিটির গঠন নিয়েও সমাজে কিছু ভিন্ন মত ছিল। কাজেই এখানে শতভাগ আস্থার কোনো জায়গা নেই। আমাদের কথা হচ্ছে, বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়। সর্বোপরি কী কমিশন গঠন করা হয়, কোন ১০ জনের নাম প্রস্তাব করা হয় সেটাই হচ্ছে আমাদের দেখার বিষয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সব নাম প্রকাশ করতে বলেছি। আমরা বলেছি যদিও বিএনপি এবং আরো কিছু রাজনৈতিক দল আসছে না, তারা তাদের সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন করতে থাকুক। তাহলেও তো একটা নির্বাচন লাগবে। নির্বাচন কমিশনে যদি ভালো ও সাহসী লোক না যায়, কেবল সরকার পরিবর্তন হলেই হবে না। নতুন কমিশনের জন্য সংখ্যালঘুদের থেকে একজন প্রতিনিধিত্ব রাখার পক্ষেও মত দিয়েছি।

সমকালের প্রকাশক ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করা হবে, রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, উনি ১০ জনের বাইরে যেতে পারবেন না। কিন্তু সার্চ কমিটির দায়িত্ব সারা বাংলাদেশের মধ্যে, যে যোগ্য ব্যক্তিত্ব রয়েছেন তাদের খুঁজে বের করা।

 দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বিগত নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে নানা বিতর্ক ছিল। আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে হলে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। আর এটি করার দায়িত্ব এই সার্চ কমিটির। যেকোনো নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হয় সংখ্যালঘুরা। এই নির্বাচন কমিশনে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ছিল না। তাদের যাতে প্রতিনিধিত্ব থাকে। আমরা বলেছি- গণমাধ্যম থেকে প্রতিনিধিত্ব নিতে। যাদের সিভিল সোসাইটিতে ভালো অধিকার আছে তাদের থেকে প্রতিনিধিত্ব নিতে।

দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, এই আলোচনায় আমাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত যেটি বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি যে দশ জনের নাম দেবে সেই দশজনের যোগ্যতার পাশাপাশি তারা যেন সাহসী এবং নির্লোভ ব্যক্তি হন। অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় আছেন- এমন দশজনের নাম যেন দেওয়া হয়।

সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। 

প্রথম বৈঠকে অংশ নিয়েছেন— সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মুনসুরুল হক চৌধুরী, রোকনুদ্দিন মাহমুদ, এম কে রহমান, ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ ও ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।

প্রথম দফার এ বৈঠকে আসেননি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মুহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। 

সার্চ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, একাত্তর টেলিভিশনের মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, এনটিভির বার্তা সম্পাদক জহিরুল আলম ও সাংবাদিক স্বদেশ রায়।

দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজ দুটি গ্রুপের সঙ্গে তিন ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। প্রথম গ্রুপে ১৪ জন। পরের গ্রুপে ১১ জনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওনারা বেশকিছু সাজেশন দিয়েছেন। সবার মূল বক্তব্য হলো এমন একটা ইলেকশন কমিশন নির্বাচন করা যাতে সবার আস্থাভাজন হয়। ভালো একটা নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য তারা পদক্ষেপ নিতে পারেন। সেটাই মূল বক্তব্য ছিল।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, তারা ৩২৯টি নাম পেয়েছেন। এমনও হতে পারে, একজনের নাম চারবার-পাঁচবার এসেছে। সেগুলো সর্ট আউট করলেই অ্যাকচুয়ালি কতজন ভ্যালিড হয় সেটা বোঝা যাবে।

বিশিষ্টজনেরা জমা পড়া নাম প্রকাশ্যে আনতে বলেছেন। সে বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এটা সাজেশন। সার্চ কমিটির সদস্যরা যখন বসবেন, ওনারা ওনাদের কার্যপদ্ধতি ঠিক করবেন। ‘দিস ইজ অ্যা সাজেশন ফ্রম বোথ গ্রুপ। তারা বলেছেন, ১০ জন না হলেও ৩০ জন কিংবা ৩৫ জনের নাম দেন; একটা শর্টলিস্ট করেন, যাতে বাইরে থেকে একটা অপিনিয়ন বা মতামত পাওয়া যায়।

 

উল্লেখ্য, আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ জন বিশিষ্টজনের মতামত নেবে সার্চ কমিটি। এজন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, বিএমএ, জাতীয় প্রেসক্লাব, কেআইবি, আই ই বি, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিইসি ও অন্যান্য ইসি পদে দুইজন করে মোট দশজনের নাম রাষ্ট্রপ্রতির কাছে সুপারিশ করবে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে পাঁচজনকে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিশনের নেতৃত্বেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads