• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

নির্বাচন

পরামর্শ নেবে ৩০ শিক্ষাবিদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০২২

দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত ৩০ শিক্ষাবিদের পরামর্শ নিতে চায় নির্বাচন কমিশন-ইসি।

আগামী ১৩ মার্চ মতবিনিময় সভার তারিখ নির্ধারণ করে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এ মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপের প্রথম প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। মূলত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের পরামর্শ নিতেই এই উদ্যোগ।

আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, অধ্যাপক এম জাফর ইকবাল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক লায়লুফার ইয়াসমীন, অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইউল্যাবের জেনারেল এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হাসান ও তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার।

দায়িত্ব নেওয়ার পর নবগঠিত কমিশন রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসে। ২০০৮ সালে ইসির নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করা এটিএম শামসুল হুদা কমিশন দুবার সংলাপে বসেছিল।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ও সংলাপ হয়েছিল। বিগত নুরুল হুদা কমিশনও সংলাপ করেছিলেন নির্বাচনি অংশীজনদের নিয়ে। তবে নবনিযুক্ত হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মতো দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মাসেই সংলাপে বসেনি কোনো কমিশন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের। ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচন ভবনে অফিস শুরু করে হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ধারাবাহিক সংলাপ আগামী ১৩ মার্চ রবিবার বিকেল ৩টায় শুরু হচ্ছে। এদিন বিকেল ৩টায় শিক্ষাবিদ/বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে। গত বুধবার এ সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রায় ৩০ জন শিক্ষাবিদকে নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন আগামী ২২ মার্চ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই সংলাপে প্রায় ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও সংলাপে বসার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পরবর্তী সংলাপের দিনক্ষণ গতকাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads