• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে আমাকে হারানো হয়েছে: সাক্কু

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে আমাকে হারানো হয়েছে: সাক্কু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ জুন ২০২২

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কুসিক) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে লড়াই করে হেরে গিয়ে গত দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন, তাকে 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' করে পরাজিত দেখিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুসিক নির্বাচনে ভোটের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী। 

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নির্বাচনে মেয়র পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। 

রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত বেসরকারি ফল অনুযায়ী, মোট ১০৫টি কেন্দ্রে আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটে পার্থক্য ৩৪৩।

এর আগে রাত ৯টার দিকে ১০১ কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। এগিয়ে থাকার খবর পেয়ে তিনি ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র কুমিল্লা শিল্পকলা কেন্দ্রে চলে আসেন। 

তখন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী জানান, বাকি চার কেন্দ্রের ভোটের ফল পরে ঘোষণা করা হবে। তখন সাক্কুর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে রিফাতের সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। সামান্য আহত হন সাক্কু। 

এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত করেন। প্রায় ৪৫ মিনিট পর তিনি পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেন। 

ফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মনিরুল হক সাক্কু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে আমাকে হারানো হয়েছে।' তিনি বলেন, 'রিটার্নিং কর্মকর্তা কারো এক ফোন পেয়ে চার কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখেন। তারপর দেখলাম বিভিন্ন মামলার আসামিরা আমার ওপর আক্রমণ করল। আমি এই ফলাফল প্রত্যাখান করছি।’

সাক্কু জানান, তিনি এই ফলাফলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ, সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।’ 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads