• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে দেশ

  • এম এ বাবর
  • প্রকাশিত ২৬ মার্চ ২০২১

গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করল বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির মন্ত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার দিনও। বেদনাকে প্রতিজ্ঞায় পরিণত করে যুদ্ধের শপথ নেওয়ার ক্ষণ। 

একাত্তরের ২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে, বাঙালি এ দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা ছাড়া সারা দেশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবার মধ্য দিয়েও আমরা এবার দেশজুড়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছি। পুরো দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলছে। বিগত কয়েক মাসে করোনা কিছুটা দুর্বল হলেও চলতি মাসের শুরু থেকে ভাইরাসটি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তাই সরকারের দেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন হবে।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বাঙালির হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল, দাসত্বের গণ্ডি ভেদ করে স্বাধীনতার লাল সূর্যের রঙের সঙ্গে মিশে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনা এবং বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মাশুল। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বিনম্র শ্রদ্ধা ও অবনত চিত্তে বীর শহীদদের স্মরণ করবে জাতি।

একাত্তরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। আর তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণবন্ত নেতৃত্বে গড়ে তুলতে চলেছি সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ভোগ করছে, যা জাতির জন্য এক মহান গৌরবের বিষয়।

যাদের আত্মত্যাগ ও স্বজন হারানোর বেদনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ; তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাবে জাতি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে স্বাধীনতার মহানায়ক আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে থাকা সংগঠকদের। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যেসব ভারতীয় সেনাবাহিনী এই মাটিতে জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, তাদের প্রতিও থাকবে বিনম্র শ্রদ্ধা।

ইতিহাসের এমন মাহেন্দ্রক্ষণে এসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে সমৃদ্ধির এ ধারা ধরে রাখতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই দিন যা ঘটেছিল : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী গণহত্যার সূচনা করে। নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙালির বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করে। তখন মুক্তিসংগ্রামের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিতে পিলখানায় ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের লোকদের হত্যা করেছে। ঢাকা, চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান। কোনো আপশ নাই, জয় আমাদের হবেই। আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করবেন। সকল দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতা প্রিয় লোকদের এ সংবাদ পৌঁছে দিন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করবেন। জয় বাংলা।’

বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে সশস্ত্র যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে দেশের সর্বত্র চলে সশস্ত্র প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজি ও বাংলায় ছাপিয়ে চট্টগ্রামে বিলি করা হয়।

আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের ইপিআর সদর দপ্তর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এবং ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ নামে যুদ্ধের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন তৎকালীন পাকিস্তান বেতারের তিনজন পথপ্রদর্শক শব্দসৈনিক বেলাল মোহাম্মদ, আবদুল্লাহ্ আল ফারুক এবং প্রয়াত আবুল কাশেম সন্দীপ। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সন্ধ্যাবেলায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ৮৭০ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটার থেকে এই বেতারকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষণাভিত্তিক তারবার্তার আদলে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতাযুদ্ধ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান ২৬ মার্চ ১৯৭১ কালুরঘাট থেকে সম্প্রচার করেন এম এ হান্নান, সুলতানুল আলম, বেলাল মোহাম্মদ, আবদুল্লাহ আল ফারুক, আবুল কাশেম সন্দীপ, কবি আবদুস সালাম এবং মাহমুদ হাসান। এ সময় বার বার বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া বার্তা পাঠ করেন তারা।

এদিন ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আদমজী কলেজ থেকে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে সারাদিন আটক রেখে সন্ধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকায় দিনরাত কারফিউ দিয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে ভবন, বস্তি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বাসভবনের ওপর ভারী মেশিনগান ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। এলাকার পর এলাকা আগুন লাগিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুদের অগ্নিদগ্ধ করে এবং গুলি করে হত্যা করে। বিদেশি সাংবাদিকদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবরুদ্ধ রাখা হয়। অবাঙালি নাগরিকদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা দুপুরে ঢাকা আক্রমণ করে এবং মধ্যরাত পর্যন্ত ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদ, দ্য পিপল, বাংলার বাণী অফিসে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ট্যাংকের গোলায় ধ্বংস করে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাধিক গণকবর খুঁড়ে সেখানে শত শত লাশ মাটি চাপা দিয়ে তার ওপর বুলডোজার চালায়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে সারারাত ধরে হাজার হাজার লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়। পুরান ঢাকায় নিহতদের লাশ বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

এদিন সকালে পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো কড়া সামরিক প্রহরায় ঢাকা ত্যাগ করেন। করাচি বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি ঢাকায় ২৫ মার্চের সেনাবাহিনীর অপারেশনের প্রশংসা করে বলেন, আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ। সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে।

বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু, দেশ ও দেশের মানুষকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছে রাশিয়া, যিনি একজন লড়াকু নেতা হিসেবে জনগণের স্বাধীনতা ও সুখের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন।

ভিডিও মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর জোট ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন বলেন, ১৯২০ সালের মার্চে জন্ম নেওয়া জাতির জনক বৈষম্য, অসমতা দূর করার সংগ্রামে তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার মাধ্যমে প্রাপ্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপ দিতে তার প্রচেষ্টা অনন্তকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমার মনে বাংলাদেশ সব সময় বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। জাতি গঠন এবং উন্নয়নে ভ্যাটিক্যান সিটির সর্বদা সমর্থন থাকবে। তাই আমি আশা করছি উভয় পক্ষের মধ্যে ভালো সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে এসে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর দর্শনার্থীদের বইয়ে তিনি লেখেন, বিদেশি শোষণের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে জনগণকে অভূতপূর্ব শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথ করে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা জ্ঞাপন করছি।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে নেপালের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অনলবর্ষী বক্তা, সংগঠক ও যোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের হূদয় জয় করেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন নতুন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য। এ অঞ্চলের মানুষের কাছেও তিনি পূজনীয় নেতা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে এসে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে স্বাধীন বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বাঙালির জোড়া উদ্যাপনে এই উন্নয়নচিত্রই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জাতির শ্রেষ্ঠ সম্মান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন নীতিনিষ্ঠ মানুষ। বাংলাদেশ স্বাধীন ও বাংলার মানুষের জন্য তিনি তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।’

বন্ধুর পথ পেরিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপনীত হওয়া বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট  ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বাংলাদেশকে স্বতন্ত্র একটি পরিচয় দান করেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তিনি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজে ‘বঙ্গবন্ধু : বাংলাদেশের চেতনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সূচনালগ্নে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের লড়াইয়ের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

আজকের বিশেষ কর্মসূচি : সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হবে সশরীরে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ পাঁচটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি ৫০০ অতিথি অংশগ্রহণ করবেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল এবং পোপ ফ্রান্সিস। অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads