• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

জাতীয় বাজেট

কৃষি খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে

  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০২১

ফারহানা তাসনীম আদৃতা

 

 

কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপে আজো সারা বিশ্ব প্রকম্পিত। বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া করোনার ভয়াল থাবায় চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে মানবসভ্যতা। করোনা মহামারীর ভয়াবহ প্রকোপ আজ গোটা বিশ্বকে একসঙ্গে গ্রাস করেছে। ইউরোপ, আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা, এশিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বাংলাদেশেও করোনার হিংস্র থাবা বিস্তার করেছে। এখানেও চরম অনিশ্চয়তা, ভয়, শঙ্কা, আতঙ্ক আজ সবাইকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য সবাইকে যথাসসম্ভব ঘরে অবস্থান করার বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এজন্য একটানা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও লকডাউনে অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, কলকারখানা চালু হয়েছে। কিন্তু আগের অবস্থায় ফিরতে পারছে না দেশের অর্থনীতি। করোনা মহামারীর ভয়াবহ প্রকোপে গোটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন, বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হ্রাস পেয়েছে করোনার কারণে। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছে। মানুষের শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ছে, করোনা তাদের বাধ্য করছে স্থায়ীভাবে গ্রামে ফিরে যেতে। পিকআপ, ভ্যানগাড়ি বা ট্রাকে মালামাল নিয়ে পরিবারসহ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার চিত্র এখন পুরো শহরজুড়ে। যারা এখনো যাননি তারাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার। বাসাবাড়িতে ও মেসে গৃহকর্মীদের কাজে না রাখার কারণে তারা কর্মহীন, বেকার হয়ে খালি হাতে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন।

করোনা মহামারীর আঘাতে গত বছর দেশের অর্থনীতিতে যে বিপর্যয় নেমে আসে তাতে বড় নির্ভরতা হয়ে ওঠে কৃষি খাত। বিশেষ করে শহর থেকে গ্রামে ছুটে যাওয়া লাখ লাখ শ্রমিকের সাময়িক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের সাফল্যেই দেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ছিল। করোনায় সেবা খাতের কর্মসংস্থান যেখানে নেতিবাচক এবং শিল্পে মাত্র ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সেখানে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ, যদিও কর্মঘণ্টা ও আয় কমেছে। বেকারত্বের বড় চাপ সামাল দিয়েছে দেশের এই খাতটি। করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল কৃষি খাতে। তৃতীয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে। এর পাশাপাশি গ্রামীণ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মহীনতা এবং কর্মহীন হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের জন্য ব্যাপক কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়নকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এবারের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও বাজেটে গ্রামভিত্তিক অর্থনীতিতে আরো নজর দেওয়া উচিত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অর্থনীতিকে আবার অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে। শিল্পে অচলাবস্থা এবং লাখ লাখ মানুষের বেকারত্বের চাপ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও গ্রামীণ স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আসছে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বরাদ্দ বাড়ালে তা দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজে লাগবে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষি উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কৃষি উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান বিবেচনায় কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদের স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের পরিবর্তে ৮ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাতে সহায়তার জন্য গত বছরের ১৩ এপ্রিল পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিল থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে এ খাতের কৃষক উদ্যোক্তাদের।

কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে গঠিত এ তহবিল থেকে দেড় বছর মেয়াদে এ ঋণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড থাকবে ছয় মাস। শস্য ও ফসল খাতে চলমান ঋণপ্রবাহ পর্যাপ্ত থাকার দরুন এ খাত অপেক্ষা কৃষির চলতি মূলধনভিত্তিক খাতগুলোতে অধিকতর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে এ খাতে ঋণের প্রবাহ নিশ্চিত করার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, চলতি মূলধনভিত্তিক কৃষির অন্যান্য খাত যেমন, হর্টিকালচার অর্থাৎ মৌসুমভিত্তিক ফুল ও ফল চাষ, মাছ চাষ, পোলট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ খাতে পর্যাপ্ত অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে দেশের সার্বিক কৃষি খাত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, গত এক বছরে এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ঋণ বিতরণের হার মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭২ ভাগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো কাঙ্ক্ষিত হারে কৃষিঋণ বিতরণ করছে না। এমনি পরিস্থিতি ঋণ বিতরণের সময় বৃদ্ধি করে এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আবারো নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ কর্মসূচি সুস্থভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঋণ বিতরণের সময়সীমা তিন মাস বৃদ্ধি করে ৩০ জুন পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করেছে। এ নির্দেশনা কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সুবিধার্থে একক খাতে ঋণ বিতরণের সীমা ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে ছোট ছোট বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণের প্রবাহ বাড়ানো হবে। এ খাতে চলতি মূলধনের জোগান দিতে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর অব্যবহূত অর্থ দ্রুত বিনিয়োগ করার জন্য তদারকি বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে আরো একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।

শহরে চলাচলের বিধি-নিষেধের কারণে শ্রমজীবীদের একটি বড় অংশ গ্রামে চলে গেছেন। তারা এখন গ্রামের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে গেছে। তাই বোঝা কমিয়ে তাদের যদি শক্তিতে রূপান্তর করতে হয় তবে তাদের আয় বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি। তাই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে এবারের বাজেটে আলাদাভাবে কৃষি খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং পোলট্রি, মৎস্যসহ গ্রামে যেসব কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ হচ্ছে সেগুলোতে সহায়তা আরো বেশি দিতে হবে। দেশের খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে কৃষিতে ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিঋণে সুদের হার কমাতে হবে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকাশক্তিগুলোকে সুসংহত করতে হবে। বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমানোসহ কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রামে হাসপাতালগুলোয় বেডসংখ্যা, আইসিইউ বাড়ানো, সরঞ্জামাদির দাম ও ভ্যাট কমানো এবং ডাক্তার ও নার্সদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিও বাজেটে থাকা উচিত।

বাজেটে সরকার কৃষিতে যে বরাদ্দ দিয়ে আসছে তা পর্যাপ্ত বলা যায় না। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হবে। তাই সার, বীজ, কৃষি যন্ত্রাংশসহ সার্বিক কৃষি খাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি অকৃষি খাতেও যাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত হয় সে বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রামে যেসব কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে যেমন, পোলট্রি, দুধ, মাংস, ফল ইত্যাদি প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সরকার খুব বেশি সহায়তা দিচ্ছে এমনটি চোখে পড়ে না। অথচ এই সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানো গেলে খাদ্য নিরাপত্তা যেমন বাড়বে তেমনি কর্মসংস্থানের একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে। করোনা মহামারীর আঘাতে আঘাতে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। এর মধ্যে শহরে নতুন দরিদ্রের সংখ্যা ৫৯ শতাংশ, গ্রামাঞ্চলে ৪৪ শতাংশ। করোনা যদি চলমান থাকে, তাহলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। করোনা মহামারীতে নিম্নবিত্ত শ্রমিকের ওপর বেশি প্রভাব পড়েছে। কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়লেও এতে শ্রমঘণ্টা এবং আয় কমেছে। এটি উদ্বেগজনক, এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ভ্যাট ও কর ছাড় দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। করোনা মহামারীকে সামনে রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয় লাখ এক হাজার ৫১১ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বাজেট হবে গরিববান্ধব বাজেট। এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চলতি বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১৬.৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩.১ শতাংশ। আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। ফলে এর আওতা আরো বাড়বে। এ ছাড়া বাজেটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, দেশি শিল্প, গ্রামীণ অবকাঠামো এবং কর্মসংস্থানে বিশেষ নজর থাকবে বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে অব্যাহত থাকবে প্রণোদনা প্যাকেজও। করোনার প্রকোপে ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে, চাকরিও কাজ হারিয়ে যারা শহর ছেড়ে গ্রামে গেছেন কিংবা যাচ্ছেন তাদের ভবিষ্যৎ জীবিকা হবে কৃষিনির্ভর। তাই তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। কৃষিপণ্যকে আধুনিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় নিতে পারলে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদিও বাংলাদেশে এটা খুবই কম। বর্তমানে আধুনিক কৃষিপণ্যের বাজার ১ দশমিক ৬ শতাংশ। এটা যদি ৪০ শতাংশ উন্নীত করা যায় তাহলে এক লাখ সুপারস্টোর বা সুপারশপ আধুনিক ব্যবসায় চলে আসবে। তখন দেশের গ্রামাঞ্চল ও শহরে অতিরিক্ত ১২ লাখ মানুষের কর্মস্থান সৃষ্টি হবে। গ্রামে নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘আমার গ্রাম আমার গ্রাম’ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমেও গ্রামাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নতুনভাবে সৃষ্টি করে গোটা অর্থনীতিতে বিদ্যমান স্থবিরতা দূর করা সম্ভব হবে।

 

লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads