• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সম্পাদকীয়

পরামর্শ দিতে যাওয়াও বিপজ্জনক

  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০২১

মহিউদ্দিন খান মোহন

 

চরম দুর্দশায় পতিত দল বিএনপিকে পরামর্শ দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পরামর্শ গ্রহণ তো দূরের কথা, উল্টো পরামর্শদাতাকে হতে হচ্ছে অপমানজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিপ্রসূত কিছু কথা বলে তেমনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন দেশের বিশিষ্টজন, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যে দলটির শুভানুধ্যায়ী তিনি, যে দলটির কীসে ভালো হবে সে ভাবনায় সময় ব্যয় করেন এবং পরামর্শ দেন, সে দলের একজন উদ্ধত জুনিয়র কর্মী তাকে প্রকাশ্যে অপমান করবে, হুমকি দেবে, এটা হয়তো তার ধারণায় ছিল না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে যারা জানেন, তারা এটাও জানেন যে, তিনি তার নিজস্ব চিন্তাভাবনায় যেটা সঠিক ও সত্য বলে মনে করেন, সেটা অকপটে বলে দেন। কোনোরকম রাখঢাকের ব্যাপারটা তার মধ্যে নেই। আর সেজন্যই দেশবাসীর কাছে তিনি একজন স্পষ্টবাদী মানুষ হিসেবে পরিচিত। না, তার সব কথা সবার পছন্দ বা মনঃপূত হয় বা হবে এমন কোনো কথা নেই। যাদের পছন্দ হয় না তারা সমালোচনা করেন। সেটা ভিন্ন প্ল্যাটফরমে-বক্তৃতায়, না হয় পত্রিকার কলামে, কিংবা টিভি টকশোতে। সমালোচনা বা প্রতিবাদেরও একটি অলিখিত বিধান রয়েছে। প্রতিবাদ বা নিন্দা হতে হয় মার্জিত ভাষায়, শালীনতার মধ্যে। তবে কেউ কেউ প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েন, শালীনতার বা সভ্যতা-ভব্যতার সীমারেখা অতিক্রম করে যান।

গত ২৬ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে যে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে তা এখন সবারই জানা। ‘এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ-ইআরআই’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে একটি সেমিনার চলছিল সেখানে। প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে বলেন, ‘বিএনপির ওহি লন্ডন থেকেই বেশি আসে। এই সরকারের পতন ঘটাতে হলে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন ঘটাতে হবে বিএনপির নিজের ঘরে। আপনারা কি খালেদা জিয়ার চেহারা দেখেছেন? তার মনের মধ্যে একটা ডিপ্রেশন ভাব। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়াকে জীবিত থেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তা হয়তো বিএনপির লোকরা উপলব্ধি করতে পারে না। আমি বার বার বলেছি, খালেদা জিয়ার মুক্তি যদি চাও, তারেক তুমি দুই বছর চুপচাপ বসে থাকো। পারো তো বিলেতে লেখাপড়ায় যুক্ত হয়ে যাও। সেখানে বহুভাবে লেখাপড়া করা যায়।’ এ পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক কাওসার দাঁড়িয়ে ডা. জাফরুল্লাহকে উদ্দেশ করে বলে, আপনি বিএনপির কে? আপনি সবসময় বিএনপিকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। প্রত্যুত্তরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি বিএনপির কিছু না। ওই যে গণতন্ত্রে আমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার কথাটা শুনে তারপর বলেন। আপনাদের ভালোর জন্য বলছি। আপনাদের ভালো আপনারাই বোঝেন না।’ এ সময় ওই ছাত্রদল নেতাটি বলে, ‘না, আমরা আমাদের ভালো অবশ্যই বুঝি। আপনি উল্টা বোঝেন। আপনি আমাদের নেতাকে নিয়ে কথা বলবেন না, কখনোই বলবেন না। আপনি সবসময় আমাদের নেতাকে নিয়ে কথা বলেন। যদি কখনো কথা বলেন, আর পরবর্তীকালে কিছু হলে আমরা কিন্তু দায়ী থাকব না।’ (সূত্র : সমকাল, ২৭ জুন, ২০২১)।

ঘটনাটি এতটাই আকস্মিক এবং অনভিপ্রেত ছিল যে, সেখানে উপস্থিত অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথি, শ্রোতা এবং অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান। নিজের নাতির বয়সি একটি ছেলে এভাবে মুখের ওপর তাকে হুমকি দিতে পারে, ডা. জাফরুল্লাহ বোধকরি তা কল্পনাও করেননি। ওই মঞ্চে ছিলেন একসময়ের জাঁদরেল ছাত্রনেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। আশ্চর্যের বিষয়, তারা কেউই ওই বেপরোয়া যুবককে থামানোর চেষ্টা করেননি। ওই যুবক ডা. জাফরুল্লাহকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বীরদর্পে সেখান থেকে চলে গেল! কেন অন্য বিশিষ্টজনরা ওই বেয়াদব ছোকরাকে ধমক দিলেন না, প্রতিবাদ করলেন না? তাদের বিবেক কি তখন মরে গিয়েছিল? ওই ঘটনার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজকরা ডা. জাফরুল্লাহর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে শোনা যায়নি। এমনকি যে দলটির ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে তিনি পরিচিত, সেই বিএনপির পক্ষ থেকে কোনোরকম দুঃখ প্রকাশের খবর এখনো পর্যন্ত আসেনি। কেন তাদের এই নীরবতা? তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে, ওই উদ্ধত যুবকের বেয়াদবির প্রতি বিএনপি নেতৃত্বের নীরব সমর্থন আছে? ‘মৌনতা সম্মতির লক্ষণ’ সূত্র অনুযায়ী তো সেটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক।

তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। প্রচলিত কথা হলো, তার ইশারা ছাড়া বিএনপির অভ্যন্তরে কুটোটি নাড়ার ক্ষমতা কারো নেই। এটা অবশ্য খারাপ কিছু নয়। একটি দলকে সঠিক পথে চালিত করতে হলে সে দলের শীর্ষনেতার দলের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন আছে। তাই বলে তার সমালেচানা করা যাবে না, এটা কেমন কথা? এতদিন শুনে আসছিলাম বিএনপি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী বলেই মনে করে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বিপরীতে গঠিত  নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপিকে শামিল করতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সে থেকেই তার নামের সাথে ‘বিএনপির থিংক ট্যাংক’ কথাটি লেপটে যায়। কিন্তু আসলেই বিএনপি কি তাকে তাদের থিংক ট্যাংক মনে করে? এ প্রশ্নের জবাব বিএনপি নেতারাই দিতে পারবেন।

এদিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ করেছেন ১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৩০ জুনের পত্রিকায় প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে তারা ২৬ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের ঘটনায় তাদের  ক্ষোভ ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম (অব.), বিএনপির অঙ্গ সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ফারুক-ই-আযম বীরপ্রতীক প্রমুখ। এই প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর করার অপরাধে (?) ইশতিয়াক আজিজ উলফাত দলের মধ্যে কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন কে জানে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। নিজ কর্মগুণেই তিনি দেশব্যাপী সুপরিচিত। তার স্পষ্ট কথাবার্তার জন্য অনেকের কাছে তিনি সমাদৃতও। দেশের চিকিৎসা খাতকে গণমুখী করার জন্য তিনি করে চলেছেন অবিরাম সংগ্রাম। তার রয়েছে একটি রৌদ্রকরোজ্জ্বল অতীত। যৌবনে তিনি দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য নিজের ক্যারিয়ারকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন। লন্ডনে গিয়েছিলেন চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য। কিন্তু যখনই শুনতে পেলেন মাতৃভূমির স্বাধীনতার ডাক, সব ছেড়ে ছুটে এলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। গড়ে তুললেন ফিল্ড হাসপাতাল। আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও শুশ্রূষার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলেন। স্বাধীনতার পরে তিনি গড়ে তোলেন গরিবের হাসপাতাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তৎকালীন সরকারের আনুকূল্যে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটি একটি ট্রাস্টি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি। ব্যক্তিগত লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে কীভাবে দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা যায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার উদাহরণ। যদিও মাঝেমধ্যে তার কিছু উক্তি বিতর্কের সৃষ্টি করে, তবে তার দেশপ্রেম, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার প্রতি কমিটমেন্ট নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন আছে বলে মনে হয় না।

বেশ কয়েক বছর ধরেই ডা. জাফরুল্লাহ চীেধুরী বিএনপিকে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। সবারই স্মরণ থাকার কথা, ২০১৬ সালের আগস্টে গণমাধ্যমে খোলাচিঠি লিখে তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওই সময় তার সে চিঠি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল রাজনৈতিক মহলে। তার পরামর্শগুলো অনেকের কাছেই যৌক্তিক এবং বিএনপির জন্য পালনীয় বলে মনে হয়েছিল। তবে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। এমনকি বিএনপির কোনো নেতাও তা নিয়ে কথা বলেননি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে টিভি টকশোতে বেশ অলোচনা হয়েছিল। তেমনি একটি আলোচনায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি মনে করেন বিএনপি আপনার পরামর্শ গ্রহণ করবে? জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি যেটা ভালো মনে করেছি, বলেছি। গ্রহণ করা না করাাটা তাদের ব্যাপার। এ সময় একজন আলোচক মন্তব্য করেছিলেন, আমার তো মনে হয় এ খোলা চিঠির কারণে আপনার জন্য বিএনপির খোলা দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মাঝেমধ্যে চায়ের দাওয়াত পেতেন, সেটাও হয়তো আর পাবেন না। হেসে উঠেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। বলেছিলেন, তাহলে তো আমার দুর্ভাগ্যই বলতে হয়। না, তারপরও বিএনপির দরজা তার জন্য বন্ধ হয়নি। কিন্তু এবার যে ঘটনাটি ঘটল তা যেমন নিন্দনীয়, তেমনি ন্যক্কারজনকও বটে।

কেউ যদি জিয়া-খালেদার বিএনপির সাথে বর্তমান বিএনপিকে মেলাতে যান, তাহলে তাকে নিঃসন্দেহে হতাশ হতে হবে। যারা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাদের মুখে শুনেছি, বয়স্ক এবং প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের তিনি কতটা সম্মান করতেন। তার উপদেষ্টা পরিষদেও ছিলেন সমাজের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা। বিভিন্ন সময়ে তিনি অনেককে বঙ্গভবনে চায়ের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত নিতেন। তেমনি একজন ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম সানাউল্লাহ নূরী। তার কাছে শুনেছি সেসব কথা। প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাহাদতবরণের পর নূরী ভাই দৈনিক দেশ-এ ‘জিয়ার স্মৃতিকথা’ শিরোনামে যে ধারাবাহিক স্মৃতিচারণ  লিখেছিলেন, তাতে ওইসব কথা তুলে ধরেছিলেন। বেগম খালেদ জিয়াও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিতেন।

কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। বিএনপিতে এখন জ্ঞানীগুণীদের কদর নেই। বরং মতের সাথে না মিললে তাকে বা তাদের কীভাবে অপদস্থ করা যায় সে প্র্যাকটিস চলে। মনে পড়ে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসের কোনো একদিন (তখনো ওয়ান-ইলেভেন হয়নি) হাওয়া ভবনের কিছু ছেলেপিলের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সহকর্মী মুশফিকুল ফজল আনসারী  (বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব) ক্ষুব্ধ কণ্ঠে মন্তব্য করেছিলেন, ‘এখানে শিষ্টাচার শেখানো হয় না, হয় বেয়াদবির ওরিয়েন্টেশন।’ বলাটা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক হবে না, বেয়াদবির সে ওরিয়েন্টেশন বিএনপিতে এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। কাদের প্রশ্রয়ে এরা এই বেয়াদবি করছে তা একটি প্রশ্ন বটে। তবে এর ফলে যে বিএনপি অধিকতর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। মান-ইজ্জত বাঁচাতে অনেকেই বিএনপির সংশ্রব ত্যাগ করেছেন। ডা. জাফরুল্লাহর অপদস্থ হওয়ার ঘটনা তাদের নিশ্চয়ই আরো ভীত করে তুলবে। বিএনপি নেতৃত্বের মনে রাখা দরকার, যেখানে জ্ঞানীর সম্মান নেই, সেখানে জ্ঞানীরা পা রাখেন না। তখন ওই জায়গাটি দখল করে মূর্খ আর অপোগণ্ডরা। বিএনপিতে সে প্রক্রিয়া চলছে বেশ জোরেশোরেই।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads