• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

সর্বভুক ‘মুনতাসির’রা সর্বত্র বিরাজমান

  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০২১

মহিউদ্দিন খান মোহন

 

সেলিম আল্-দীন রচিত একটি মফস্বল নাটক ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’। ওই নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র মুনতাসির চোখের সামনে যা দেখত তা-ই খেতে চাইত, খেয়ে ফেলত। নাটকের একেবারে শেষ দৃশ্যে মুনতাসিরের পেট অপারেশন করে বের করা হয় অনেক কিছু। তার মধ্যে ছিল নানা ধরনের জিনিসপত্র, এমনকি মেয়েদের পোশাক পর্যন্ত। মূলত নাটকটিতে আমাদের সমাজের একশ্রেণির সর্বভুক মানুষের চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরা সুযোগ পেলেই সামনে যা পায় গো-গ্রাসে গিলে ফেলে। বলা বাহুল্য, সমাজ থেকে মুনতাসিররা হারিয়ে যায়নি। ওরা নানান সময়ে, নানান রূপে, নানান বেশে বিরাজ করে। ওরা সরকারি দপ্তরে আছে, আছে রাজনীতির অঙ্গনেও। ওদের নেটওয়ার্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে ওদেরকে দমনে। ওরা খায় না এমন কোনো জিনিস নেই। ওরা সরকারি দপ্তরে বসে ঘুষ খায়, রাজনীতির সাথে মিশে টেন্ডার খায়, রিলিফের সামগ্রী খায়, খাসজমি খায়, বড় বড় প্রকল্পের অর্থ খায়। এদের কেউ কেউ আবার বন খায়, কেউ খায় সড়ক, কেউ আবার হাসপাতালের ওষুধ কিংবা চিকিৎসাসামগ্রী খায়। এদের মুখে কোনো অরুচি  নেই।

দরিদ্র-নিরন্ন মানুষের মুখের খাবার কেড়ে খাওয়ার নজিরের অভাব নেই আমাদের দেশে। বিশেষত দুর্যোগকালীন অবস্থায় কিছু মনুষ্যত্বহীন মানুষ এ সুযোগটা নেয়। খরা, বন্যা, ঝড়-ঝঞ্ঝা মহামারিসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এদের উৎপাত বেড়ে যায়। সরকারের ত্রাণ তৎপরতার অংশ হিসেবে দুর্গত গরিব ও অসহায় মানুষদের জন্য বরাদ্দ করা চাল, গম, আটা, ডাল, তেল, চিনি বিস্কুট কিংবা ভুট্টার ছাতুও এরা অবলীলায় উদরস্থ করে। এমনকি দুস্থ মানুষের গৃহ নির্মাণের জন্য আসা টিন কিংবা শীত নিবারণের কম্বলও ওদের কাছ সুস্বাদু খাদ্য। চোখ কান বুজে তা গলাধঃকরণ করে। সমাজে এদেরকে মানুষ ‘রিলিফ চোর’ বলে থাকে। এদের আবার লাজলজ্জার বালাই নেই। চৌর্যবৃত্তির টাকায় বিত্তবান হয়ে এরা বুক ফুলিয়ে ঘুরেও বেড়ায়। কখনো কখনো সমাজে কল্কেও পায়।

আমাদের দেশের প্রথম রিলিফ চুরির মহোৎসব হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থা বিপুল পরিমাণ সাহায্য-সামগ্রী পাঠিয়েছিল। সে সময় প্রতিটি ইউনিয়নে রিলিফ কমিটি নামে স্থানীয় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি করে কমিটি করে দিয়েছিল সরকার। ওইসব রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যানদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে দরিদ্র মানুষের জন্য আসা চাল, গম, ডাল, তেল, বিস্কুটসহ ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। একই সঙ্গে সাহায্য হিসেবে আসা রেড ক্রস সোসাইটির (বর্তমানে রেড ক্রিসেন্ট) কম্বল নিয়ে হয়েছিল মহাকেলেংকারি। তার ব্যাপকতা এতটা ছিল যে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন প্রকাশ্যেই। বলেছিলেন, ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য সাড়ে নয় কোটি কম্বল আইল, ভাগে আমিও একটা পাই। আমার ভাগের কম্বলটাও চোরেরা বেইচা খাইছে। আমি সারা বিশ্ব থেকে আমার মানুষের জন্য ভিক্ষা কইরা আনি, আর চাটার দলের চাটারা সব চাইট্টা খাইয়া ফালায়।’ বঙ্গবন্ধুর সেই খেদোক্তি আজ দুর্নীতি-আত্মসাতের ক্ষেত্রে জীবন্ত রেফারেন্স হয়েই আছে। শুধু ওই সময় নয়, যতবার বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়েছে, ততবারই রিলিফ চোরদের মচ্ছব লেগেছে। ১৯৮৮ সালের সর্বগ্রাসী বন্যার সময় বিদেশ থেকে আসা ত্রাণসামগ্রী রাজধানীর গুলিস্তানে প্রকাশ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। দরিদ্র মানুষের জন্য আসা ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতের দায় কোনো বিশেষ সরকারের ওপর চাপানোর অবকাশ নেই। সব সরকারের আমলেই একশ্রেণির দুষ্কৃতিকারী এ অপকর্মটি করে থাকে। স্মরণ থাকার কথা ওয়ান-ইলেভেনের সময় সদ্য বিদায়ী সরকারি দলটির কয়েকজন সাবেক এমপির বাড়ি থেকে দরিদ্রদের জন্য আসা ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করেছিল যৌথ বাহিনী। সিলেটের একজন সাবেক এমপি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশ থেকে আসা বিস্কুট খাইয়েছিলেন তার আস্তাবলের ঘোড়াকে। আরেকজন যিনি ক্ষমতার সুবাদে সহস্র কোটি টাকার মালিক হয়ে একটি শিল্প ক্ষেত্রের ‘মোগল’ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছিলেন, তিনি গরিবের জন্য আসা ঢেউটিন তার একটি ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের থাকার শেড নির্মাণে ব্যবহার করেছিলেন। আরো কয়েকজনের পুকুর থেকে রিলিফের টিন উদ্ধারের খবর তখন সংবাদমাধ্যমে এসেছিল। এদের কেউই অর্থাভাবে ছিল এমন নয়। কিন্তু ওই যে খাসলত। এদের উদর তো নাটকের মুনতাসিরের পেট। এ উদর পৃথিবীর সব সম্পদ দিয়েও ভরানো কষ্টকর।

গত বছর করোনা মহামারির শুরুর দিকে সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য প্রচুর ত্রাণসামগ্রী দিয়েছিল। সেসব সামগ্রীর একটি বড় অংশ গরিব মানুষ পায়নি। স্থানীয় হোমড়া-চোমড়া এবং ইউনিয়ন পরিষদের অনেক চেয়ারম্যান-মেম্বার তা নিজেদের পকেটস্থ করেছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে কারো বাড়ির গোলাঘর থেকে, কারো ঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছিল চালের বস্তা। কারো বা খাটের তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল শ শ তেলের কন্টেইনার। একটি কথা অনেকেই বলে থাকেন যে, আমাদের দেশ কোনো দুর্যোগে পতিত হওয়া মানেই চোর-বাটপাড়দের পৌষমাস। গরিবের অন্ন আত্মসাৎ করে পকেটভর্তি করার ধান্দায় লিপ্ত হয় ওরা।

এতদিন আমরা রিলিফখেকো, কম্বলখেকো, টিনখেকো আর বনখেকোদের গল্প শুনেছি। এবার শোনা গেল ‘ঘরখেকো’দের কথা। খবরটি এতটাই বিস্ময়কর যে, সবারই চোখ কপালে উঠেছে। সর্বভুক মুনতাসিররা এবার থাবা বসিয়েছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রকল্প আশ্রয়ণে। ওই প্রকল্পে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৮০ জন ভূমিহীনকে দুই শতাংশ জমিসহ দুই কামরার একটি করে আধাপাকা ঘর দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সেসব ঘর হস্তান্তর করেছেন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এটি একটি মহতী উদ্যোগ। কিন্তু সেই মহতী উদ্যোগটিও মুনতাসিরদের লোলুপ দৃষ্টির বাইরে থাকতে পারেনি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খবর এসেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশকিছু ঘর ভেঙে পড়ার। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, নির্মাণকাজে দুর্নীতি এ ভেঙে পড়ার মূল কারণ। এই ঘর-দুর্নীতির সাথে জড়িত সরকারি কিছু কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধি। কারো অর্থলিপ্সা, কারো ঔদাসীন্য আর কারো অবহেলা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ী। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ২২ জেলার ৩৬ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, এ দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। তাদের কাউকে প্রত্যাহার, কাউকে ওএসডি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন দলের সরেজমিন প্রতিবেদনে ঘর নির্মাণে অনিয়ম এবং অবহেলার চিত্র উঠে এসেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস একটি পত্রিকাকে বলেছেন, “আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্লোগান হলো- ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এর সঙ্গে আমাদের সবার আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও শৈথিল্যের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অনিয়ম ও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি পেতেই হবে। কাউকেই বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।” আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, দুর্নীতি দমনে শূন্য সহনশীলতা অনুসরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। তাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রস্তুত রয়েছে (সমকাল, ৬ জুলাই ২০২১)।

ঘটনাটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দেশের বিশিষ্টজনদেরও। তারা এমন একটি জলজ্যান্ত অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে পরিষ্কারভাবে দুর্নীতি হয়েছে। এটা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ বা হাইপ্রোফাইলের প্রকল্পে দুর্নীতি প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু আমাদের দেশে প্রকল্প মানেই কিছু মানুষের সম্পদ গ্রাসের মাধ্যম। দুঃখজনকভাবে এ প্রকল্পটিতেও এমনটাই ঘটেছে।’ তিনি এর সঙ্গে কোন কোন কর্মকর্তা, ঠিকাদার বা স্থানীয় অন্য কোন প্রভাবশালীরা জড়িত খুঁজে বের করে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। একই প্রসঙ্গে সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আন্তরিক উদ্যোগ খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু ইদানীংকালে অসৎ আমলা, অসৎ রাজনীতিক, অসৎ ব্যবসায়ী ও অসৎ রাজনৈতিক কর্মী— এই চারপক্ষ মিলে তার উন্নয়নের সুফল ঘরকাটা ইঁদুরের মতা খেয়ে ফেলছে।’ তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে শুধু দু-একজন কর্মকর্তাকে ওএসডি বা সাসপেন্ড সমাধান নয়। সমাধান হলো চাকরি থেকে বরখাস্ত করে কারাগারে নিয়ে কঠিন শাস্তি দেওয়া (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৭ জুলাই ২০২১)।

উপরোক্ত দুই বিশিষ্টজনের মন্তব্যের সাথে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। দুর্নীতিবাজদের কারণে সরকারের অনেক ভালো উদ্যোগের মাঠে মারা যাওয়ার ঘটনার অনেক নজির রয়েছে। দেশের সচেতন মানুষ বলে আসছেন যে, দুর্নীতির পাগলাঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে হলে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। কেননা দুর্নীতিবাজরা এখন সর্বগ্রাসী থাবা নিয়ে উদ্যত। হাসানুল হক ইনু যে চার শ্রেণির কথা বলেছেন, বাংলাদেশের ছেট-বড় সব দুর্নীতির সঙ্গেই ওই চার পক্ষ সম্পৃক্ত। সরকারি আমলাদের দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। এমন কোনো সরকারি দপ্তর নেই, যেখানে দুর্নীতি-অনিয়মের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। কোথাও কোথাও তা নিয়েছে ক্যানসারের রূপ। ভয়াবহ এ মহামারি দেশের অর্থনীতি ও সমাজ কাঠামোকে কুরে কুরে খাচ্ছে ঘুণপোকার মতো। সেই পোকাকে দমন করতে প্রয়োজন নগদ শাস্তির কীটনাশক। ওএসডি করে বা প্রত্যাহার করে এ পোকা দমন সম্ভব হবে না। আমরা দেখে আসছি যে, পুলিশের কোনো সদস্য অপরাধ করলে তাকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় বা অন্যত্র বদলি করা হয়। এতে ওই ব্যক্তি কঠিন শাস্তি থেকে বেঁচে যায়। কিছুদিন পরে সে নানা কায়দায় আরেক জায়গায় পোস্টিং নিয়ে আবারও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি ওএসডি বা প্রত্যাহর দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোনো শাস্তি নয়, বরং তা ঝড়ের প্রথম ধাক্কা সামলানোর একটি কৌশল। পরিস্থিতি থিতিয়ে এলে ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আবার নতুন জায়গায় পোস্টিং পায়। ঠিক একইভাবে দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে হবে। যে বা যারাই দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হবে, তাদেরকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। এতে অপরাপর সবার কাছেও একটি বার্তা পৌঁছবে।

শেষ কথা হলো, সর্বভুক মুনতাসিরদের দমনে সর্বাত্মক ব্যবস্থাই নিতে হবে। না হলে শুধু কথা বলাই সার হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads