• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

আমাদের পান্তার অস্ট্রেলিয়া জয়

  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০২১

মহিউদ্দিন খান মোহন

 

‘এত বেলা হয় ভাবিজান পান্তা নাই মোর পেটে রে..’ একটি শ্রোতাপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান। এক থালা পান্তাভাতের জন্য দেবরের ভাবির প্রতি আকুতি ফুটে উঠেছে এই গানে। পান্তা যে আমাদের গ্রামীণ জীবনযাত্রার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনো গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সকালে তাদের নাশতা হিসেবে পান্তাকেই বিবেচনা করেন। বিশেষত দরিদ্র ও নিম্ন-আয়ের মানুষেরা আগের রাতে পানি দেওয়া ভাতের সাথে আলু কিংবা শুঁটকি ভরতা, ডিম ভাজা, কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ সহযোগে খেয়ে থাকে। জীবন ধারণের নিমিত্তেই তারা পান্তা খেয়ে থাকে। আমরা যারা গ্রাম থেকে উঠে আসা নব্য শহুরে বাবু তারাও পান্তাকে অস্বীকার করতে পারব না। সকালবেলা এক থালা পান্তার সাথে ক্ষেত থেকে তুলে আনা তরতাজা কাঁচামরিচ আর একটি পেঁয়াজ হলে আর কিছু লাগে না। নিজের কথা বলতে পারি—এখনো এই নগরজীবনেও পান্তাকে সম্পূর্ণ ছাড়তে পারিনি। সুযোগ পেলেই ভাতকে পান্তায় পরিণত করে বুভুক্ষের মতো গো-গ্রাসে গিলি। ছেলেমেয়েরা এজন্য আমাকে ডাকত ‘গ্রাম্যসাহেব’। আমি বলি—‘বাছারা, এর মজা তোমরা বুঝবে না। এটা খেয়ে যে স্বাদ ও তৃপ্তি, তা তোমাদের ওই পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, হটডগে পাবে না। তোমরা তো পান্তা খাও বছরে একদিন—পহেলা বৈশাখ। আমরা প্রতিদিন না হলেও প্রায়ই খেতাম। বলতে পারো ওটা আমাদের প্রাতরাশের কমন মেন্যু ছিল।’ ওরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তাকাবেই তো। একদিনের শখের পান্তা কারো প্রতিদিনের আহার্য হতে পারে, তা তো ওদের কাছে বিস্ময়কর ব্যাপার! কিন্তু আবহমান বাংলার জীবনাচারের সাথে পান্তার সম্পর্ক বহু পুরনো। গ্রামের কৃষক-মজুর সকালে এক থালা মোটাচালের পান্তার সাথে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ কিংবা শুকনো মরিচপোড়া ডলে আঙুল ডুবিয়ে খেয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে হুকা টানতে টানতে লাঙল কাঁধে কিংবা কাস্তে হতে মাঠে যায় সবার মুখের আহার ফলানোর জন্য। আমরা যারা শহরে বসে দুবেলা গরম ভাত গলাধঃকরণ করি তারা কি কখনো ভেবে দেখেছি, এই ভাত আমাদের গ্রাস পর্যন্ত আসতে যারা অবদান রেখেছে, তারা কখনো পেটপুরে খেয়েছে কি না। না, আমরা সেটা কখনোই করি না। অবশ্য রাজনৈতিক নেতারা মাঝেমধ্যে ‘কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না’ বলে বক্তৃতা-বিবৃতির ঝড় তুলে থাকেন। তবে সেসব কথা ইথারেই হারিয়ে যায়। কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেওয়া ওইসব বুলিকে এখন মানুষ ফাঁকাবুলিই মনে করে। কেননা তাদের ওই চিল্লাপাল্লায় কৃষকের ভাগ্যের কোনো বদল হয়নি। তারা তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম পাক বা না পাক, পরের বছর বা মৌসুমে আবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নতুন ধান ফলানোর জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করে।   

কথা আসলেই গাছের লতা। বাড়তে দিলে বাড়তেই থাকবে। শুরু করেছিলাম পান্তা প্রসঙ্গ নিয়ে। অথচ ধান ভানতে শিবের গীতের মতো চলে গেছি ধানচাষের মাঠে। আবার পান্তায় ফিরে যাই। পান্তা আমাদের সার্বজনীন সংস্কৃতির অচ্ছেদ্য অংশ এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। ১৯৮৩ সালে পহেলা বৈশাখে কয়েকজন সাংবাদিক-সংস্কৃতিকর্মী মিলে রমনা বটমূলের কাছে সেই যে প্রথম পান্তার দোকান দিয়েছিলেন, তা আজ বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। পান্তা-ইলিশ ছাড়া নববর্ষ বরণ এখন কল্পনাই করা যায় না। পান্তা-ইলিশের দোকান এখন রাজধানীর রমনা পার্ক ছাড়িয়ে পাড়া-মহল্লা, এমনকি গ্রামের মাঠেও জায়গা করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘরে ঘরে আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-সুহূদরাও এখন পহেলা বৈশাখ পান্তা-ইলিশে আপ্যায়িত হন। পান্তা-ইলিশ অবশ্য অভিজাত খাবারের নাম; আর এটা হয়েছে ইলিশ মাছের দুর্মূল্যের কারণে। তবে পান্তার সাথে ডালের পিঁয়াজুও কিন্তু কম উপাদেয় নয়। সাথে যদি থাকে শুকনো মরিচ ভাজা। তাহলে তো কথাই নেই।

গ্রামীণ জীবনের অপরিহার্য খাবার, নাগরিক জীবনের বাৎসরিক উৎসবের আইটেম আমাদের সেই পান্তা এবার জয় করেছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেয়ে কিশোয়ার চৌধুরী সেখানে রান্না প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পান্তা, বেগুন ভরতা, আলু ভরতা, মাছ ভাজা পরিবেশন করে সেরা তিনে স্থান করে নিয়েছেন। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় ‘মাস্টার শেফ অস্ট্রেলিয়া-২০২১’-এর প্রতিযোগিতা। প্রাথমিক বাছাই শেষে ২৪ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত হন। কিশোয়ার তাদের একজন।

চূড়ান্ত পর্বের আগে বিভিন্ন পর্বে কিশোয়ার রান্না করেছেন বাঙালি খাবারের বিভিন্ন পদ। প্রথম ডিশ ছিল কাঁচা আমের ঝোলে সার্ডিন। সেইসাথে কালো মসুর ডাল, বিটরুট ও ব্ল্যাক অরেঞ্জ ভরতা। এক পর্বে তিনি পরিবেশন করেন কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালাই। আরেক পর্বে রেঁধেছিলেন ময়মনসিংহের হারিয়ালি চিকেন। এছাড়া বিভিন্ন পর্বে তার পরিবেশনার মধ্যে ছিল টমেটো, তেঁতুলের চাটনি, খাসির রেজালার সঙ্গে পরোটা, চিংড়ির মালাইকারির আদলে ক্রেফিসের মালাইকারি, ভাপা মাছ, গরুর ভুনার অনুপ্রেরণায় নর্থ আফ্রিকান অক্সটেইল কারি, জিরা রাইস এবং বিন ভরতা। শুধু তাই নয়, কিশোয়ার তার পরিবেশনায় বাংলাদেশের বিয়েবাড়ির প্রধান মেন্যু পোলাওয়ের সঙ্গে চিকেন কোরমাকেও বাদ দেননি। বাঙালির প্রিয় খাবার খিচুড়ির সঙ্গে মাছ, বেগুন ভাজা, বেগুন ভরতা, ও নিরাশিষও ছিল তার পরিবেশনায়, যা অস্ট্রেলিয়ান বিচারকদের রসনাকে ভালোই তৃপ্তি দিয়েছে। আবার তার তৈরি নবাবি নানরুটির সঙ্গে গরুর নেহারিও প্রশংসা কুড়িয়েছে ভিনদেশি মানুষদের। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যে খাবারটি অনেকেরই পছন্দের তাহলো লাউয়ের সাথে গুঁড়ো চিংড়ির ঘণ্ট। কিশোয়ার এই আটপৌরে বাঙালি খাবারকেও অস্ট্রেলিয়ায় পরিচিত করেছেন। সেইসাথে জাউভাত এবং সার্ডিনমাছের টক ঝোল সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছে। বাঙালিদের বিশেষ করে বাঙালি মেয়েদের অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার ফুচকা। সেটাও বাদ দেননি তিনি। তবে ইতিহাস গড়েন ফাইনালে। সেদিন তার পরিবেশিত পান্তাভাত, মাছ ভাজা, বেগুন এবং আলু ভরতা বিচারকদের অভিভূত করে। তিন বিচারকই তাকে নম্বর দেন দশে দশ। মাস্টার শেফ প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিনে স্থান করে নেন তিনি। বাঙালি বা বাংলাদেশি খাবার নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে শীর্ষস্থানে যাওয়া এটাই প্রথম।

কীভাবে এলো কিশোয়ারের মাথায় মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতায় বাঙালি খাবার নিয়ে অংশগ্রহণের? তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও জন্ম নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। তার বাবা বাংলাদেশের বিক্রমপুরের মানুষ, মা কলকতার। পুরোপুরি বাঙালি উত্তরাধিকার তিনি। বাবা কামরুল হাসান চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মা লায়লা হাসান পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমানের অধিবাসী। মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসান গত শতাব্দীর আশির দশকের গোড়ার দিকে ভাগ্যান্বেষণে পাড়ি জমিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তারপর সেখানেই গাড়েন স্থায়ী আবাস। কলকাতার মেয়ে লায়লাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির মেয়ে কিশোয়ার চৌধুরী। বেড়ে উঠেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে। কিন্তু পিতৃভূমির প্রতি তার রয়েছে প্রগাঢ় টান। বিভিন্ন দেশ ঘুরতে গিয়ে তিনি অনেক বাঙালি খাবারের দোকানের সন্ধান পেয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত বাঙালি খাবার পান নি। সব বাংলাদেশি রেস্তোরাঁয় বিদেশি খাবার। সে থেকেই বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপনের একটি অদম্য ইচ্ছা পেয়ে বসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বড় হওয়া মনে-প্রাণে বাঙালি কিশোয়ার চৌধুরীকে।

মাস্টার শেফ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুপ্রেরণা তাকে দিয়েছেন তার ঘরে মানুষেরাই। এমনিতে কিশোয়ার বাড়িতে রান্না করতেন শখের বশে। পরিবারের সবাই তা বেশ উপভোগ করতেন।  কিশোয়ার চেয়েছিলেন তার ছেলে মিকাইলকে জুনিয়র মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতায় পাঠানোর; যে নিজেও এ কিশোর বয়সেই রান্নার প্রতি বেশ আগ্রহী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুত্র এবং স্বামীর ইচ্ছায় তিনি নিজেই অংশ নেন মাস্টার শেফ প্রতিযোগিতায় এবং অবস্থান করে নেন শীর্ষ তিনে। এজন্য তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে জাস্টিন নারায়ন ও পিটি ক্যাম্পবেলের মতো  অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় রন্ধনশিল্পীদের সঙ্গে।

অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্বাবদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী কিশোয়ার চৌধুরী বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন সবসময়। কর্মজীবনের পাঁচটি বছর তিনি কাটিয়েছেন তার পিতৃভূমি বাংলাদেশে। স্বচক্ষে দেখেছেন এদেশের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনাচার। এই সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন গবেষণার কাজে। জেনেছেন বাংলাদেশকে। এই দেশটিকে স্বাধীন করতে তার পিতা যুদ্ধ করেছেন ভেবে গর্বিত হয়েছেন। জেনেছেন এই দেশের কৃষ্টি-কালচার সম্পর্কে। খুব কাছ থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এদেশের মানুষকে। জেনেছেন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ অর্জনের জন্য এদেশের মানুষের যুগের পর যুগ নিরন্তর সংগ্রামের কথা। জেনেছেন আর অভিভূত হয়েছেন। আর তা থেকেই একটি আলাদা টান অনুভব করতে শুরু করেন মনেপ্রাণে বাংলাদেশি কিশোয়ার চৌধুরী। তিনি জেনেছেন তার পিতা কামরুল হাসান চৌধুরী এদেশের এমন একটি অঞ্চলের মানুষ যেখানে জন্ম হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত মনীষীদের। বৌদ্ধধর্মের শিক্ষাগুরু শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর, বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, ব্রিটিশ-ভারতের বিচারপতি চন্দ্রমাধব ঘোষ, সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা কমরেড ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের সহযোগী বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ রায় (এম এন রায়)-এর মাতৃভূমি স্বর্ণগর্ভা বিক্রমপুরই তার পিতার জন্মস্থান। পিতার গর্বে সব সন্তানই গর্বিত হয়। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসানের সন্তান কিশোয়ার চৌধুরী গর্বিত তার পিতার যোদ্ধা পরিচয় নিয়ে। পিতা তার মাতৃভূমিকে ভালোবেসে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, এ কথা ভাবতে ভাবতে এক সময় অস্ট্রেলিয়ার একেবারে ভিন্ন পরিবেশে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা কিশোয়ার বাংলাদেশকে ভালোবেসে ফেলেন মনের অজান্তেই। তাই ২০১০ সালে কাজের সুবাদে সুযোগ পেয়েই ছুটে এসেছিলেন পিতৃভূমি বাংলাদেশে। পাঁচ বছর কাটিয়ে ২০১৫ সালে ফিরে যান মেলবোর্নে।

অস্ট্রেলিয়ায় থেকেও ছোটবেলাতেই তিনি এক খণ্ড বাংলাদেশের সংস্পর্শে এসেছিলেন। পিতা কামরুল হাসান চৌধুরী মা লায়লা হাসান অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করলেও মনে-প্রাণে ধারণ করেন বাংলাদেশি সংস্কৃতি। সেখানেও তারা দেশীয় খাবার-দাবার, ভাষা ও সংস্কৃতিকে লালন করেছেন পরম যত্নে। সারাদিন যাই হোক রাতের খাবার হতো পুরোপুরি বাংলাদেশি মেন্যুতে। রান্নার জন্য শাকসবজি, তরিতরকারি উৎপাদিত হতো তাদের নিজস্ব বাগানে। মা সেসব রান্না করতেন। তা দেখতে দেখতে ও খেতে খেতে কিশোয়ারও ওইসব খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। মূলত দেশীয় সংস্কৃতিকে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে ধারণ করে আছেন বলেই ওদের পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় থাকলেও বাঙালি রয়ে গেছে।

যে সময়ে আমরা প্রতিনিয়ত হতাশার খবর পাই, সে সময়ে কিশোয়ারের হাত ধরে আমাদের নিজস্ব খাবার পান্তাভাতের অস্ট্রেলিয়া জয় সঙ্গত কারণেই আমাদেরকে উদ্বেলিত না করে পারে না। আমরা আশা করব, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছেন, তারা কিশোয়ারের মতো বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। এতে আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্বন্ধে বিশ্ববাসী জানতে পারবে। এতদিন যারা আমাদেরকে হেলা-ছ্যাদরা করেছে, তারা বুঝতে পারবে বাঙালি ইচ্ছা করলে অনেক কিছু পারে। বিদেশে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য কিশোয়ার চৌধুরীকে অভিনন্দন।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads