• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

সংবাদপত্রের দায় ও দায়িত্ব

  • মামুন মুস্তাফা
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০২১

’৪৭-উত্তর দৈনিক কাগজগুলোর যে প্রগতিশীল ও পক্ষপাতহীন কমিটমেন্ট ছিল তা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ক্রমেই ক্ষয় হতে হতে আজ নির্বাসিত হতে চলেছে। তবে কি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নীতিহীনতা বাসা বেঁধেছে? জ্বলজ্বল দিবাকরের মতো সত্য এই যে, সর্বত্র ভয়াবহ রাজনীতিকীকরণের ফসল আজকের সংবাদপত্রের মূল চরিত্রটিকে ভুলিয়ে দিতে বসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দৈনিক কাগজ তার দায় আর ধরে রাখতে পারছে না যেন। এই দায় কেবল সংবাদ পরিবেশনের ভেতরেই নিহিত নয়, বরং সংবাদ পর্যালোচনা, উপ-সম্পাদকীয়, এমনকি কখনো কখনো ফিচারপাতায়ও লেখকের নিজস্ব মুক্তমত বাধাগ্রস্ত হতে দেখা যায়। এর ফলে লেখকের মুক্তবুদ্ধিও আজ একটি চক্রব্যূহে আবদ্ধ। মূলত একচক্ষু হরিণের মতো পক্ষপাতিত্বের রাজনীতি পক্ষপাতহীন লেখক যেমন সৃষ্টি করতে পারে না, তেমনি সংবাদপত্রও তার নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনেও ব্যর্থ হচ্ছে।

হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, নেহরুর অখণ্ড ভারতবর্ষ, জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের পটভূমিতে ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগ। ’৪৭-উত্তর নতুন রাষ্ট্রনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতির নতুন পরিবেশে বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো তখন রেখেছিল তাদের যুগান্তকারী স্বাক্ষর। সেই চিরন্তন মুসলিম মানসের পটভূমিতে উদার দৃষ্টিভঙ্গি আর চিন্তাচেতনার প্রতিফলন দেখা গেল সেই সময়ে প্রকাশিত ‘দৈনিক সংবাদ’ ও ‘দৈনিক ইত্তেফাকে’র পাতায়। যদিও পাকিস্তানের শুরুতে ইত্তেফাক ছিল সাপ্তাহিক পত্রিকা। তা ছাড়া সে সময় ‘দৈনিক আজাদে’র ভূমিকা রহস্যে ঘেরা থাকলেও ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে তারা বাংলা ও বাঙালির পক্ষে দাঁড়ায়। উপরন্তু তমুদ্দিন মজলিশের মুখপত্র ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’ কাগজটিও তৎকালীন পূর্ববাংলার ভাষা ও স্বাধীকার আন্দোলনে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছিল। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ভিন্ন ধারার ‘সওগাত’ ও ‘সমকাল’ সাহিত্যকাগজ দুটিও। এই কাগজগুলো প্রধানত বাংলা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষে এবং প্রগতিশীল মেজাজ-মনন সৃষ্টির কারিগর হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়। একটি দেশের সভ্যতার মাপকাঠি বিচার করা যায় তার সাহিত্য, কৃষ্টির পাশাপাশি সে সময়ে প্রকাশিত সংবাদপত্রের ভেতর দিয়ে। ’৪৭-এর দেশভাগের পটভূমিতে তখন নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে এইসব দৈনিক কাগজের সম্পাদকগণ ছিলেন কর্তব্যনিষ্ঠ এবং পালন করেছিলেন অকুণ্ঠচিত্তে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব।

পাকিস্তান সৃষ্টির পরে বাঙালির ওপর প্রথম আঘাত ভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে ‘ইনসাফ’, ‘জিন্দেগী’ ও ‘দেশের দাবী’ পত্রিকা থেকে তিনজন করে প্রতিনিধি ছিলেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনার পর ‘দৈনিক আজাদে’র ব্যানার হেডলাইন করা হয়, ‘ছাত্রদের তাজা খুনে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত’। ফলে মুসলিম লীগ সরকার ‘দৈনিক আজাদে’র এই সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। অন্যদিকে ‘দৈনিক সংবাদে’র অধিকাংশ সাংবাদিকই ছিলেন বাংলা ভাষার সমর্থক। কিন্তু মালিকানার কারণে পত্রিকাটি ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করলেও এর তরুণ দুই সাংবাদিক মুস্তফা নূরউল ইসলাম ও ফজলে লোহানী পদত্যাগ করেন। ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন খবর তদানীন্তন ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হলে পাকিস্তান সরকার কাগজটি বন্ধ করে দেয় এবং সম্পাদক আবদুস সালাম ও মালিক হামিদুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে তমুদ্দিন মজলিশের মুখপত্র ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’ কাগজটি বরাবরই বাংলা ও বাঙালির পক্ষে কাজ করায় এর সম্পাদক আবদুল গফুর ও প্রকাশক প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ কাগজগুলো ছাড়াও ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ‘দৈনিক মিল্লাত’, ‘দৈনিক ইনসাফ’ ও ‘দৈনিক আমার দেশ’। ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় ‘দৈনিক মিল্লাত’ ব্যানার শিরোনাম করে-‘রাতের আঁধারে এত লাশ যায় কোথায়?’। ঘটনার পর মিল্লাত সম্পাদক মো. মোদাব্বেরের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ভাষা আন্দোলনে সাপ্তাহিক ‘ইত্তেফাক’ও জোরালো ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে সে সময়ের সব সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় তথা যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, আইয়ুবের মৌলিক গণতন্ত্র, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণ-অভুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এসব পত্রিকা রেখেছিল যুগান্তকারী ভূমিকা।

পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধেও সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। এসব কলম সৈনিক সেদিন শত্রুর বুকে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন। এ সময় কিছু সংবাদপত্র, সাময়িকী ও বুলেটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। খুব গোপনে, সতর্কভাবে প্রকাশিত সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা, আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, প্রবাসী সরকারের কর্মপরিকল্পনা প্রতিদিন প্রকাশিত হতো, যা মুক্তিকামী মানুষকে করেছিল উজ্জীবিত। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ১৫ খণ্ডের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র গ্রন্থে স্বাধীনতাযুদ্ধে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতিক্ষার নানা তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে। সেই সময়পর্বে সকল ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মিল্লাত, আজাদ, সংবাদ, ইত্তেফাক প্রভৃতি দৈনিকের একদল সাহসী ও নির্ভীক সাংবাদিক নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যিকতার জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের মধ্যে শহীদ সাংবাদিক শহীদুল্লা কায়সার, সিরাজউদ্দিন হোসেনসহ সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, জহুর হোসেন চৌধুরী, আবদুস সালাম, শহীদ সাবের, সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তাদের আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

কিন্তু স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংবাদপত্রের নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়। এ সময়ে সংবাদপত্রে নিয়োজিত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্য আইন প্রণীত হয় এবং ১৯৭৫ সালের ১৬ জুনের পর থেকে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, দ্য বাংলাদেশ অবজারভার ও দ্য বাংলাদেশ টাইমস—এই চারটি কাগজ সরকারি নিয়ন্ত্রণে প্রকাশ হতে থাকে। তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে আবারো একে একে বন্ধ পত্রিকাগুলোর প্রকাশ শুরু হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময়ের সামরিক শাসন ও স্বৈরশাসকদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতেই স্বাধীন সাংবাদিকতা নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হতে শুরু করে। ওই সময় পুঁজিপতি বেনিয়াদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ হতে থাকে অগণিত সংবাদপত্র। তখন থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র পথ হারাতে শুরু করল। মূলত এসব হলুদ রাজনীতির কণ্ঠরোধেই বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয় প্রেস অ্যাক্ট, যার সর্বশেষ সংযোজন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ৩২ ধারা।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর সমগ্র সমাজব্যবস্থায় যে অস্থিরতা দেখা দেয়, সেই বিরুদ্ধ পরিবেশেও আমরা পেয়েছি ফয়েজ আহমেদের মধ্যরাতের অশ্বারোহী, গাছপাথর লিখিত সময় বহিয়া যায়, জহুর হোসেন চৌধুরীর দরবার-ই-জহুর এবং আবু জাফর শামসুদ্দিনের বৈহাসিকের পার্শ্বচিন্তা’র মতো লেখা। এগুলো আমাদের একাধারে মুক্তচিন্তার ধারাকে অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছিল এবং শত প্রতিকূলতার ভেতরেও যে দৈনিক কাগজগুলো তার যথাযথ অবস্থানে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল, তারই নিদর্শন। এর পাশাপাশি সাহিত্যপাতার বিষয় হয়েও সৈয়দ শামসুল হকের হূৎকলমের টানে, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের অলস দিনের হাওয়া কিংবা অনেক পরে এসে হাসনাত আব্দুল হাইয়ের সবার জন্য নন্দনতত্ত্ব-এর মতো রচনা পাঠকের মুক্তচিন্তার দরজাকে উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে।

কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে রাষ্ট্রযন্ত্রে জেঁকে বসে সামরিক শাসক, স্বৈরশাসক ও বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে একনায়কতন্ত্র। আর তাদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতেই এদের সঙ্গী হয় করপোরেট জগতের নতুন পুঁজিপতিশ্রেণি যারা সংবাদপত্রকে নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত করতে উদ্যোগী হয়। এর ফলে শুরু হলো দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ। বর্তমানে সততা ও কমিটমেন্টের জায়গা থেকে সরে আসার কারণে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নিয়ে সর্বত্র নেতিবাচক মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আসলে স্বজনপ্রীতি ও গোষ্ঠীপ্রীতিসহ রাষ্ট্রের অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ এত বেশি নগ্ন আকার ধারণ করেছে যে, সংবাদপত্র তার মূল চরিত্র হারিয়ে ফেলতে বসেছে এবং সাংবাদিকতার নন্দনতত্ত্বের জায়গাটিতে সাংবাদিকদের দায়িত্ববোধও আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। অথচ এই বিষয়টি সেই স্বাধীনতা উত্তরপর্বেও কমবেশি পরিলক্ষিত হতো। ওই সময়পর্বে সরকারি মালিকানায় থেকেও দৈনিক বাংলা’র মতো কাগজেও বেশ কিছু মননশীল লেখা চোখে পড়ত, যা আমাদের সমাজজীবন তো বটেই জাতীয় জীবনেরও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা শ্লেষ-বিদ্রূপের মাধ্যমে পাঠকের মননে সাড়া ফেলেছিল। পাঠকের স্মরণের জন্য বলা যেতে পারে ফয়েজ আহমদের মধ্যরাতের অশ্বারোহী এবং হেদায়েত হোসাইন মোরশেদের আরেক জার্নাল—১-এর কথা। এটি পরে তার বিখ্যাত গ্রন্থ রিপোর্টারের নোটবুকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তবে কি আমরা ধরে নেব যে, ওই সময়পর্বে যারা সাংবাদিকতায় এসেছিলেন তারা বাজার চলতি সব ধরনের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে সৎ সাংবাদিকতায় কর্তব্যনিষ্ঠ ছিলেন? তারা সারাজীবন কর্তব্যনিষ্ঠার কাছে দায়বদ্ধ থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে আগ্রহী ছিলেন বিধায় পাঠকের সামনে সত্য উদ্ঘাটনে তারা কখনো আপস করেননি। কিন্তু বর্তমানে দৈনিক কাগজগুলোর ওপর রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রবল প্রভাব এর সংবাদ পরিবশেনে বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করছে। আর এটি প্রকট আকার ধারণ করেছে বর্তমানে সংবাদপত্র করপোরেট জগতের বাণিজ্যিক শাখার চরিত্র ধারণ করায়।

সংবাদপত্রকে বিচার করতে হবে তার সময় ও সমাজকে, ধারণ করতে হবে নাগরিক চিন্তা এবং বুঝতে হবে জনগণের ভাষা। তবেই সে বস্তুনিষ্ঠ হয়ে উঠবে পাঠকের কাছে। তখনই তার সংবাদ পরিবেশন, সংবাদ পর্যালোচনা এবং উপ-সম্পাদকীয়সহ অন্যান্য ফিচার পাতাও হয়ে উঠবে মুক্তচিন্তার পরিচায়ক। শুধু চাকরি-স্বার্থকে পরিহার করে সৎ সাহসের সঙ্গে যখন সংবাদপত্রের বিভাগীয় সম্পাদকগণ নিজ গোষ্ঠীরও ভালো-মন্দ বিশ্লেষণ করতে পারবেন তখনই মুক্তবুদ্ধির চর্চা সম্ভব হবে এবং একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনও সহজ হবে। 

বাংলাদেশে মানসমৃদ্ধ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চায় অগ্রসরমাণ কাগজের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। মূলত সমাজ নিরীক্ষায় সাংবাদিকদের মুক্তচিন্তার প্রসারে এবং দায়িত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারে পাঠক, লেখক এবং সম্পাদকের সমন্বিত ইচ্ছাই যথেষ্ট। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের দায় ও দায়িত্ব রক্ষায় এখন এটিই বেশি প্রয়োজন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads