• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

আর কোনো প্রদীপের যেন জন্ম না হয়

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

একদা প্রবল পরাক্রমশালী, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সাবেক ওসি এবং ওই এলাকার  অঘোষিত অধীশ্বর প্রদীপ কুমার দাশ এখন নিশ্চুপ, নীরব। কারাগারের কনডেমড সেলে এখন তার দিন কাটছে আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। গত ২ ফেব্রুয়ারির পত্রিকায় কনডেমড সেলে প্রদীপ এবং তার প্রধান সহযোগী লিয়াকত হোসেনের একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যাওয়ার খবর বেরিয়েছে। তারা এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত বা বাতিল না হলে ওই সেলেই তাদেরকে থাকতে হবে এবং ছোট্ট ওই কনডেমড সেল থেকেই তাদের ফাঁসির মঞ্চে চলে যেতে হবে। সবই নির্ভর করছে আদালতের ওপর। বিচার প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পরই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে, এ মুহূর্তে যে বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য তাহলো, ক্ষমতার দম্ভ এবং তার অপব্যবহারের শেষ পরিণতি ভালো হয় না। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ এবং ইন্সপেক্টর লিয়াকত হোসেন এর সর্বশেষ উদাহরণ। গত ৩১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হওয়ার পর মানুষ এ কথাই বলছে।

সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের হত্যাকাণ্ডটি যেমন ছিল পৈশাচিক, তেমনি তা দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল। ওই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি পরিণত হয়েছিল গণদাবিতে। রায়ে সে গণদাবির প্রতিফলন ঘটেছে বলেই সবাই মনে করছেন। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তার ঘোষিত রায়ে পরিকল্পিত এই হত্যার মূল হোতা টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ এবং একই থানার বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দিয়েছেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অপরাধে তিন পুলিশ সদস্য ও তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ঘটনার সময় বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাত সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর নিহত সিনহার মা ও বোন সংবাদমাধ্যমের কাছে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ রায় কার্যকর হলেই তারা পরিপূর্ণ শান্তি পাবেন। আদালতের রায়ের পর সিনহার মায়ের অঝোরে কান্নার কথা পত্রিকার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। সন্তানহারা এই মায়ের সে কান্নার খবর অনেকেরই চোখকে আর্দ্র করেছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফ থানার মেরিনড্রাইভ সড়কে শ্যামপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই মেজরকে পূর্বপরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছিল। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সে কথা স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়টি সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষও উল্লেখ করেছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মেজর সিনহা তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে টেকনাফের ওই অঞ্চলে অবস্থান করার সময় এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর ওসি প্রদীপের অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী জেনে গিয়েছিলেন। আর সেজন্যই ওসি প্রদীপ দাশের টার্গেট হয়েছিলেন রাশেদ।

ঘটনার পর ওসি প্রদীপ এবং তার সহযোগীরা অনেক চেষ্টা করেছিল ঘটনা ধামাচাপা দিতে, গল্প সাজিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়। তদন্তে সত্যটা বেরিয়ে আসে এবং প্রদীপের কীর্তিকলাপ জানাজানি হয়ে যায়। তারপর দুই বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত তার রায় দিয়েছেন। এই রায়ে নিহত সিনহা রাশেদের পরিবারের সদস্যরা শুধু নন, গোটা দেশের সব মানুষ সন্তুষ্ট এবং তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। অন্যায় করে যে শেষ অবধি পার পাওয়া যায় না, এ রায়ে তা আবারো প্রমাণিত হলো। তবে, সেজন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া; যেটা লক্ষ করা গেছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায়। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন আইজিপি মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, ‘খুন একটি ঘৃণ্য অপরাধ। খুন করলে সাজা পেতে হয়। আদালতের বিচারে মনে হচ্ছে তারা অপরাধ করেছে। সেক্ষেত্রে তাদের ফাঁসি হয়েছে। তিনি অভিমত প্রকাশ করেছেন, যাদের চাকরির ইমেজ ভালো এবং কোনো অভিযোগ নেই এমন পুলিশ কর্মকর্তাদের মাদকপ্রবণ এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এসব এলাকায় নিয়োগের আগে কর্মকর্তা সম্পর্কে যাচাই করতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে তাদের এসব এলাকায় দেওয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে (সমকাল, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২)।

সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নূরুল হুদার অভিমতের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই। কেননা এটা প্রমাণিত যে, প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থানার ওসি এবং ইউএনওসহ একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা এলাকার অধিপতি মনে করেন নিজেদের। তারা গোটা এরিয়ার সামন্ত প্রভু হয়ে বসেন। এলাকাবাসী হয়ে পড়েন অনেকটা তাদের রায়ত-প্রজা। তারা ক্ষমতার বলে যা খুশি তা করে বেড়ান। অবস্থাটা এমন যে, তাদের কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ দাশ কীভাবে এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল? তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কেন আগেই এ বিষয়ে সতর্ক হননি? একদিনে তো ওসি প্রদীপ এমন ভয়ংকর মূর্তিতে আবির্ভূত হয়নি। তাকে যারা লালন করেছেন, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, তার কার্যকলাপ দেখেও না দেখার, শুনেও না শোনার ভান করেছেন,  তারা তো আসেননি জবাবদিহির আওতায়। সংবাদমাধ্যমের বরাতে আমরা জেনেছি, বরখাস্ত ওসি প্রদীপের কীর্তিকলাপ সম্পর্কে পুলিশের ঊর্ধ্বতন বিভাগ আগেভাগে কিছু জানত না এমন নয়। অনেক অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকবার সে বিভাগীয় শাস্তিও পেয়েছে। সাময়িক বরখাস্তও হয়েছে কয়েকবার। সবচেয়ে অবাক কাণ্ড হলো, এমন সার্ভিস রেকর্ডের অধিকারী প্রদীপ দাশ পুলিশের সর্বোচ্চ খেতাব বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)-এও ভূষিত হয়েছে! আর সেটা তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে কৃতিত্বের জন্যই। অনুমান করা যায়, মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার জন্য পুরস্কৃত হওয়ার পরই সে হয়ে উঠেছিল লাগামহীন। হয়তো তার মনে এ প্রতীতি জন্মেছিল যে, বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ খুন করলেও তার কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। যার ফলে একসময় সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং নিজেকে সবকিছুর ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করতে থাকে।

এদিকে রায়ের পর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ওসি প্রদীপ টেকনাফ এলাকায় এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল যে, ওই এলাকার শিশুরা খেতে বা ঘুমুতে না চাইলে মায়েরা এই বলে তাদের ভয় দেখাতো যে, ‘ওসি প্রদীপকে খবর দিচ্ছি’। মামলার তদন্তের সময় বেরিয়ে আসে প্রদীপের নানা অপকর্মের কাহিনী। চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ হেন অপকর্ম নেই যা ওসি থাকাকালীন করেনি প্রদীপ। তেত্রিশ মাস টেকনাফ থানার ওসি ছিল সে। ওই সময়ের মধ্যে ১০৬টি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে সে থানা এলাকায়। ওইসব ঘটনায় ১৭৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ থেকে প্রদীপের দুর্ধর্ষতার প্রমাণ মেলে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ওসি থাকাকালে প্রদীপ একটি মামলায় ১৫-২০ জনকে আসামি করে একজনকে ক্রসফায়ারে দিত। পরে ওই মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অন্যদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত। টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসারও পৃষ্ঠপোষক ছিল প্রদীপ।

ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল বিত্তের অধিকারীও হয়েছিল প্রদীপ কুমার দাশ। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, তার অর্জিত সম্পত্তির মালিক তার স্ত্রী চুমকি। কারণ দুর্নীতি দমন কমিশনের চার্জশিট অনুযায়ী চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পাথরঘাটা মোড়ে ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’ নামে যে ছয়তলা ভবনটি রয়েছে, তার মালিক প্রদীপ হলেও কাগজ-কলমে ওটার মালিক তার স্ত্রী চুমকি। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহরের বাড়ি, কক্সবাজারের ফ্ল্যাট, স্ত্রীর গহনা, একটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাবে নগদ অর্থসহ কাটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে প্রদীপ-চুমকি দম্পতির। তাদের সব সম্পদ এখন রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দ রয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যে ‘প্রিয়তমা’ স্ত্রীর নামে অবৈধ উপায়ে এতসব সম্পত্তি অর্জন করেছিল প্রদীপ, সিনহা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সে স্ত্রী লাপাত্তা। একদিনের জন্যও সে দেখতে আসেনি তার ‘পতিধন’কে, নেয়নি কোনো খোঁজখবর। চুমকি কোথায় কার সাথে কীভাবে আছে কেউ জানে না। একদা প্রতাপশালী ওসির ততোধিক প্রতাপশালী স্ত্রীর এই হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার ঘটনা রহস্যের ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, সে দেশে আছে, নাকি দেশের বাইরে চলে গেছে? সরকারি গোয়েন্দা বিভাগও এ বিষয়টি এখনো খোলাসা করতে পারেনি।

সিনহা হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হওয়া প্রমাণ করে সরকার আন্তরিক হলে যে কোনো হত্যা মামলার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ের এই আলোচিত হত্যা মামলাটির রায় ঘোষিত হওয়ার পর বিশিষ্টজনেরা তাদের বিজ্ঞ অভিমতে যা বলেছেন, তাতে এই রায়ে তাদের সন্তুষ্টি এবং এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের প্রত্যাশার কথাই ফুটে উঠেছে। সেই সাথে জনসাধারণের জানমালের সুরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার বিষয়েও তারা তাদের অভিমত দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী এক নিবন্ধে মন্তব্য করেছেন, ‘মেজর সিনহার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া থেকে আমাদের কিছু শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। আমরা একটি সুশৃঙ্খল, আইনানুগ পুলিশ বাহিনী পেতে চাই, যারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সামনের কাতারে ভূমিকা রাখবে এবং বাহিনীর অভ্যন্তরে কোনো রকমের অসাধু ব্যক্তি বা চক্রকে স্থান দেবে না’ (সমকাল, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। একই বিষয়ে বিশিষ্ট কলাম লেখক আবুল মোমেন মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আজ বড় চ্যালেঞ্জ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধন। সেদিক থেকে সিনহা হত্যা মামলাটি যেমন তার স্বজনদের দিক থেকে ন্যায্য আইনি প্রতিবিধান প্রাপ্তির বিষয়, তেমনি রাষ্ট্রের দিক থেকে এর ছিল নানামাত্রিক গুরুত্ব। এটি পুলিশসহ সব বাহিনীর জন্য একটি বার্তা দিচ্ছে। আর তা হলো, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না’ (আমাদের সময়, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২)।

উপরোক্ত মন্তব্যসমূহ থেকে এটা স্পষ্ট যে, সিনহা হত্যা মামলার রায় ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে। যে কোনো ঘটনার আইনি ও বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার নিশ্চয়তা বিধান রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। আলোচ্য হত্যা মামলায় একজন প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসিই শেষ কথা নয়। ভবিষ্যৎ আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আর কোনো প্রদীপ বা লিয়াকতের যাতে জন্ম না হয়, রাষ্ট্রকে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads