• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতি 

সংগৃহীত ছবি

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতি 

  • প্রকাশিত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

অভিজিৎ বড়ুয়া

বাংলাদেশকে নিয়ে বিগত পঞ্চাশ বছর আন্তর্জাতিক মহলের রাজনীতি হয়েছে অনেক। জন্মলগ্ন থেকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র স্বাধীন হয়ছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভূ-রাজনীতি, এ অঞ্চলের ঐতিহাসিক বিবর্তন এবং ভৌগোলিক অবস্থানের বিভিন্ন পেক্ষাপটের দ্বারা প্রভাবিত। বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য তিনটি নদী : গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনার পরিবর্তনের গতিপথের সঙ্গে বিকশিত হয়েছে। বৈশ্বিক রাজনীতিতে ক্ষমতার রাজনীতির আবির্ভাব হয়েছে, তাই ভৌগোলিক কৌশল এবং ভূ-রাজনীতি শব্দটি বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তনশীল বা অ-পরিবর্তনশীল দুই দিকেই বাংলাদেশ ভারতীয় উপমহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক সীমান্ত প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। ভূগোল হলো ভূ-রাজনীতির মূল উপাদান।

প্রাচীন পুন্ড্রনগর বা বর্তমানে বাংলাদেশের বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় এবং বঙ্গ বা বর্তমান বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব জেলা মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতে উল্লেখ পাওয়া যায়। পূর্বাব্দ ৫ম শতাব্দীতে, ইন্দো-আর্য সভ্যতা গঙ্গা নদীর তীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলা অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ইন্দো-আর্য সাম্রাজ্য, মৌর্য সাম্রাজ্য পূর্বাব্দ ৩২১-১৮১-তে বরেন্দ্র অঞ্চলকে তাদের রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করে, যার রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর। পরবর্তীকালে, বৌদ্ধ পাল রাজবংশ অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ৪০০ বছর ধরে বাংলা শাসন করে। এই বাংলার রাজ্যগুলো চীন এবং অন্যান্য দেশের সাথে সামুদ্রিক বাণিজ্যের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হতে থাকে। কারণ আরব উপদ্বীপের পশ্চিম দিকে প্রসারিত আরব বা পারস্যের আধিপত্য অঞ্চল এবং বঙ্গোপসাগর থেকে পূর্ব দিকে বিস্তৃত বাঙালিদের আধিপত্য অঞ্চল ছিল দুটি বাণিজ্য কেন্দ্র। বাংলায় মুঘল শাসন আমলে প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়, যার নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর। ভারতে বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে বাংলার অন্তর্ভুক্তি কার্যকরভাবে উপমহাদেশের বাকি অংশ থেকে এই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটায়। এটি বাংলায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে ।

১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বঙ্গীয় ব-দ্বীপ এবং গাঙ্গেয় সমভূমিতে পশ্চিমে বিশাল ভূমির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগের  ব্রিটিশ সিদ্ধান্ত ঔপনিবেশিকবিরোধী আন্দোলনকে ভেঙে ফেলার পদক্ষেপ। কারণ বাংলা বিশেষভাবে শক্তিশালী ছিল। তাই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি ছিল, বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীকে ‘বিভক্ত করো এবং শাসন করো’। বঙ্গভঙ্গ দুটি প্রধান ধর্মীয় সমপ্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ককে রাজনীতিকরণ করে। ১৯০৬ সালে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের ধারণাটি ঢাকায় সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠার বিপরীতে গড়ে উঠে, যা ছিল ‘মুসলিম লীগ’। ১৯৪৫-৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ বাংলায় বিপুল জনসমর্থন লাভ করে। যা ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৭ সালের বিভাজন পূর্ব-বাংলাকে বৃহত্তর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে যে সমৃদ্ধি বহু শতাব্দী ধরে ছিল তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পরে যোগাযোগও ছিন্ন হয়। এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শুরু ভারতবর্ষ বিভক্তির মধ্য দিয়ে। পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর থেকে শুরু হয় এই অঞ্চলের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ, ভারতীয় উপমহাদেশের ভূ-রাজনীতিকে নতুন মেরুকরণ দেয়, পাকিস্তান ও চীনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে অস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামোগত সহায়তার ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহূত হতে থাকে। ভারতবিরোধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ১৯৭১ সালের জুলাইতে হেনরি কিসিঞ্জার বেইজিংয়ে যান। ফলস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়েরই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা এবং ভারতের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করে।

১৯৭৫ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরই চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে চীন ১৯৭২ সালে নিরাপত্তা পরিষদে এবং ১৯৭৩ সালের জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ অবরুদ্ধ করতে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে। ১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক সরকার বা সামরিক শাসন রাজনৈতিক ক্ষমতার দখল স্থায়ী করার জন্য পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বা সমর্থনে ভারতবিরোধিতা এবং ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীগোষ্ঠিগুলোকে সহায়তা এবং ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন অব্যাহত রাখে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই এই ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রমাণাদি পাওয়া যায়। ২০০৪ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্র মামলার নতুন তদন্ত পাকিস্তানের আইএসআই, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এবং ভারতের উলফা, আসাম-ভিত্তিক সন্ত্রাসী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গভীর সম্পর্ক প্রকাশ পায়। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ভূখণ্ড প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে না দেওয়ার নীতিতে অটল। এখন বাংলাদেশ ও ভারত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ মাদকপাচার মোকাবিলায় কাজ করছে। সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে যাওয়ার নীতি বাংলাদেশকে বিশ্বে রাজনীতিতে উচ্চস্তরে পৌঁছে দিয়েছে। স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির হার এবং শিল্প উন্নয়ন আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে ও ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করেছে। বাংলাদেশ বর্তমান ভূ-রাজনীতির ফলে একটি সামুদ্রিক ও বাণিজ্য দেশ হিসেবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি কার্যকর সেতু হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। 

১৯৭১ সাল এবং এরপর দীর্ঘবছর ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার পেক্ষাপটে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করেছে। ১৯৭৫ সালের আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে মার্কিন সামরিক সহায়তা শুরু হয়। এই বছরগুলোতে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়নও পাকিস্তানের মনোভাবের সঙ্গে মিল ছিল। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন নীতির তিনটি পরিবর্তন আসে, তা হলো—গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ দমন। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের  কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয়। এটি যদি বৃহত্তর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দিকে এগিয়ে যায় তবে তা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে প্রভাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যদি ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো মার্কিন মিত্ররাও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে উদ্যত হয়, তবে তা হবে ভয়ংকর। এই পদক্ষেপ ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থবহ। কারণ এটি বাংলাদেশের ওপর চীনের ক্রবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধির কারণে হয়েছে বলে মনে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ও চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গ্রহণীয় নয়।

অন্যদিকে রাশিয়া বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই অঞ্চলের ত্রিমুখী সন্ধিক্ষণে। বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারত ও পশ্চিম এশিয়া, পূর্বে পূর্ব এশিয়া ও আসিয়ান দেশ এবং চীন। পশ্চিম চীনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরিবর্তে চীনের পূর্ব অংশ সহজেই এই অঞ্চলের মাধ্যমে সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে।  বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় সমুদ্রের সরাসরি সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে পারে কেবল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম না করে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রপথ যেতে পারে না। ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে এবং এশিয়ান হাইওয়ে প্রকল্প বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্ববহ। এই প্রকল্পগুলো Economic and Social Commission for Asia and the Pacific-এর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে যা ১১টি হাইওয়ের নেটওয়ার্কিংয়ে যুক্ত হবে। এর দুটি মহাসড়ক বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে গেছে। এটি সরাসরি ইউরোপের সাথে এবং বাংলাদেশ মিয়ানমারের ওপর দিয়ে চীনের সাথে সংযুক্ত হবে। আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে ভারত, পাকিস্তান ও চীনের প্রেক্ষাপটে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে যেখানে ভুটান ও নেপালের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অর্থবহ হয়ে উঠেছে। ভারত যখন আমেরিকার সাথে মিত্রতা করেছে, তখন পাকিস্তান চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নত করেছে। নেপাল ইতিমধ্যেই ভারতকে হলুদ সংকেত দেখিয়েছে এবং চীন সুযোগ নিয়েছে। বেইজিংয়ের লক্ষ্য দক্ষিণ চীন সাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করা। বেইজিং শ্রীলঙ্কার হাম্বানটনে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছে। আবার চীনা নীতির কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাস হতে আশঙ্কা জাগে, ভারত ও চীনের মধ্যে টানাপোড়েন, মার্কিন-চীন শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্রমবর্ধমান উত্তাপ, সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান বহুমুখিতা এবং দীর্ঘদিন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের শাসন, উন্নয়নবান্ধব রাজনৈতিক নেতৃত্বের সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলে এবং বাংলাদেশের প্রভূত অথনৈতিক উন্নয়নের পেক্ষাপটে চীন, পাকিস্তান, শ্রীলংকার সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টির কারণে বর্তমান সরকারকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উৎখাতের তৎপরতা শুরু হবে। কারণ এশিয়ার নতুন ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সুতরাং আমাদের সতর্ক হতে হবে। বাংলাদেশে যদি কোনো অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটে তাহলে তা হবে ভয়াবহ। নারীর ক্ষমতায়ন, গণতান্ত্রিক চর্চা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে। আমেরিকার বিরোধিতা করার রাষ্ট্রগুলোর পরিণতি কারো ভালো নয়। তাদের হয় রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে, নয়তো অর্থনৈতিক অবরোধে পড়তে হয়েছে। তাই আমাদের নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু সে সুযোগে বিশ্ব রাজনীতির কূটকৌশলের কারণে কোনো রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনা হবে বিপজ্জনক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads