বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন সাড়ে ২২ হাজার ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় ১০ হাজার ৫০০ নতুন ভবন হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ভবনের নির্মাণ চলছে। নতুন করে আরো ২২ হাজার ৫০০ ভবন নির্মাণ হবে। এসব ভবন চার থেকে দশতলা পর্যন্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় ২০টি হাই স্কুল, ৬টি মাদরাসা এবং সবগুলো কলেজে ভবন নির্মাণ করা হবে। ২০টি স্কুলের মধ্যে ১০টিতে নতুন ভবন এবং ১০টিতে ভবনের সম্প্রসারণ করা হবে। ২০০ কলেজে মহিলা আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ হবে।’
এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ১০০টির নির্মাণকাজ চলছে। এ বছরের মধ্যে এই ১০০টি টিএসসির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে তিনি ইইডির প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের গুণগত পরিবর্তন হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ পরিবেশ ও সুনাম ধরে রাখতে হবে। সবার আগে কাজগুলো সুন্দরভাবে সমাপ্ত করতে হবে।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘কাজ যাতে ভালো ও টেকসই হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। মানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না। উন্নত ও সুন্দর ডিজাইনের ভবন নির্মাণ করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়।’
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীদের পদোন্নতিসহ এ অধিদফতরের উন্নয়নে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ অধিদফতরে বর্তমানে ১ হাজার ৩২৭ পদ রয়েছে। আরো ৩ হাজার ৬৭০টি নতুন পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে।’ দক্ষতাসম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য তিনি সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘ঘুষ-দুর্নীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। অপব্যবহার, অপচয়, ঘুষ-দুর্নীতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় করে দিতে হবে। ইইডি এর উজ্জ্বল উদাহরণ হবে।’
ইইডির প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন খান, ইইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকোশলী মো. মজিবুর রহমান সরকার এবং ইইডির পরিচালক প্রশাসন খালেদা আক্তার।
