• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৬৩ হাজার, পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ

ফাইল ছবি

শিক্ষা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৬৩ হাজার, পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সম্মান প্রথমবর্ষে আসন সংখ্যা রয়েছে ১৩ লাখের বেশি। এরমধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা রয়েছে মাত্র ৬৩ হাজার। এই অল্প সংখ্যাক আসনের দিকেই দৃষ্টি এইচএসসি ও সমমানে এবার অটোপাস হওয়া সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর।

সারা দেশে সবমিলিয়ে ১৩ লাখ ২০ হাজার আসন রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে বরাবরই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজ। ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। আর সরকারি মেডিকেল কলেজে ৩ হাজারের সামান্য বেশি। সরকারি-বেসরকারি কলেজেই আসন প্রায় ৯ লাখ। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৭০ হাজারেরও বেশি। কলেজগুলোতে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পছন্দের তালিকায় নেই কলেজগুলো। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে প্রায় ২ লাখ আসন।

কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এত সংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলেও সেখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তির খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য। সেখানে ভর্তির সুযোগ না পেলে বিকল্প চিন্তা করবেন। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ভর্তি হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিকে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরাও। গত বছর যারা বিধানমতো পরীক্ষা দিয়ে এইচএসসি পাস করেছেন, তারাও এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ২০টি সাধারণ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান। সে হিসেবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মেডিকেল কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ‌্যালয় (বুয়েট)। আবার যারা একটু ভালো ফল করেছেন, তারাও চায় পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার, জিপিএ-৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪০ জন এবং জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ১৪৪ জন। সে অনুসারে এবার ৯ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা রয়েছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হবে তীব্র প্রতিযোগিতা।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজার আসনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি করা হবে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৫ হাজার। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। গুচ্ছপদ্ধতিতে অংশ নেওয়া ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনে কোনো ফি নেওয়া হবে না। পরে যাচাইয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতরা ৫০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এই ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ২৩ হাজার ১০৪টি।

জানতে চাইলে উপাচার্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম বলেন, কবে, কীভাবে পরীক্ষা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চলতি সপ্তাহে উপাচার্যদের বৈঠকের কথা আছে। সেখানে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে। অটোপাসে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী যেহেতু ভালো ফল করেছেন, সেহেতু সবার দৃষ্টি থাকবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। কিন্তু আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় এবার ব্যাপক প্রতিযোগিতা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads