• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
সাতক্ষীরায় ঝরে পড়ার আশঙ্কায় প্রাথমিকের ৬২ হাজার শিক্ষার্থী

প্রতীকী ছবি

শিক্ষা

সাতক্ষীরায় ঝরে পড়ার আশঙ্কায় প্রাথমিকের ৬২ হাজার শিক্ষার্থী

  • কে এম আনিছুর রহমান, সাতক্ষীরা
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০২১

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার শিক্ষার্থী রুহানী খাতুন। চলতি বছর জেলার শ্যামনগর উপজেলার ১৭৯নং চরচন্ডীপুর সরকারি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। তবে করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কখনো ক্লাসে বসার সুযোগ হয়নি তার। তার মতো একই অবস্থা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সারিকা খাতুনেরও। বিদ্যালয়ে বসার সৌভাগ্য হলেও সেভাবে ক্লাস করার সৌভাগ্য হয়নি তার।

রুহানী-সারিকার মতো এ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন ১৭৩ জন শিক্ষার্থী। যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থীর জন্ম গরিব পরিবারে। এর মধ্যে যারা একটু সামর্থ্যবান তাদের অনেকের পরিবারের প্রযুক্তি সমন্ধে সঠিক ধারণা নেই। আবার যাদের ধারণা আছে, তারা তাদের সন্তানকে অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনলেও নেটওয়ার্কজনিত সমস্যার কারণে অনলাইনে ক্লাসে সেভাবে কোনো কিছু বুঝতে পারে না। তবে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী যেনো ঝরে না যায় সেকারণে বিদ্যালয়টিতে অধ্যায়নরত ১৭৩জন শিক্ষার্থীর বাসায় বাসায় গিয়ে ওয়ার্কসিট বিতরণ করে চলেছেন ওই বিদ্যালয়টিতে কর্মরত ৪ জন শিক্ষক।

পাশাপাশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ও শিক্ষার্থীর মনোবল অক্ষুণ্ন রাখতে দিনের পাশাপাশি রাতেও শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় যেয়ে পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাও: মাহমুদুন নবী।

চর চন্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো একই অবস্থা পাশের ১৭৭ নং ঈশ্বরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ২১৬ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। যাদের অধিকাংশ হতদরিদ্র পরিবারের। ২১৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে অনলাইন ক্লাসে (গুগোল মিট) ১৬ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়টির সকল শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে ওয়ার্কসিট বিতরণ, পাঠদান চলছে নিয়মিত। ৫জন শিক্ষকের বিপরীতে ২১৬ জন শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে নিয়মিত পাঠদান করানোটাও কতটুকু সম্ভব? সেটা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তারপরও শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সে কারণে কখনো নৌকা কখনো বা সাকোঁ পার হয়ে পায়ে হেঁটে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এমএম আমজাদ হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

তবে করোনাকালীন সময়ে যেনো কোন শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে সেজন্য করোনাকালে বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের বিকল্প উপায় হিসেবে টেলিভিশন ও অনলাইনে সরকার কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও এর সুফল থেকে বঞ্চিত অনেক শিশুই। দারিদ্র্য ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার মতো কারণগুলোই মূলত এর জন্য দায়ী। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে।

সরকার অনলাইন শিক্ষা চালু করলেও দরিদ্র বাবা-মায়ের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ভিতরে প্রযুক্তির মাধ্যমে এই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৬২ হাজার ৬৮৫ জন শিক্ষার্থী। করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছোট ভাই ও বন্ধুদের সাথে খেলা করেই সময় কাটছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত এসকল শিক্ষার্থীর। তাদের পরিবারেরও সামর্থ্য নেই অনলাইনে পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার।

সাতক্ষীরা জেলার ১ হাজার ৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১লক্ষ ৯৯হাজার ৮৮৬জন শিক্ষার্থীর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ চর চন্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুহানী-সারিকার মতো দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের। যাদের নেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট। নেই টেলিভিশনও। ফলে সরকারের অনলাইনের ক্লাস বা টেলিভিশনে পাঠদানের উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসছে না।

এদিকে, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলছে অনলাইনে পাঠদান। এতে মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থী সুফল পেলেও সমাজে বৈষম্য বাড়ছে।

সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, জেলার সাতটি উপজেলার ভিতরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসকল শিক্ষা শিক্ষার্থী রয়েছে সদরে ৩৮হাজার ৮৪৯জন। এর ভিতরে ৮হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকায় মাত্র ১হাজার ২৯৫জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৭হাজার ৭৩৭জন, রেডিওতে ২হাজার ৪০জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ১৯হাজার ৫৪৫জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ৮হাজার ২৩২ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কলারোয়া উপজেলাতে ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৫হাজার ৪৫০জন। এর ভিতরে ৬হাজার ২০২জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকায় মাত্র ৩হাজার ৮২৫জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৩হাজার ৮২০জন, রেডিওতে ৩হাজার ৪৩৬জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৫হাজার ৬৩৭জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ৮হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তালা উপজেলায় ২১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে ৩০হাজার ৯৬জন। এর ভিতরে ৬হাজার ৩৬৮জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ৩হাজার ৭৭৩জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৩হাজার ৭৬৫জন, রেডিওতে ২হাজার ২০০জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৮হাজার ৫২৪জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১১হাজার ৮৩৪জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সবচেয়ে কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবহাটা উপজেলায়। এখানে ৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে ১১হাজার ৪০১জন। এর ভিতরে ৩হাজার ৮২জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকায় মাত্র ২হাজার ৭৬৩জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ২হাজার ৭৫৫জন, রেডিওতে ১৮৭জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৫হাজার ৫৬৪জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১৩২ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জেলার সর্বশেষ উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরে ১৯১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৬হাজার ৯৬৫জন। এর ভিতরে ১৫হাজার ২৮৬জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ২হাজার ৮৪২জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৫হাজার ৭২৭জন, রেডিওতে ৬হাজার ১৭৫জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ২হাজার ৫৪০জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১৯হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫হাজার ৭৬৬জন। এর ভিতরে ৭হাজার ২২৫জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকায় মাত্র ৪হাজার ৮১৭জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। টিভিতে ৬হাজার ৯১৭জন, রেডিওতে ১হাজার ৬০০জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৮হাজার ৬৪৮জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ৩হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আশাশুনি উপজেলায় ১৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩১হাজার ৩৫৯জন। এর ভিতরে ৯হাজার ৭১৫জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকায় মাত্র ৮হাজার ৬০০জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৪হাজার ১০২জন, রেডিওতে ৩২৫জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৮হাজার ৩২জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১০হাজার ৩০০জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জেলার সাতটি উপজেলায় ১০৯৫টি সরকারী বিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে পড়াশুনা করে ১লক্ষ ৯৯হাজার ৮৮৬জন শিক্ষার্থী।

এসকল শিক্ষার্থীদের বিপরীতে ৫৬হাজার ৭৫১জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের স্মার্টফোন রয়েছে। ৫৬হাজার ৭৫১জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের স্মার্টফোন থাকলেও এর ভিতরে প্রযুক্তিগত সঠিক ধারণা না থাকায় ২৮হাজার ৮১৬জন শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আর ২৭হাজার ৯২৫জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাসের আওতায় থাকলেও নের্টওয়াক জনিত সমস্যা, আর্থিক সংকটের কারণে নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করতে পারেনা। অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি টিভির মাধ্যমে ৩৪হাজার ৮২৩ জন, রেডিও মুঠোফোনের মাধ্যমে ১৫হাজার ৯৬৩জন, আর মোবাইলের মাধ্যমে ৫৮হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ৬২হাজার ৬৮৫জন শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনপ্রকার ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তি সুবিধা সহজলভ্য করতে হবে। সুবিধা সবার কাছে যেন পৌঁছায় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পরার সংখ্যা বাড়ছে এবং দিন এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। করোনা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিয়েছে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ের শিকার হতে হচ্ছে এবং অনেক পরিবারের শিশু যারা দরিদ্র বা চাকরি বা কাজ হারিয়ে দারিদ্রতার শিকার হয়েছে তারা কাজের পথ বেছে নিচ্ছে। অথচ ঝরে পরা রোধ করা আমাদের টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম লক্ষ্য থাকলে প্রযুক্তিগত জ্ঞান না থাকা ও দরিদ্রতার কারণে বর্তমানে শিক্ষার বৈষম্য প্রবল হচ্ছে। কারণ আধুনিক ডিভাইস যার আছে সে ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে আর যার সেটা নেই সে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। যে অংশ নিতে পারছে না তার মধ্যে সাময়িকভাবে হলেও এক ধরনের হতাশা অনুভূত হচ্ছে এবং এর জন্য দরিদ্রতাকেই দায়ী করেন তারা।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিসার (ডিপিইও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, জেলার ১০৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৬৩০৯ জন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ৯৯হাজার ৮৮৬ জন। এ সব শিক্ষার্থীর মাঝে শতভাগ ওয়ার্কসিট বিতরণ সম্ভব হলেও প্রযুক্তির শিক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করানো সম্ভব হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, জেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা দারিদ্র পরিবারের সন্তান। এর ভিতরে যারা একটু সামর্থ্যবান তাদের অনেকের পরিবারের প্রযুক্তি সম্বন্ধে সঠিক ধারণা নেই। আবার যাদের ধারণা আছে তারা তাদের সন্তানকে অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনলেও নেটওয়ার্কজনিত সমস্যার কারণে অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। তবে জেলার কোন বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী যেনো ঝরে না যায় সেকারণে শতভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে ধারাবাহিক ভাবে ওয়ার্কসিট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও অফলাইনে কল, বা হোমভিজিটের মাধ্যমে সকল বাচ্চাকে পাঠদান করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে।

তিনি আরো জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া ১৬ সপ্তাহের ওয়ার্কসিট বিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এর ভেতরে ৯ সপ্তাহের ওয়ার্কসিট বিতরণ করা হয়েছে। বাসায় বাসায় গিয়ে ওয়ার্কসিট বিতরণ শেষে শিক্ষকরা পুনরায় সেটি সংগ্রহ করেন এবং পরিশেষে সপ্তাহ প্রতি দেওয়া ওয়ার্কসিট মূল্যায়িত করে স্ব-স্ব শিক্ষার্থী পর্যায়ে ডাটাবেজ তৈরী করা হচ্ছে। যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে অনলাইন, টিভি রেডিও, মুঠোফোনের ক্লাস মাধ্যমে যে ক্লাস নেওয়া হয়েছে এবং ওয়ার্কসিট মূল্যায়িত করে শিক্ষার্থীদের তৈরীকৃত ডাটাবেজ প্রোফাইলের ভিত্তিতে বার্ষিক পরীক্ষা না হলে উত্তীর্ণ করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads