• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ১২ সেপ্টেম্বর: শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি

শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ১২ সেপ্টেম্বর: শিক্ষামন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আগামী রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাশেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমরা দেখছি সংক্রমণের হার দ্রুত কমছে। অভিজ্ঞতা বলছে, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কম থাকে। আর টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছে সে বিবেচনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করব।’

ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরা ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সকলের মাস্ক পরতে হবে। একেবারে কমবয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কি না তা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, যারা ২০২১ সালে এসএসসি-এইচএসসি আর আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১৭ মাস যেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল না, তাই চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেওয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে ক্লাসের সময়সূচি স্বাভাবিক করা হবে। বাকি সব শ্রেণিতে একদিন করে ক্লাস হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, কারো বাড়িতে কারো মধ্যে যদি করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকে তার ক্লাসে আসার দরকার নেই। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হাওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি হবে না।

যাদের বয়স ১২ বছর তাদেরকেও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘টিকা প্রাপ্তি ও কারিগরি ব্যবস্থাপনা শেষ হলে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেএসসি, পিএসসি সব পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি আছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

খোলার আগে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী আছে কি না তা যাছাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও নার্সিংবিষয়ক সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি, সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রিন্সিপালসহ সবার মতামত নিয়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্টদের আগে থেকেই তাগিদ দিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী বিশেষ করে শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন মনোচিকিৎসকরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

আর শিক্ষামন্ত্রী বলে আসছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি তাদের আছে। করোনা পরিস্থিতি আর একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads