• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

শিক্ষা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০২২

আজ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম। ইংরেজি নতুন বছরে স্কুল শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে সরকারি নতুন বই। তবে, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবার নেই বই উৎসব।

একদিনেই সব বই দেয়া সম্ভব না হলেও পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী পাবে এ বই। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে এবার ১৩ দিনব্যাপী চলবে এই কার্যক্রম। সেই হিসাবে ১৩ই জানুয়ারি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শেষ বই বিতরণ।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি জানিয়েছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৩০টি, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮০টি, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪ টিসহ মোট ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪টি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক-পঠন-পাঠন সামগ্রীর মধ্যে আমার বই এবং অনুশীলন খাতা বিতরণ করা হবে যথাক্রমে ৩৩ লাখ ২ হাজার ৭৪০টি।

অন্যদিকে জেলা-উপজেলা ও থানার জন্য ৫১২ টি উপজেলা ও থানায় বাংলা ভার্সনে এবং  ৫৬টি জেলায় ইংরেজি ভার্সনের বই বরাদ্দ করা হবে। প্রথম শ্রেণিতে মোট ১ কোটি ২৪৯৬ হাজার ৪৯৪টি পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে বাংলা ভার্সনে ৫১২ টি উপজেলা ও থানায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৯টি, ইংরেজি ভার্সনে ৫৬ টি জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৯৫টি বই বিতরণ করা হবে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৯ টির মধ্যে বাংলা ভার্সনে ১ কোটি ২০ লাখ ২৩ হাজার ৭৮০ এবং ইংরেজি ভার্সনে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫২৯টি। তৃতীয় শ্রেণিতে মোট ২ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার ১৮৬ টির মধ্যে বাংলা ভার্সনে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৮টি এবং ইংরেজি ভার্সনে ২লাখ ৫ হাজার ৮৩৮টি। চতুর্থ শ্রেণিতে মোট ২ কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার ৯৯৭টি বইয়ের মধ্যে বাংলা ভার্সনে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৭টি এবং ইংরেজী ভার্সনে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৩০টি বই বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ২ কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৫২৩টির মধ্যে বাংলা ভার্সনে ২ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার ১৯৩টি এবং ইংরেজি ভার্সানে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩০টি।

এছাড়া ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য নিজস্ব বর্ণমালা সম্বলিত মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পঠন-পাঠন সামগ্রী এবং প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই প্রণয়ন এবং সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৫টি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদরী) শিশুদের মাঝে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। 

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পাঠ্যপুস্তক বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শেরপুর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নঁওগা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, চাঁদপুর, ফেনী, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এই মোট ২০ টি জেলায় সরবরাহ করা হবে। 

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদ্বোধন করেন।

ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, নতুন বছরের ৯৫ শতাংশ বই তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বাকি ৫ শতাংশ বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্কুলগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

২০১২ সাল থেকে বর্তমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে। এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারির উপস্থিতিতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বই বিতরণ উদযাপিত হয়ে আসছে। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads