• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কর্মসংস্থানে ভরসা অর্থনৈতিক অঞ্চল

লোগো বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ

উদ্যোক্তা

কর্মসংস্থানে ভরসা অর্থনৈতিক অঞ্চল

# ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ জুটবে ১ কোটি মানুষের # ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে ৮৯টি

  • জাহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে ভূমি স্বল্পতার পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পরিবহন অবকাঠামো সঙ্কট সবচেয়ে বড় বাধা। এসব সমস্যা দূর করতে সারা দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ১৭ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এরই মধ্যে সাড়ে ১৬ হাজার মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। সব মিলিয়ে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মসংস্থান হবে এক কোটি মানুষের। পাশাপাশি এই ১০০ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সহায়ক শিল্পে কর্মসংস্থান হবে আরো অনেকের। শ্রমবাজারে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা তরুণদের কর্মসংস্থানে বড় আশার কেন্দ্র এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্র জানায়, বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে অঞ্চলগুলো। এসব এলাকায় গড়ে উঠবে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব ধরনের সেবা প্রতিষ্ঠান। কৃষিসহ সব ধরনের পণ্যের চাহিদা বাড়বে। অন্যান্য পেশার মানুষেরও আয় বাড়বে।

বেজা সূত্র জানায়, বেসরকারি পর্যায়ের আমান ইকোনমিক জোনে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৪০৪ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করছেন ৩ হাজার ৬৯২ জন। আকিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২ হাজার ১০৪, মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ হাজার ৪৫১, আরিশা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ হাজার ২০০ এবং সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ হাজার ৮০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০-এর আওতায় বেজা প্রতিষ্ঠা করে সরকার। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে সারা দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮৯টির প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করা ১২টি অঞ্চলের মধ্যে ৬ বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়েছে। পুরোদমে বাস্তবায়নের কাজ চলছে ১৭টির। এসব অঞ্চলে যে শিল্প-কারখানা স্থাপন করে তাতে উৎপাদন হচ্ছে।

আগামী পাঁচ বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অন্তত ২ শতাংশ বাড়াতে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে বেজা। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিবছর দেশের শ্রমবাজারে প্রায় ২০ লাখ নতুন মুখ আসছে। তাদের সবার কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্য সামনে রেখে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেজা কর্তৃপক্ষ। অর্থনৈতিক অঞ্চল

 থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানির শর্ত রাখা হয়নি। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্যও পণ্য উৎপাদন হবে সেখানে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের এক্সপোর্ট প্রসেসিং এরিয়ার ৮০ ভাগ পণ্য রফতানির শর্ত রয়েছে। যদিও রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোতে (ইপিজেড) ৯০ শতাংশ পণ্য রফতানির শর্ত রাখা হয়েছে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থানীয় লোকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। উন্নত দেশ গড়ার জন্য মানুষের কাজের ব্যবস্থা করে আয় নিশ্চিত করবে জোনগুলোতে স্থাপিত কারখানাগুলো। এসব অঞ্চলে বিনিয়োগে অনেক সুযোগ-সুবিধা রাখা রয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা রয়েছে। শিল্পের ৫২টি সেবা ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এর জন্য আইন পাস করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, জোনের অবকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের ১২ বছরের জন্য আয়করমুক্ত সুবিধা, বিদ্যুতের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি, এসইজেড প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় বাজার থেকে কেনা উপকরণে মূসক অব্যাহতি, আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড়, ভূমি রেজিস্ট্রেশনে স্ট্যাম্প ডিউটি ফ্রি, কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণে ভর্তুকি ছাড়াও নানা সুবিধা থাকছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প ইউনিটে বিনিয়োগকারীদের আয় ১০ বছর করমুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads