• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
৩০ পেরিয়ে: শারীরিক যেসব পরীক্ষা জরুরি

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য

৩০ পেরিয়ে: শারীরিক যেসব পরীক্ষা জরুরি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন শরীরের কলকবজায় মরচে ধরতে শুরু করে, তেমনই কিছু অসুখও বয়স বুঝেই কোপ মারে। কোনো দিন কোনো সমস্যা না হওয়া শরীরেও ৩০-এর পর ঘাঁটি বানাতে পারে কিছু বিশেষ ধরনের অসুখ। ‘বয়স ৩০ পেরলেই কিছু কিছু পরীক্ষা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।’ অনেক অসুখই নিঃশব্দে বাস করে শরীরে। লক্ষণও প্রকাশ পায় না। বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছলে তবেই জানান দেয়। তাই উপযুক্ত পরীক্ষা না করালে চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয় এবং ক্ষতির শঙ্কা থেকে যায়। ‘সব অসুখের উপলক্ষ যে বোঝা যাবেই এমনটাও নয়। তাই তিরিশের কোঠায় বয়স পৌঁছনোর পরেই অন্তত ছ’মাস বা এক বছর অন্তর মূল পাঁচটি পরীক্ষা করিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ,’ বলে মনে করেন তিনি।

লিপিড প্রোফাইল : অনিয়মিত জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ার ভুল, শরীরচর্চায় ঢিলেমি ইত্যাদির হাত ধরে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। কমতে থাকে ভালো কোলেস্টেরল। বিলিরুবিনের মাত্রার তারতম্য ঘটতে শুরু করে। এসজিপিটি, এসজিওটি-র মাত্রাও কম-বেশি হতে শুরু করে নানা অনিয়মের হাত ধরে। বয়স ৩০ পেরনোর পর থেকেই এই প্রবণতা দেখা যায়। তাই বছরে দুবার সম্পূর্ণ লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

প্যাপ স্মিয়ার : মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা ৩০-এর পর থেকেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। জরায়ুমুখের ক্যানসার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এটি একটি সহজ পরীক্ষা। ইদানীং কালে জরায়ুমুখের ক্যানসারের পরিমাণ যে হারে বেড়েছে, তাতে এই বছরে অন্তত একবার এই পরীক্ষা করিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

ইসিজি : হূদযন্ত্রের গতিবিধি জানতে, কোনো জটিলতা সেখানে ঘাপটি মেরে আছে কি না তা বুঝতে বয়স ৩০ পেরলেই ৬ মাস অন্তর ইসিজি করান। যারা এই বয়সে পৌঁছনোর আগেই কোনো রকম হূদরোগের শিকার হয়েছেন, তারা ইসিজির পরিবর্তে বছরে একবার টিএমটি করিয়ে রাখুন। হূদযন্ত্রে কোনো প্রকার সমস্যা তৈরি হচ্ছে কি না, ব্লক রয়েছে কি না এগুলো জানতে বিশেষ সাহায্য করে টিএমটি।

জেনেটিক পরীক্ষা : বয়স ৩০ পেরলে অনেক জিনঘটিত অসুখই মাথাচাড়া দেয় নতুন করে। এত দিন শরীরে যা প্রচ্ছন্নভাবে ছিল, মিউটেশনের ফলে সে সব অসুখই প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে। জিনগত কোনো অসুখ দেখা দিচ্ছে কি না তা বুঝতে বছরে এক বার অন্তত জেনেটিক টেস্ট করিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ডিএনএ পরিবর্তন, ক্যানসারের ঝুঁকি ইত্যাদি বুঝতে এই ধরনের পরীক্ষা বিশেষ কার্যকরী।

লিভার ফাংশন : অনিয়ম শুধু রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় এমনই নয়, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্ষতি করে যকৃতেরও। বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়লে যেমন হেপাটাইটিসের শঙ্কা বাড়ে, তেমনই কিছু উৎসেচক, প্রোটিন ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা এদিক-ওদিক হলেও লিভারের অসুখ দানা বাঁধে। তাই সতর্ক থাকতে বছরে একবার সম্পূর্ণ লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে রাখুন। ইউএনবি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads